Sunday 28th of May 2023
Home / অন্য দেশের কৃষি / ভারতে কীটনাশকের বিষক্রিয়ায় ২০ কৃষকের মৃত্যু : জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে প্রায় ৬০০ কৃষক

ভারতে কীটনাশকের বিষক্রিয়ায় ২০ কৃষকের মৃত্যু : জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে প্রায় ৬০০ কৃষক

Published at অক্টোবর ৯, ২০১৭

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ভারতের মহারাষ্ট্রে কীটনাশকের বিষক্রিয়ায় গত দু’মাসে ২০ কৃষকের মৃত্যু হয়েছে । এছাড়া হাসপাতালে জীবন-মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন প্রায় ৬০০ কৃষক। বাণিজ্যিক রাজধানী মুম্বাই থেকে ৬৭০ কিলোমিটার দূরে ইভাটমল জেলায় এ ঘটনা ঘটেছে।

Spraying-Pesticide_092616-1024x716গত আগস্টে বাজারে আসা নতুন প্রফেক্স সুপার কীটনাশক কেনেন চাষীরা। আর সেই কীটনাশক ব্যবহার করেই নাকি মৃত্যু হয় এক কৃষকের। তবে ওই সময় বিষয়টিতে কেউ ততটা গুরুত্ব দেননি। রাশ টানা হয়নি এই কীটনাশকের উপরেও। এমনকী রাজ্য সরকারের দাবি, বিষয়টি যে কতটা গুরুতর তা বুঝতে না পেরে সরকারকে জানানোরই প্রয়োজন মনে করেনি জেলা প্রশাসন। যার জন্য ওই একই কীটনাশক ব্যবহার করে একের পর এক কৃষকের মৃত্যু হয়।

সম্প্রতি কৃষকের মৃত্যু নিয়ে বোম্বে হাইকোর্টে একটি জনস্বার্থ মামলা হয়। তারপরই নড়েচড়ে বসে সরকার।

জানা গেছে ইতিমধ্যেই মৃত্যু হয়েছে অন্তত ২০ জনের। এক চিকিৎসক জানান, নতুন নতুন বাজার চলতি এই সমস্ত কীটনাশকের কোনও প্রতিষেধক নেই। শুধুমাত্র রোগের লক্ষণগুলির উপর নির্ভর করে চিকিৎসা করা হচ্ছে।

মহারাষ্ট্র পুলিশ জানিয়েছে, প্রাথমিক তদন্তের পর পাঁচটি বেসরকারি কৃষি সেবা কেন্দ্রের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। এই পাঁচ কেন্দ্র থেকেই ওই কীটনাশক সরবরাহ করা হয়েছিল। উপযুক্ত পরীক্ষা ছাড়া ভয়ঙ্কর এমন একটা কীটনাশক কেন বাজারে ছাড়া হল, কারণ জানতে চেয়ে সরবরাহকারী ওই পাঁচ বেসরকারি সংস্থা এবং এর নিয়ন্ত্রণের দায়িত্বে থাকা কেন্দ্রীয় কীটনাশক বোর্ড সদস্যদের বিরুদ্ধে নোটিস জারি করেছে বোম্বে হাইকোর্ট।

সঠিক সময়ে ব্যবস্থা না নেওয়ার ব্যর্থতা স্বীকার করেছে মহারাষ্ট্র সরকারও। মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফডণবীস ক্ষতিপূরণ হিসাবে আক্রান্ত পরিবার পিছু দুই লাখ রুপি দেওয়ার ঘোষণা করেছেন।

তিনি জানিয়েছেন, ভবিষ্যতে যাতে এরকম ঘটনা না ঘটে তার জন্য কীটনাশক বিক্রির উপরে নিয়ন্ত্রণ আনতে চলেছে সরকার। বাজারে আসার আগে কীটনাশক ব্যবহারের ছাড়পত্র এবং তা স্প্রে করার সময় কৃষকরা যথেষ্ট নিরাপত্তা নিচ্ছেন কি না তা খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।

সূত্র : আনন্দবাজার

This post has already been read 4237 times!