
নিজস্ব প্রতিবেদক: মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেছেন, বৈজ্ঞানিকভাবে সিবাছ (কোরাল) মাছ চাষ বাংলাদেশের খাদ্য নিরাপত্তা ও মাছের সরবরাহ ব্যবস্থায় একটি নতুন ও সম্ভাবনা সৃষ্টি করছে।
রবিবার (১৪ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় কক্সবাজারের কলাতলিতে অবস্থিত আধুনিক গ্রীন হাউজ মেরিকালচার হ্যাচারি পরিদর্শন শেষে তিনি এসব কথা বলেন।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা বলেন, “আমি দেখে খুব খুশি হয়েছি যে একেবারে কোন মাছ থেকে ডিমের উৎপাদন পর্যন্ত পুরো প্রক্রিয়াটি অত্যন্ত বৈজ্ঞানিকভাবে পরিচালিত হচ্ছে। একটি হ্যাচারি হিসেবে এর ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।”
মৎস্য উপদেষ্টা বলেন, সবচেয়ে আশার কথা হলো—এই মাছচাষ শুধু কক্সবাজারের মত উপকূলীয় এলাকায় সীমাবদ্ধ নয়, উত্তরবঙ্গের মতো অঞ্চলগুলোতেও এটি বাস্তবায়ন করা সম্ভব। এর ফলে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে মাছ উৎপাদন বাড়বে এবং জাতীয় খাদ্য সরবরাহ ব্যবস্থা আরও শক্তিশালী হবে।
উপদেষ্টা আরও বলেন, সরকার মেরিকালচার (সামুদ্রিক মৎস্য চাষ) প্রসারে বিভিন্নভাবে সহায়তা করবে, তবে বেসরকারি খাতের উদ্যোগই হবে মূল চালিকাশক্তি। যত বেশি বেসরকারি উদ্যোক্তা যুক্ত হবে, তত বেশি প্রযুক্তি উন্নয়ন, কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং বৈজ্ঞানিক মাছ উৎপাদন নিশ্চিত হবে।
তিনি বলেন, এ ধরনের আধুনিক ও টেকসই উদ্যোগ ভবিষ্যতে বাংলাদেশের ব্লু ইকোনমিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে। এটি শুধু সরকারের একটি স্বপ্ন নয়, বরং দেশের অর্থনীতি ও খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য একটি শক্ত ভিত্তি তৈরি করবে।
এসময় মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাবৃন্দ, মৎস্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তাবৃন্দসহ সংশ্লিষ্ট অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, দেশে প্রথমবারের মত সামুদ্রিক কোরাল মাছের কৃত্রিম প্রজননে সাফল্য অর্জন করেছে কক্সবাজারের ‘গ্রিন হাউজ মেরিকালচার’ হ্যাচারি। এর ফলে ভবিষ্যতে পুকুরে সামুদ্রিক কোরাল মাছ চাষের সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়েছে। কোরাল মাছের পোনা উৎপাদন সংক্রান্ত এ গবেষণার কার্যক্রমে মৎস্য অধিদপ্তর সব ধরনের কারিগরি ও আর্থিক সহায়তা দিয়েছে।



