
সিকৃবি সংবাদদাতা: সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (সিকৃবি) বিশ্ব মানবাধিকার দিবস পালিত হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষ্যে বুধবার (১০ ডিসেম্বর) বিকাল ৩ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে থেকে ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মো. আলিমুল ইসলামের নেতৃত্বে শোভাযাত্রা বের করা হয়। শোভাযাত্রাটি সমগ্র ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ শেষে সিকৃবি জুলাই চত্ত্বরে গিয়ে শেষ হয়।
জাতীয় দিবস উদযাপন কমিটির উদ্যোগে অনুষ্ঠিত শোভাযাত্রায়, ডিন কাউন্সিলের আহবায়ক প্রফেসর ড. নির্মল চন্দ্র রায়, ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা দপ্তরের পরিচালক প্রফেসর ড. মোহাম্মদ সামিউল আহসান তালুকদার, অর্থ ও হিসাব শাখার পরিচালক প্রফেসর ড. মো. রুহুল আমিন, জনসংযোগ ও প্রকাশনা দপ্তরের পরিচালক কৃষিবিদ খসরু মোহাম্মদ সালাহউদ্দিনসহ বিভিন্ন অনুষদীয় ডিন, প্রভোস্ট, দপ্তর প্রধান, ছাত্র-ছাত্রী, শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন। শোভাযাত্রা শেষে ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা দপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক প্রফেসর ড. মো. সাখাওয়াত হোসেনের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মো. আলিমুল ইসলাম বলেন, আজ বিশ্ব মানবাধিকার দিবস। মানবাধিকার সুরক্ষা, ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজ নির্মাণে আমাদের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করার একটি গুরুত্বপূর্ণ দিন এটি। এই দিনের মূল বার্তা হলো-গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ ও মানবিক অধিকার রক্ষা না করলে কোনো দেশই টেকসই অগ্রগতির পথে এগোতে পারে না। গণতন্ত্রের ধারাবাহিকতা বজায় না থাকলে রাষ্ট্র অস্থিতিশীল হয়, মানুষের মৌলিক অধিকার বাধাগ্রস্ত হয় এবং উন্নয়নের গতি ব্যাহত হয়।তিনি বলেন, বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে তাদের ছাত্র সংগঠনের নেতা-কর্মীদের হাতে সাধারণ শিক্ষার্থীরা র্যাগিংয়ের নামে অমানবিক নির্যাতনের শিকার হয়েছে। তাদের অনেকেই বিচার পায়নি। একটি শিক্ষাঙ্গন কখনোই ভয়ের জায়গা হতে পারে না; বরং তা হবে স্বাধীন চিন্তা, শ্রদ্ধা, নিরাপত্তা ও মানবিক মূল্যবোধের সর্বোচ্চ স্থান। ক্যাম্পাসে যাতে কোনো শিক্ষার্থী কোনো ধরনের শারীরিক, মানসিক বা প্রাতিষ্ঠানিক নির্যাতনের শিকার না হয়, সেজন্য কঠোর ও কার্যকর নজরদারি, নিয়মনীতি এবং জবাবদিহি ব্যবস্থা আরও শক্তিশালী করা হবে। মানবাধিকার বিষয়ে শিক্ষার্থীদের সচেতনতা বৃদ্ধি এবং ন্যায়বিচার ও অন্তর্ভুক্তির সংস্কৃতি গড়ে তুলতে বিভিন্ন শিক্ষামূলক, প্রশিক্ষণমূলক ও সামাজিক কর্মকাণ্ড অব্যাহত থাকবে।



