
নিজস্ব প্রতিবেদক: মাছ চাষে খরচ কমানো ও নিরাপদ মাছ উৎপাদনে নতুন সম্ভাবনা নিয়ে এসেছে স্কয়ার এগ্রোভেট। সম্পূর্ণ জাপানি এবং ন্যানো বায়ো প্রযুক্তিতে তৈরি ‘প্রোবায়ো-এ্যাকুয়া (Probio-Aqua)’ নামের নতুন প্রোবায়োটিক পণ্যটি পানি ও কাদায় থাকা রোগ সৃষ্টিকারী প্যাথোজেন উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস করে, ফলে উৎপাদন খরচ কমিয়ে নিরাপদ মাছ উৎপাদনে সহায়তা করবে।
আজ রবিবার (১২ অক্টোবর) রাজধানীর স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস পিএলসি’র অফিসে এক অনাড়ম্বর অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ‘প্রোবায়ো-এ্যাকুয়া’র আনুষ্ঠানিক মোড়ক উন্মোচন করা হয়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন স্কয়ার এগ্রোভেট ডিভিশনের জেনারেল ম্যানেজার জয়ন্ত দত্ত গুপ্ত, সিনিয়র ম্যানেজার মো. আরিফুজ্জামান, সিনিয়র ম্যানেজার রুবাইয়াত নূরুল হাসান, প্রোডাক্ট এক্সিকিউটিভ কৃষিবিদ মেহেদি হাসানসহ এগ্রোভেট ডিভিশনের অন্যান্য কর্মকর্তারা।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে জয়ন্ত কুমার দেব বলেন, “দেশে মাছ চাষে পুকুর ব্যবস্থাপনার জন্য নানা ধরনের পণ্য ব্যবহার করা হয়, তবে একটি প্রাকৃতিক প্রোবায়োটিক পণ্যের গুরুত্ব সব সময়ই অনস্বীকার্য। আমরা বিশ্বাস করি, ‘প্রোবায়ো-এ্যাকুয়া’ খামারিদের ব্যয় ও শ্রম সাশ্রয় করবে এবং নিরাপদ মাছ উৎপাদনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।”
কৃষিবিদ মেহেদি হাসান বলেন, “প্রোবায়ো-এ্যাকুয়া কেবল মাছের রোগবালাই কমাতেই সহায়তা করে না, এটি পানিতে স্ট্যাবল প্লাংক্টন গঠনে সাহায্য করে, যা মাছের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় ও উৎপাদনশীলতা উন্নত করে। পাউডার ফর্মে থাকায় খামারিদের এটি কালচার করার প্রয়োজন নেই—সরাসরি পুকুরে ছিটিয়ে ব্যবহার করা যায়, ফলে শ্রম ও খরচ উভয়ই কমে।”
বিশেষজ্ঞদের মতে, পুকুর বা ঘেরে ক্ষতিকর জীবাণু, জৈব বর্জ্য, খাদ্যের উচ্ছিষ্ট ও কালো কাদার উপস্থিতি মাছ ও চিংড়ির সংক্রামক রোগের প্রধান কারণ। এসব সমস্যা দূর করে টেকসই ও স্বাস্থ্যসম্মত মাছ চাষ নিশ্চিত করতে স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস পিএলসি বাজারে এনেছে জাপানিজ ন্যানো টেকনোলজিতে তৈরি উচ্চ কার্যকরী পাউডার প্রোবায়োটিকস—‘প্রোবায়ো-এ্যাকুয়া’।
উল্লেখ্য, প্রতিটি গ্রাম প্রোবায়ো-এ্যাকুয়া পাউডারে রয়েছে ব্যাসিলাস সাবটিলিস, ব্যাসিলাস লিচিনিফর্মিস, ব্যাসিলাস পলিমিক্সা, ব্যাসিলাস মেগাটেরিয়াম, ল্যাকটিক অ্যাসিড ব্যাসিলাস এবং ব্যাসিলাস অ্যামাইলোলিকুইফেসিয়েন্সসহ মোট ২২ বিলিয়ন সিএফইউ (CFU)। এটি জলাশয়ের Salmonella, Aeromonas, E.coli ও Vibrio সহ ক্ষতিকর জীবাণু ধ্বংসে সহায়তা করে; বিষাক্ত গ্যাস যেমন অ্যামোনিয়া (NH₃), হাইড্রোজেন সালফাইড (H₂S) ও নাইট্রেট (NO₃) অপসারণ করে এবং এনজাইম উৎপাদন বাড়িয়ে পুকুরের তলদেশে জমে থাকা জৈব পদার্থ পচনে সাহায্য করে।
৫০ গ্রাম প্যাকেটে বাজারজাত করা এই নতুন পণ্যটি বাংলাদেশের মাছ চাষে আধুনিক, নিরাপদ ও টেকসই সমাধান হিসেবে নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে বলে আশা করছে স্কয়ার এগ্রোভেট।