নাহিদ বিন রফিক (বরিশাল): ডিমে আছে প্রোটিন, খেতে হবে প্রতিদিন- এই প্রতিপাদ্য বিষয় নিয়ে আজ বরিশালে বিশ্ব ডিম দিবস পালিত হয়েছে। এ উপলক্ষ্যে বিভাগীয় প্রাণিসম্পদ দপ্তর, বাংলাদেশ পোল্ট্রি ইন্ডাস্ট্রিজ সেন্ট্রাল কাউন্সিল এবং ওয়ার্ল্ডস পোল্ট্রি সায়েন্স এসোসিয়েশনের যৌথ উদ্যোগে নগরীর নবগ্রাম রোডে অবস্থিত জেলা কৃত্রিম প্রজনন কেন্দ্রের হলরুমে এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন স্থানীয় সরকার বিভাগের পরিচালক (যুগ্ম সচিব) খন্দকার আনোয়ার হোসেন। বিভাগীয় প্রাণিসম্পদ দপ্তরের পরিচালক মো. মাহফুজুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বিভাগীয় পরিচালক ডা. শ্যামল কৃষ্ণ মন্ডল। প্রবন্ধ উপস্থাপনা করেন আঞ্চলিক প্রাণিরোগ অনুসন্ধান গবেষণাগারের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ডা. নুরুল আলম। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জেলা কৃত্রিম প্রজনন কেন্দ্রের উপপরিচালক ডা. মো. নাসির উদ্দীন আহম্মেদ, বাংলাদেশ পোল্ট্রি ইন্ডাস্ট্রিজ এসোসিয়েশনের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মো. আব্দুর রহিম গাজী, বরিশাল বিভাগের আহবায়ক মো. ছাদেকুর রহমান সোহেল প্রমুখ। এর আগে প্রাণিসম্পদ দপ্তর হতে এক বার্ণাঢ্য র্যালি বের করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর, কৃষি তথ্য সার্ভিস এবং ইসলামিক ফাউন্ডেশনের কর্মকর্তাসহ শতাধিক পোল্ট্রি খামারী অংশগ্রহণ করেন।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি বলেন, আগেকার দিনে ঘরে তেমন কিছু না থাকলে মেহমানদের ডিম খাইয়ে ইজ্জত রক্ষা করা হতো। তখন আমরা একটি ডিম চার ভাগ করে খেয়েছি। এখন প্রতিদিন না হলেও সপ্তাহে দু’এক দিন গরীবরাও ডিম খেতে পায়। আর তা পোল্ট্রি শিল্প বিকাশের কারণের সম্ভব হয়েছে। তিনি আরো বলেন, ডিম গরীবের প্রোটিন। তাই এর উৎপাদন বাড়ানো দরকার। একই সাথে উৎপাদন খরচও কমানো জরুরি। তা বাস্তবায়ন হলে দেশের সবাই প্রতিদিন ডিমে খেতে পারবে। হবে পুষ্টির অভাব পূরণ।
উল্লেখ্য, ২০২৩ সাল হতে প্রতিবছর অক্টোবরের দি¦তীয় শুক্রবার বিশ্ব ডিম দিবস পালন হয়ে আসছে ।