Tuesday , August 26 2025

বাকৃবিতে কৃষি যন্ত্রপাতি প্রদর্শনী ও সেমিনার

বাকৃবি সংবাদদাতা: বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) ‘কৃষি যান্ত্রিকীকরণে বারি উদ্ভাবিত কৃষি যন্ত্রপাতির অবদান’ শীর্ষক সেমিনার ও প্রদর্শনী মেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২২ মে) বিশ্ববিদ্যালয়ের সৈয়দ নজরুল ইসলাম সম্মেলন কক্ষে এই সেমিনারের আয়োজন করে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বারি)।

সেমিনারের পাশাপাশি সম্মেলন কক্ষের বাইরের প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হয় বারি উদ্ভাবিত আধুনিক কৃষি যন্ত্রপাতির প্রদর্শনী মেলা। এতে বীজ বপন, সেচ ও ফসল সংগ্রহসহ বিভিন্ন পর্যায়ের কাজে ব্যবহৃত যন্ত্রের কার্যকারিতা, সুবিধা-অসুবিধা এবং ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা তুলে ধরা হয়। এছাড়াও শিক্ষার্থীদের জন্য বৈজ্ঞানিক ধারণা প্রবন্ধ উপস্থাপন ও কুইজ প্রতিযোগিতা আয়োজন করা হয়। পরে প্রবন্ধ উপস্থাপনে অংশগ্রহণকারী ৩ টি দল ও কুইজ প্রতিযোগিতায় ২ জন বিজয়ীকে পুরস্কৃত করা হয়।

বারির ফার্ম মেশিনারি অ্যান্ড পোস্টহারভেস্ট প্রসেস ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অর্থায়নে ‘কৃষি যন্ত্রপাতি ও লাগসই প্রযুক্তি উদ্ভাবনের মাধ্যমে ফসল উৎপাদন ব্যবস্থাকে অধিকতর লাভজনক করা’ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় এই সেমিনার ও প্রদর্শনী মেলার আয়োজন করা হয়।

সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বারির ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা অধ্যাপক ড. মো. এরশাদুল হক। তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত বারি উদ্ভাবিত ৭১ ধরনের কৃষি যন্ত্রের মধ্যে ৫৫টির আবিষ্কার সম্পন্ন হয়েছে এবং ১৬টির গবেষণা এখনও চলমান রয়েছে।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাকৃবির কৃষি প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. জয়নাল আবেদীন। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় গবেষণা সিস্টেম (বাউরেস)-এর পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. হাম্মাদুর রহমান এবং বিশেষ অতিথি ছিলেন অধ্যাপক ড. মো. মোশাররফ হোসেন। অনুষ্ঠানে কৃষি প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষকবৃন্দ, বিভিন্ন বর্ষের শিক্ষার্থী ও আমন্ত্রিত অতিথিরা অংশগ্রহণ করেন।

সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাউরেস পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. হাম্মাদুর রহমান বলেন, বাকৃবির কৃষি প্রকৌশল অনুষদের বিজ্ঞানীরা ইতোমধ্যে অনেক দূর এগিয়ে গেছেন, যা আমাদের গর্বের বিষয়। কিন্তু এই অগ্রযাত্রা টিকিয়ে রাখতে এবং জাতীয়ভাবে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে এগিয়ে যেতে হলে সরকারিভাবে গবেষণা খাতে আরও বেশি বিনিয়োগ নিশ্চিত করতে হবে। প্রতিটি গবেষণার সঙ্গে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা নিবেদিতভাবে কাজ করছেন। তাদের মেধা ও পরিশ্রম যেন সঠিক পৃষ্ঠপোষকতা পায়, সেটি এখন সময়ের দাবি।

This post has already been read 691 times!

Check Also

সিভাসুতে মৎস্য সপ্তাহ উপলক্ষে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা

সিভাসু সংবাদদাতা: জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ ২০২৫ উপলক্ষে চট্টগ্রাম ভেটেনারি ও এনিমেল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়ের (সিভাসু) মাৎস্য …