এগ্রিনিউজ২৪.কম ডেস্ক: মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. তোফাজ্জেল হোসেনের সচিব পদে পদোন্নতি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে প্রতিক্রিয়া জানানোয় বিপাকে পড়েছেন মন্ত্রণালয়ের অধীন মৎস্য অধিদপ্তরের পাঁচ কর্মকর্তা। ‘স্যাড’ রিয়্যাক্ট দেওয়ার অভিযোগে তাদের বিরুদ্ধে কারণ দর্শানোর নোটিশ জারি করা হয়েছে।
সম্প্রতি উপদেষ্টা ফরিদা আখতার কর্তৃক সিনিয়র সচিব (জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়) বরাবর পাঠানো একটি ডিও (ডেমি অফিসিয়াল) লেটারে তোফাজ্জেল হোসেনকে সচিব পদে পদোন্নতির সুপারিশ করা হয়। ওই সুপারিশপত্রে বলা হয়, তিনি দীর্ঘদিন ধরে সততা, দক্ষতা ও দায়িত্বশীলতার সঙ্গে প্রশাসনিক দায়িত্ব পালন করছেন এবং পদোন্নতির জন্য সম্পূর্ণ উপযুক্ত।
অন্যদিকে সাংবাদিক জুলকারনাইনের একটি ফেসবুক পোস্টে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, তোফাজ্জেল হোসেন পূর্বে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় (২০১০–২০১৩) এবং পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ে (২০১৪–২০১৬) একান্ত সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। দুটি মেয়াদেই তিনি আওয়ামী লীগের একজন প্রভাবশালী মন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত ছিলেন।
এই পদোন্নতির বিষয়ে সামাজিক মাধ্যমে নানা প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। বিশেষ করে তোফাজ্জেল হোসেনের পদোন্নতি সংক্রান্ত সংবাদে ‘স্যাড’ রিয়্যাক্ট দেওয়ায় মৎস্য অধিদপ্তরের অন্তত পাঁচ কর্মকর্তাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, তাদের কর্মকাণ্ডকে ‘আচরণবিধি পরিপন্থী’ বলে মনে করে কর্তৃপক্ষ।
প্রশাসনিক মহলে এই পদক্ষেপকে কেন্দ্র করে আলোচনার ঝড় উঠেছে। অনেকেই একে অতিসংবেদনশীল প্রতিক্রিয়া হিসেবে দেখছেন। আবার কেউ কেউ বলছেন, সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সামাজিক মাধ্যমে আচরণ সংক্রান্ত নীতিমালা কঠোরভাবে প্রয়োগ করা হচ্ছে।
এ বিষয়ে মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে এখনো কোনো আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দেওয়া হয়নি।