Monday , June 16 2025

চালের দাম বাড়ানোর কোন যুক্তিই গ্রহণযোগ্য নয়- খাদ্যমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক: ব্যাবসায়ীদের চালের দাম বাড়ানোর কোন যুক্তিই গ্রহণযোগ্য নয় বলে উল্লেখ করেছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার।

বৃহস্পতিবার (২৫ জানুয়ারি) সকালে রাজশাহী জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে চালের বাজার নিয়ন্ত্রণে করণীয় শীর্ষক অংশীজনদের সাথে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন তিনি।

সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কঠোর নির্দেশনা দিয়েছেন। আমরাও কঠোর অবস্থানে আছি।অবৈধ মজুতদারি যারা করে তারা যে দলের হোক, যত শক্তিশালী লোকের আত্মীয় হোক কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।

খাদ্যমন্ত্রী বলেন, হঠাৎ দাম বাড়িয়ে বাজার অস্থির করলে কোনভাবেই বরদাস্ত করা হবেনা। মিলগেটে বিক্রয় করা চালের বস্তায় তারিখ ও দাম উল্লেখ করতে হবে। সারাদেশে মনিটরিং জোরদার করা হয়েছে।

কৃষককে নায্যমূল্য দিতেই সরকার কৃষকের কাছ থেকে ধান কিনে থাকে।এখন কৃষকের কাছে ধান নেই উল্লেখ করে তিনি বলেন, অনেক হাসকিং মিলে ঘাস গজিয়ে উঠেছে,বিদ্যুৎ এর সংযোগ নেই  এমন মিলেও অবৈধ মজুত পাওয়া যাচ্ছে।

তিনি বলেন, ধানের দাম বৃদ্ধির বিষয়ে প্রায়শই মিলার রা অভিযোগ করেন। কিন্তু একটা বিষয় মনে রাখবেন চালের বা ধানের ব্যবসায় ক্যাপাসিটির সবটুকুই ধরে রাখা যাবেনা। একটা অংশ ক্রাসিং হবে আর একটা অংশ বাজারজাত হবে।সব মিলিয়ে ক্যাপাসিটি নির্ধারণ করা হয়।

তিনি আরো বলেন, অনেক মিলমালিক লোন নিয়ে অটোমেটিক চালাতে পারেনা। দেওলিয়া হওয়ার পর কর্টোরেট প্রতিষ্ঠান সেই মিল কিনে নেয়। তবে কেউ ফুড গ্রেইন লাইসেন্স ছাড়া ধান চালের ব্যাবসা করতে পারবেনা বলে সতর্ক করে দেন তিনি।

সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, সরকারের অগ্রাধিকার এখন দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ করে সাধারণ মানুষকে শান্তিতে রাখা।অনেক রক্ত আর ত্যাগের বিনিময়ে আমরা বাংলাদেশ পেয়েছি। দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে সবাই আন্তরিকতার সাথে কাজ করলে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে আসবে খুব শীঘ্রই।

রাজশাহী বিভাগের কমিশনার ড. দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ূন কবীর এর সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় রাজশাহী-২ আসনের সংসদ সদস্য শফিকুর রহমান বাদশা, খাদ্য সচিব মো: ইসমাইল হোসেন,খাদ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো: সাখাওয়াত হোসেন ,রাজশাহী বিভাগের ডিআইজি মো: আনিসুর রহমান, এবং রাজশাহীর পুলিশ কমিশনার বিপ্লব বিজয় তালুকদার মতবিনিময় সভায় বক্তৃতা করেন।

মতবিনিময় সভায় রাজশাহী বিভাগের সকল জেলা প্রশাসক,পুলিশ সুপার,জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক ও মিল মালিক প্রতিনিধিগণ অংশ নিয়ে মতামত তুলে ধরেন।

This post has already been read 2977 times!

Check Also

গবাদিপশু ও পোল্ট্রির উপজাত ব্যবহার: ফিড শিল্পে হাজার কোটি টাকা সাশ্রয়ের সম্ভাবনা!

নিজস্ব প্রতিবেদক: গবাদিপশু ও পোল্ট্রির উপজাত পণ্য হতে পোল্ট্রি ও ফিস ফিড উৎপাদনের সম্ভাবনা (Potential …