📍 ঢাকা | 📅 শনিবার, ৪ অক্টোবর ২০২৫

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে ডিউটি ফ্রি তুলা চাইলেন বাণিজ্যমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক: বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি,এমপি বলেছেন, বাংলাদেশ পৃথিবীর দ্বিতীয় বৃহত্তম তৈরী পোশাক রপ্তানি কারক দেশ। বাংলাদেশের মোট রপ্তানির প্রায় ৮২ ভাগ আসে তৈরী পোশাক রপ্তানি করে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বৃহৎ তুলা উৎপাদনকারী দেশ। তৈরী পোশাক কারখানায় ব্যবহারের জন্য বাংলাদেশ প্রতি বছর বিভিন্ন দেশ থেকে বিপুল পরিমান তুলা আমদানি করে থাকে। রপ্তানি বেশি হলে বেশি পরিমান তুলা আমদানি করতে হয়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের তৈরী পোশাকের বৃহৎ রপ্তানি বাজার। তৈরী পোশাক কারখানায় ব্যবহারের জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশকে তুলা আমদানিতে ডিউটি ফ্রি বাণিজ্য সুবিধা প্রদান করলে আমাদের এ শিল্পের জন্য সুবিধা হয়।

বাণিজ্যমন্ত্রী আজ (শুক্রবার, ২০ জানুয়ারি) ঢাকায় হোটেল রেডিসন ব্লু ওয়াটার গার্ডেনে বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস এ্যাসোসিয়েশনের সহযোগিতায় বাংলাদেশ কটন এ্যাসোসিয়েশন আয়োজিত “৪র্থ গ্লোবাল কটন সামিট বাংলাদেশ-২০২৩” এ প্রধান অতিথির বক্তব্য প্রদানের সময় এসব কথা বলেন।

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, বিশ্ববাজারে চলমান তৈরী পোশাক রপ্তানি করতে বাংলাদেশের ৯ মিলিয়ন বেল্ট তুলার প্রয়োজন হয়, এর মাত্র এক লাখ ৫০ হাজার বেল্ট তুলা দেশে উৎপাদন হয়, যা মোট চাহিদার প্রায় ১.৬ ভাগ। বাকী বিপুল পরিমান তুলা বাংলাদেশকে বিভিন্ন দেশ থেকে আমদানি করতে হয়। বাংলাদেশ দেশে তুলা উৎপাদন বৃদ্ধি করার জন্য প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। সামনের দিনগুলোতে আরও প্রচেষ্টা চালানো হবে। এ উৎপাদন দ্বিগুন হলেও বিপুল পরিমান তুলা বাংলাদেশকে বিদেশ থেকে আমদানি করতে হবে। এক্ষেত্রে তুলা আমদানিতে ডিউটি ফ্রি বাণিজ্য সুবিধা দিতে পারে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ আগামী দুই বছরের মধ্যে ১০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের তৈরী পোশাক রপ্তানি করতে চাইলে বিপুল পরিমান তুলার প্রয়োজন হবে। তুলার উৎপাদন বাংলাদেশে কিভাবে বাড়ানো যায় সে বিষয়ে আন্তঃমন্ত্রণালয় বসে আলাপ আলোচনা করে ঠিক করা হবে। কম্বোডিয়ার মতো পৃথিবীর অনেক দেশে জমি অব্যবহ্যত থাকে। সেখানে মানুষ কম, চাষাবাদের প্রয়োজন হয় না। আমাদের দেশে দক্ষ জনবল আছে। এ ধরনের জমি লিজ নিয়ে যদি সেখানে তুলা উৎপাদন করে দেশে আনা যায়, তা দিয়ে আমরা তুলার প্রয়োজনীয় চাহিদা পূরণ করা সম্ভব।

বাংলাদেশ কটন এ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ আইয়ুব এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে গেষ্ট অফ অনার হিসেবে বক্তব্য রাখেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ঢাকা দূতাবাসের চার্জ ডি এ্যাফেয়ার্স হেলেন লা ফেভ (Helen La Fave), ঢাকাস্থ ব্রাজিল দূতাবাসের এ্যাম্বাসেডর পাউলো ফারনানদো ডায়াস ফেরিস (Paulo Fernando Dias Feres), ঢাকাস্থ অস্ট্রেলিয়ান হাইকমিশনের হাইকমিশনার জেরেমি ব্রুয়ার (Jeremy Bruer), এফবিসিসিআই এর প্রেসিডেন্ট প্রেসিডেন্ট মো. জসিম উদ্দিন, বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস এ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ আলী খোকন, বিজিএমইএ এর প্রেসিডেন্ট ফারুক হোসেন।

Share:

Facebook
Twitter
Pinterest
LinkedIn

Comments are closed.

আরো পড়ুন