নিজস্ব প্রতিবেদক: কৃষক যদি তার ফসলের ন্যায্য মূল্য না পায় তা হলে কৃষক বাঁচবে কি করে? বোরো ধানের মূল্য নিয়ে আমরাও চিন্তিত। কৃষক বাঁচাতে হলে কৃষির উৎপাদন খরচ কমাতে হবে। এর জন্য প্রয়োজন আধুনিক কৃষির। বিদেশের বাজারে কৃষি পণ্য প্রবেশ করার সক্ষমতা অর্জন করতে হবে। কৃষিমন্ত্রী বলেন, কৃষিকে লাভজনক করার জন্য যান্ত্রিকীকরন অপরিহার্য।
বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) কৃষি মন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক এম.পি রাজধানীর একটি হোটেলে কৃষি যন্ত্রপাতি এবং কৃষিপণ্য পরিবহনে মজবুত, টেকসই গাড়ীর পরিচিতি অনুষ্ঠানে একথা বলেন।
কৃষি মন্ত্রী বলেন, এদেশে দুর্ভিক্ষে লাখ লাখ মানুষ প্রাণ দিয়েছে। দেশ ভাগের পূর্ব হতে দেশ ভাগের পর পর্যন্ত সব সরকার বলেছে খাদ্যে স্বয়ংসম্পুর্ণতা অর্জনের কথা। একমাত্র ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় এসে খাদ্যে স্বর্য়সম্পুর্ণতা অর্জন করেছে। বাংলাদেশ আজ বিশে^র কাছে রোল মডেল, উন্নয়নের রোল মডেল। বিদেশি সাহায্য নির্ভরতা কমিয়ে এনেছে সরকার। নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মাসেতু হচ্ছে, জাতি হিসেবে আমাদের গর্বের বিষয়। এর পিছনে মায়ের মতো মমতা দিয়ে সাহস যুগিয়েছে, দিক নির্দেশনা দিয়েছে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তার জন্যই আজ আমরা স্বপ্ন দেখি উন্নত বাংলাদেশ।
কৃষি মন্ত্রী আরো বলেন, বাংলাদেশ উন্নয়নের পথে রয়েছে। অনেক প্রতিকুলতার মধ্যেও মাথা উচু করে দাড়িয়েছে। ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে একটি সুন্দর সমাজ ও দেশ উপহার দিতে হলে সরকারের উদ্যোগ বাস্তবায়নের সহযাত্রি হতে হবে সবাইকে। কৃষির আধুনিকায়ন তথা যান্ত্রিকীকরণের জন্য ৪ থেকে ৫ হাজার কোটি টাকার প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। আসুন আমরা এমন কিছু কল্যাণকর কাজ করে যাই যা মানুষ মনে রাখবে যুগধরে।
মা এন্টার প্রাইজের চেয়ারম্যান কৃষিবিদ আব্দুস সাত্তার এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে রিয়ার এডমিরাল (অবসরপ্রাপ্ত) কাজী সারোয়ার হোসেন বক্তব্য রাখেন।

