Tuesday , June 17 2025

কৃষিতে গতানুগতিক ধারা পরিহার করতে হবে -কৃষিমন্ত্রী

ঢাকা সংবাদদাতা: নতুন নতুন উন্নত জাত উদ্ভাবনের মাধ্যমে কৃষকদের চাষে আকৃষ্ট করতে হবে। কৃষকরা যাতে আকৃষ্ট হন, লাভবান হন, সেজন্য স্বল্প সময়ে অধিক উৎপাদন হয় এমন জাত কৃষক পর্যায়ে পৌছে দিতে হবে। কৃষিতে লাভজনক পর্যায়ে নিয়ে গিয়ে একে সম্মানজনক পেশায় পরিণত করতে হবে। তাহলে দেশের শিক্ষিত তরুণরা এ পেশায় এগিয়ে আসবে। তাই কৃষিতে গতানুগতিক ধারা পরিহার করে নতুন উদ্যোমে কাজ করতে হবে। প্রকল্পগুলো আমাদের লক্ষ্যমাত্রা কতটুকু পুরণ করেছে বা লক্ষ্যমাত্রা পুরণে কি করণীয় তা বের করতে হবে।

বুধবার (১৭) কৃষিমন্ত্রী ড. মো.আব্দুর রাজ্জাক এম.পি, রাজধানীর ফার্মগেটের বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল (বিএআরসি) অডিটরিয়ামে কৃষক পর্যায়ে উন্নতমানের ডাল, তেল ও মসলা বীজ উৎপাদন, সংরক্ষণ ও  বিতরণ (৩য় পর্যায়) প্রকল্পের জাতীয় কর্মশালায় এসব কথা বলেন।

ডাল, তেল ও মসলার আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণে সবাইকে উদ্যোগ নেয়ার আহবান জানিয়ে কৃষিমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে দেশে মোট তেল আমদানি করতে হয় প্রায় ৩০-৩৫ হাজার কোটি টাকার, যার মধ্যে শুধু ১৩-১৪ হাজার কোটি টাকার খাবার তেল আমদানি করতে হয়। ফলে বিপুল অংকের টাকা এখাতে ব্যয় হচ্ছে। আমদানি নির্ভরতা কমাতে কৃষি যান্ত্রিকীকরণের পাশাপাশি তৈল বীজ আবাদের এলাকা বৃদ্ধি করতে হবে। আগামী ৫ বা ১০ বছরে ভোজ্য তেল আমদানি কি পরিমান কমাতে চাই এবং এর জন্য কি পরিমান এলাকা আবাদের আওতায় আনতে হবে তা একটি সুনিদিষ্ট লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে সামনের দিকে আগাতে হবে।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কৃষিবিদ মীর নূরুল আলম এর সভাপতিত্বে কর্মশালায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কৃষি সচিব মো. নাসিরুজ্জামান। অন্যান্যের মধ্যে  কৃষি মন্ত্রণালয়ের বীজ উইংয়ের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) আশ্রাফ উদ্দিন আহমেদ। স্বাগত বক্তব্য দেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সরেজমিন উইংয়ের পরিচালক কৃষিবিদ ড. মো. আব্দুল মুঈদ। প্রকল্পের মূল কার্যক্রম উপস্থাপন করেন প্রকল্প পরিচালক কৃষিবিদ খায়রুল আলম প্রিন্স।

This post has already been read 4956 times!

Check Also

গবাদিপশু ও পোল্ট্রির উপজাত ব্যবহার: ফিড শিল্পে হাজার কোটি টাকা সাশ্রয়ের সম্ভাবনা!

নিজস্ব প্রতিবেদক: গবাদিপশু ও পোল্ট্রির উপজাত পণ্য হতে পোল্ট্রি ও ফিস ফিড উৎপাদনের সম্ভাবনা (Potential …