Saturday 4th of May 2024
Home / খাদ্য-পুষ্টি-স্বাস্থ্য / মানবদেহের গুরুত্বপূর্ণ কিছু পুষ্টি উপাদানের ভূমিকা

মানবদেহের গুরুত্বপূর্ণ কিছু পুষ্টি উপাদানের ভূমিকা

Published at মে ২৭, ২০১৮

ইফরান আল রাফি ( পবিপ্রবি প্রতিনিধি ): ক্ষুধা নিবারনের জন্য আমরা প্রতিনিয়ত কত রকমের খাবারই না খেয়ে থাকি, কিন্তু আমরা যা কিছু খাচ্ছি তার পুষ্টি গুণাগুণ সম্পর্কে আমরা কতটুকুই বা জানি? যতটুকুই বা জানি আমরা কি তা আদৌ মেনে চলি? আমরা যদি একটু পুষ্টি গুণাগুণ জেনে খাবার খাই, তাহলে কিন্তু আমরা খুব সহজেই সুস্থ ও রোগমুক্ত জীবন যাপন করতে পারি।

মানবদেহের গুরুত্বপূর্ণ কিছু পুষ্টি উপাদানের ভূমিকা আলোচনা করা হল:

ক্যালসিয়াম: ক্যালসিয়াম দেহের জন্য অত্যন্ত দরকারি উপাদান বিশেষ করে দাঁত এবং হাঁড় গঠনে। বাড়ন্ত শিশুর ক্যালসিয়ামের অভাব হলে দাঁত ও হাঁড়ের গঠন ঠিকমত হয়না। ক্যালসিয়ামের অভাবে শিশুদের রিকেটস এবং বয়স্কদের অস্টিও পোরেসিস রোগ হয়। একজন প্রাপ্ত বয়স্ক মানুষের দৈনিক প্রায় ৮০০ থেকে ১০০০ মিলি গ্রাম ক্যালসিয়াম খাওয়া উচিত।

আয়রন: আয়রন বা লৌহ খাদ্য তালিকায় আমাদের অত্যাবশ্যকীয় খাদ্য উপাদান। রক্তে থাকা হিমোগ্লোবিন তৈরি করে আয়রন। এটি শরীরের রোগ প্রতিরোধ করার ক্ষমতাকে স্বাভাবিক করতে সাহায্য করে। আয়রনের অভাবে অ্যানিমিয়া রোগ হয়। একজন প্রাপ্ত বয়স্ক মানুষের দৈনিক প্রায় ১০-১২ মিলি গ্রাম আয়রন খাওয়া উচিত।

ভিটামিন এ: ভিটামিন ‘এ’ চোখের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। এছাড়া ভিটামিন এ দেহের বৃদ্ধি ও বাহ্যিক আবরনের কোষ, চর্ম, দাঁত ও অস্থির গঠন এবং নানা রকম সংক্রামক রোগ হতে শরীরকে রক্ষা করার জন্য প্রয়োজনীয়। ভিটামিন ‘এ’ এর অভাবজনিত রোগের প্রাথমিক লক্ষণ হচ্ছে রাতকানা হয়ে যাওয়া। একজন প্রাপ্ত বয়স্ক মানুষের দৈনিক প্রায় ৭০০- ৯০০ মাইক্রো গ্রাম ভিটামিন ‘এ’ খাওয়া উচিত।

ভিটামিন বি: আটটি ‘বি’ ভিটামিনকে একএে “ভিটামিন বি কমপ্লেক্স” বলা হয়। ভিটামিন ‘বি১’ এর অভাবে বেরিবেরি রোগ হয়। ঠোঁট ও তালু ফাটা, ঠোঁটের কোনায় ঘা, গলা শুকিয়ে যাওয়া ইত্যাদি ভিটামিন ‘বি২’ এর অভাবে হয়ে থাকে। গর্ভবতী মহিলাদের ভিটামিন ‘বি৯’ এর অভাবে গর্ভস্থ শিশুর জন্মবিকৃতি ঘটে।

ভিটামিন সি: মানবদেহের জন্য অতি প্রয়োজনীয় একটি মাইক্রো নিউট্রিয়েন্ট। ভিটামিন ‘সি’ ত্বক,দাঁত ও চুল ভালো রাখতে সাহায্য করে। পাশাপাশি এটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে যা মানবদেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে বাড়িয়ে হৃদরোগ, ক্যান্সার সহ বিভিন্ন রোগের ঝুঁকি হ্রাস করে। এছাড়া শরীরে পর্যাপ্ত আয়রন শোষণে সহায়তা করে। একজন প্রাপ্ত বয়স্ক মানুষের দৈনিক প্রায় ৬০ মিলি গ্রাম ভিটামি ‘সি’ খাওয়া উচিত।

সূত্র : পুষ্টিবার্তা,পুষ্টি ও খাদ্য বিজ্ঞান অনুষদ,পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়।

This post has already been read 2127 times!