নিজস্ব প্রতিবেদক : বাংলাদেশের পোল্ট্রি ও গবাদিপশু খাতে একটি নতুন দিগন্ত উন্মোচন করলো এভারেস্ট এগ্রোজেনিক্স লিমিটেড। গত (৩ মে) রাজধানীতে এক অনাড়ম্বর অনুষ্ঠানে দক্ষিণ কোরিয়ার ফিড ওয়ান কোম্পানি থেকে আমদানিকৃত E-MAX (ই-ম্যাক্স) নামে প্রিমিয়াম লিকুইড ও পাউডার সাপ্লিমেন্ট পণ্যটির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়; যা প্রাণিসম্পদের উৎপাদন ও স্বাস্থ্যে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখবে বলে দাবি করা হয়েছে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন দক্ষিণ কোরিয়ার ফিড ওয়ান কোম্পানির পরিচালক ব্রুস হান, এভারেস্ট এগ্রোজেনিক্স লিমিটেড-এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ শাহীন শাহ, হেড অব সেলস রফিক আহমেদ, টেকনিক্যাল সেলস ম্যানেজার কৃষিবিদ জিয়াউর রহমান (বাদল), মার্কেটিং ম্যানেজার মো. অহেদুল ইসলাম, প্রোডাক্ট এক্সিকিউটিভ ডা. মো. রাকিব হাসান এবং ডা. মো. মহসিন ফারাজী প্রমুখ।
পণ্যটি সম্পর্কে এভারেস্ট এগ্রোজেনিক্স লিমিটেড- এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ শাহীন শাহ জানান, “বাংলাদেশের খামারিদের জন্য আমরা একটি কার্যকর ও প্রাকৃতিক সমাধান নিয়ে এসেছি, যা ডিম ও দুধের উৎপাদন বাড়াবে এবং খামারের পরিবেশ উন্নত করবে।”
মো. অহেদুল ইসলাম বলেন, এই পণ্য ব্যবহারে মুরগির ডিমের খোসা ও রঙ উন্নত হয়, ডিমের ওজন ও আকার বৃদ্ধি পায়, ডিম উৎপাদনের হার বাড়ে এবং মৃত্যুহার কমে যায়। এছাড়া এটি অ্যামোনিয়া গ্যাস ৫০ শতাংশের বেশি হ্রাস করে, যা খামারে স্বাস্থ্যকর পরিবেশ সুনিশ্চিত করে।
কৃষিবিদ জিয়াউর রহমান (বাদল) বলেন, গরু ও অন্যান্য গবাদিপশুর ক্ষেত্রে ই-ম্যাক্স দুধের মান ও পরিমাণ বৃদ্ধিতে সহায়ক, দুধে সোমাটিক সেলের পরিমাণ কমায় এবং ওলান প্রদাহ প্রতিরোধ করে। এছাড়াও এটি প্রজনন ক্ষমতা বৃদ্ধি, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি এবং অন্ত্রের উপকারী ব্যাকটেরিয়া সক্রিয়করণে সহায়তা করে।
ডা. মো. রাকিব হাসান বলেন, এটি পোল্ট্রির দৈহিক ওজন বৃদ্ধির পাশাপাশি প্যারেন্ট স্টকের উৎপাদশীলতা বাড়ায়।
জানা গেছে ই-ম্যাক্স -এ রয়েছে ৩০টিরও বেশি প্রকারের ফারমেন্টেড, পানিতে দ্রবণীয় প্রাকৃতিক খনিজ, যা প্রাণীদেহে ১০০% শোষিত হতে সক্ষম।
উল্লেখ্য, ই-ম্যাক্স বর্তমানে ১০০ গ্রাম ও ১০০ মিলিলিটার প্যাক সাইজে বাজারে পাওয়া যাচ্ছে। এটি নিবন্ধিত পশুচিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ব্যবহার করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।