সিভাসু সংবাদদাতা: দীর্ঘদিন ধরে আটকে থাকা মৎস্য ক্যাডারের ৩৯৫টি পদের পূর্ণাঙ্গ অর্গানোগ্রাম বাস্তবায়নের দাবিতে দেশের সব বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিশারিজ শিক্ষার্থীরা একযোগে কর্মসূচি পালন করেছে। পূর্বঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে চট্টগ্রামের প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও অ্যানিম্যাল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয় (সিভাসু)-তে আজ (৫ মে) দুপুর ১২টায় মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়।
সিভাসুর মেইন গেট সংলগ্ন চট্টগ্রাম মহাসড়কে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা ব্যানার হাতে নিয়ে দাঁড়ান এবং দাবির পক্ষে বক্তব্য রাখেন।
মাৎস্যবিজ্ঞান অনুষদের শিক্ষিকা নাঈমা ফেরদৌসী হক বলেন, “মাৎস্যবিজ্ঞানে প্রতিবছর হাজার হাজার গ্র্যাজুয়েট তৈরি হচ্ছে, যারা এই খাতকে এগিয়ে নিতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। ফিশারিজ সেক্টরের উন্নয়নে এ খাতের গ্র্যাজুয়েটদেরই অগ্রণী ভূমিকা রাখা উচিত। তাই দ্রুত অর্গানোগ্রাম বাস্তবায়ন সময়ের দাবি।”
ফিশ বায়োলজি অ্যান্ড বায়োটেকনোলজি বিভাগের প্রফেসর ড. মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর বলেন, “প্রত্যেক উপজেলায় প্রাণিসম্পদ সংক্রান্ত তিনটি পদ থাকলেও ফিশারিজ সম্পর্কিত মাত্র একটি পদ রয়েছে। এ বৈষম্য দূর করে দ্রুত ফিশারিজ পদ সংখ্যা বাড়িয়ে প্রাণিসম্পদ খাতের সমমান করতে হবে এবং ২০১৫ সালে প্রস্তাবিত ৩৯৫টি পদের অর্গানোগ্রাম দ্রুত বাস্তবায়ন করতে হবে।”
মানববন্ধনের প্রধান অতিথি ছিলেন মাৎস্যবিজ্ঞান অনুষদের ডীন প্রফেসর ড. শেখ আহমেদ আল নাহিদ। তিনি বলেন, “২০০০ সাল থেকে ফিশারিজ অনুষদের অধিকার প্রতিষ্ঠায় আমরা আন্দোলন করে আসছি। শিক্ষার্থীদের এই যৌক্তিক দাবির সঙ্গে আমরাও একাত্ম। আমরা আশা করছি, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ২০১৫ সালের প্রস্তাবিত ৩৯৫টি মৎস্য ক্যাডার পদের পূর্ণাঙ্গ অর্গানোগ্রাম বাস্তবায়ন এবং উপজেলা পর্যায়ে সহকারী মৎস্য কর্মকর্তার পদে দশম গ্রেডে নিয়োগের উদ্যোগ অচিরেই গ্রহণ করবে।”
ফিশারিজ শিক্ষার্থীদের এই মানববন্ধন সামগ্রিকভাবে মৎস্য খাতের সার্বিক উন্নয়ন ও প্রশাসনিক কাঠামোতে প্রয়োজনীয় সংস্কারের দাবি হিসেবে প্রতিধ্বনি তুলেছে।
এই আন্দোলনের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা আশাবাদ ব্যক্ত করেন, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ তাদের দাবি গুরুত্বসহকারে বিবেচনা করে দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ নেবে।