মঙ্গলবার , ডিসেম্বর ৩ ২০২৪

যশোরের ঝিকরগাছায় স্যাটেলাইট নিয়ন্ত্রিত চাষাবাদ শুরু

মিঠুন সরকার (যশোর) :গতানুগতিক কৃষিকে আধুনিক ও প্রযুক্তি নির্ভর করতে নানা মূখী উদ্যোগ গ্রহণ করছে সরকার। প্রযুক্তি ব্যবহারের একেবারে তলানিতে আছেন প্রান্তিক পর্যায়ের কৃষক। ফলে আধুনিক চাষের অনেক রীতিনীতি তাদের ধরা ছোয়ার বাইরেই থেকে যাচ্ছিল।

কৃষি আবহাওয়া তথ্য পদ্ধতি উন্নতকরণ প্রকল্পের মাধ্যমে আবহাওয়াবিদদের সমন্বয়ে কৃষি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ ব্যবস্থার উন্নয়ন, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি মৌসুমি পূর্বাভাস, আবহাওয়ার পূর্বাভাস ও পরামর্শ সেবার মান বৃদ্ধি করা এবং এই সেবা প্রান্তিক পর্যায়ে নিয়মিত ও দ্রুত পৌঁছে দেয়ার জন্য স্যাটেলাইট নিয়ন্ত্রিত একটি দ্রুত ও কার্যকর যোগাযোগ ও বিতরণ ব্যবস্থ করা হয়েছে।

এরই ধারাবাহিকতায় বিশ্বব্যাংকের আর্থিক সহায়তায় ২০১৭ সালে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদফতর, বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড এবং কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের সমন্বয়ে ‘বাংলাদেশ ওয়েদার অ্যান্ড ক্লাইমেট সার্ভিস প্রজেক্ট’ শীর্ষক একটি প্রকল্প নেয় সরকার।

দেশের বেশ কয়েকটি জেলায় পরীক্ষা মূলকভাবে সাফল্য পাওয়ায় এবার যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার সুবিধা বঞ্চিত ও সীমান্তবর্তী গঙ্গানন্দপুর ও শিমুলিয়া ইউনিয়নে স্যাটেলাইট নিয়ন্ত্রিত চাষ ব্যবস্থার বাস্তবায়ন করছে উপজেলা কৃষি অফিস।

ঝিকরগাছা উপজেলা কৃষি অফিসের তথ্য মতে, ‘স্যাটেলাইট নিয়ন্ত্রিত চাষ ব্যবস্থা বাস্তবায়নের জন্য গঙ্গানন্দপুর ও শিমুলিয়া ইউনিয়নে ৮টি কৃষক গ্রুপের মাধ্যমে মোট ১৪৬টি প্রদর্শণী বিনামূল্যে দেওয়া হয়েছে। এর মধ্য ভার্মি কম্পোস্ট ২০ টি, ফেরোমন ফাঁদ ব্যবহার করে শাক-সবজি উৎপাদন ১০টি ,স্বল্প জীবন দৈর্ঘ ফসল, সরিষা ও গম -৩০টি, উচ্চমূল্য ফসল উৎপাদন আদা/ হলুদ/পেঁয়াজ/রসুন- মূখীকচু (স্থানীয় উচ্চমূল্য)-২০ টি, কমিউনিটি বীজতলা -৪টি, রাইস ট্রান্সপ্লান্টারের মাধ্যমে ধানের চারা রোপন- ১০ টি, পাইপ পদ্ধতিতে সেচ প্রদান-২০ টি, গুনগন মানসম্পন্ন  দানা জাতীয় ফসলের বীজ উৎপাদন -৭ টি, ডাল জাতীয় ফসলের বীজ উৎপাদন -৯ টি, তেল জাতীয় ফসলের বীজ উৎপাদন -৯ টি প্রকল্প রয়েছে।

ঝিকরগাছা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মাসুদ হোসেন পলাশ বলেন, ‘ আমরা প্রান্তিক কৃষকের মাঝে স্যাটেলাইট নিয়ন্ত্রিত চাষ ব্যবস্থা পৌঁছে দিতে পেরেছি। স্যাটেলাইট নিয়ন্ত্রিত চাষের বড় সুবিধা হলো এই প্রযুক্তির মাধ্যমে মূলত এসএমএস পাঠিয়ে কৃষকদের নানা বিষয়ে অবহিত করা হবে। বিশেষ করে ধানক্ষেতের যেকোনো সমস্যা কিংবা জমিতে কোন সময়ে সেচ প্রয়োজন, এমনকি কী পরিমাণ পানি দরকার-সেটিও জানিয়ে দেয়া হবে। এটি সম্পূর্ণ প্রযুক্তি নির্ভর হওয়ায় তৎক্ষণাৎ সমস্যার সমাধান পাওয়া যাবে।

This post has already been read 2344 times!

Check Also

বারি উদ্ভাবিত আনারসের লাড্ডু মেটাবে পুষ্টি চাহিদা

কৃষিবিদ ইফরান আল রাফি : বাংলাদেশের প্রধান ফলগুলোর মধ্যে পুষ্টিগুন সম্পন্ন আনারস অন্যতম। উৎপাদন মৌসুমে …