
নিজস্ব প্রতিবেদক: আগামী দুই বছরের জন্য (২০২৩-২৫) এনিমেল হেলথ কোম্পানিজ এসোসিয়েশন (আহকাব) -এর নতুন কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২ ফেব্রুয়ারি) আহকাব অফিসে নির্বাচন কমিশনের চেয়ারম্যান মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের যুগ্ন সচিব মো. হামিদুর রহমান বিনা প্রতিদ্বন্দীতায় বিজয়ী ১৫ জনের নাম ঘোষণা করেন। এ সময় নির্বাচন কমিশনের ওপর দুই সদস্য প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের সাবেক উপপরিচালক ডা. মো. হাফিজুর রহমান এবং উপপরিচালক (প্রশাসন) ডা. মো. মাহবুবুল আলম ভূঁইয়া উপস্থিত ছিলেন। এরপর আলাপ আলোচনার ভিত্তিতে সকলের সর্বসম্মতিক্রমে পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হয়।
এতে সভাপতি হিসেবে সায়েম উল হক (নোভিভো এনিমেল হেলথ লিমিটেড) এবং মহাসচিব হিসেবে মোহাম্মদ আফতাব আলম (ইমপেক্স মার্কেটিং লিমিটেড) নির্বাচিত হয়েছেন। সহ সভাপতি হিসেব ডা. এসএমএফবি আবদুস সবুর (এফটিডিসি ট্রেড অ্যান্ড কনসালটেশন), যুগ্ম সচিব হিসেবে ডা. মোহাম্মদ সরোয়ার জাহান (সেইফ বায়ো প্রোডাক্টস লি.), কোষাধ্যক্ষ হিসেবে ডা. মোহাম্মদ জামিল হোসেন (আদিয়ান এগ্রো লিমিটেড), সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে এ এম আমিরুল ইসলাম ভূঁইয়া (ইসলাম এন্টারপ্রাইজ) নির্বাচিত হয়েছেন।

এছাড়াও নির্বাহি সদস্যগণের মধ্যে নির্বাচিত হয়েছেন মো. ছায়েদুল হক খান (খান এগ্রো ফিড প্রোডাক্ট), তারেক মাহমুদ খান (বেঙ্গল এগ্রোভেট লিমিটেড), মোহাম্মদ রাশেদুল জাকির (আর আর এগ্রো ট্রেডার্স), ডা. খন্দকার মুহাম্মদ মাহমুদ হোসেন (এরেনা এগ্রো), মো. গিয়াস উদ্দিন খান (এইচ অ্যান্ড কে ফিড প্রোডাক্ট), মোহাম্মদ ফায়জুর রহমান (অ্যাভেন্স এশিয়া লি.), ডা. মো. মোজাম্মেল হক খান (এমএইচকে এগ্রো), মুহাম্মদ তারিক সরকার (গ্রোটেক এনিমেল হেলথ), ডা. মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন (এগ্রোটেক গ্লোবাল বিডি নিউট্রিশন)।
উল্লেখ্য, আহকাব নির্বাচন উপলক্ষ্যে কমিশনের পক্ষ থেকে গত ৬ ডিসেম্বর নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়। এতে নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য মোট ৩২ জন প্রার্থী নমিনেশন পেপার সংগ্রহ করেন এবং যাচাই বাঁছাই শেষে এর মধ্য থেকে ২ জনের প্রার্থীতা বাতিল করা হয়। গতকাল বুধবার (১ ফেব্রুয়ারি) ছিল প্রার্থীতা প্রত্যাহারের শেষ দিন। অতপর সকলের মধ্যে সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে আলাপ আলোচনার মাধ্যমে ওইদিন (১ ফেব্রুয়ারি) ১৫জন প্রার্থী তাদের প্রার্থীতা প্রত্যাহার করে নেন। এর ফলে বাকী ১৫ জন বিনা প্রতিদ্বন্দীতায় নির্বাচিত হন।
আহ্কাব সূত্রের দাবী, নতুন নির্বাচিত কমিটি বিষয়টিকে জয়-পরাজয় হিসেবে দেখতে চাইছেন না। তাঁদের মতে, প্রত্যেকেই আহ্কাব পরিবারের সদস্য এবং সকলের সহযোগিতায় প্রতিটি সদস্যকে সঙ্গে নিয়ে দেশের প্রাণিজ আমিষ খাতের উন্নয়নে তাঁরা একযোগে কাজ করতে চান।