Thursday 25th of April 2024
Home / অর্থ-শিল্প-বাণিজ্য / ভারতের হাই কমিশনারের সাথে বাণিজ্যমন্ত্রীর বৈঠক ব্যবসা বাণিজ্য সহজ এবং সহযোগিতা বৃদ্ধির আশাবাদ

ভারতের হাই কমিশনারের সাথে বাণিজ্যমন্ত্রীর বৈঠক ব্যবসা বাণিজ্য সহজ এবং সহযোগিতা বৃদ্ধির আশাবাদ

Published at ডিসেম্বর ২০, ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক : বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি, এমপি বলেছেন, ভারত বাংলাদেশের ঘনিষ্টবন্ধু রাষ্ট এবং বৃহৎ ব্যবসায়ীক অংশীদার। ভারতের বাজারে বাংলাদেশের পণ্যের বিপুল চাহিদা রয়েছে। এসকল পণ্য রপ্তানি বৃদ্ধির সুযোগ রয়েছে। বানিজ্য সহজ করলে বাংলাদেশের পণ্য রপ্তানি অনেক বাড়বে এবং উভয় দেশের বাণিজ্য্য ব্যাবধান কমবে। বাংলাদেশ এখন আন্তর্জাতিক মানের পণ্য তুলনামূলক কম দামে সরবরাহ করতে সক্ষম। এজন্য ভারত বাংলাদেশ সীমান্তের স্থল বন্দর গুলোর সক্ষমতা বৃদ্ধি করা প্রয়োজন। বাণিজ্য বৃদ্ধির জন্য  জটিলতা দুর করতে হবে।

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, বর্ডারহাটগুলো উভয় দেশের মানুষের মধ্যে বেশ আগ্রহ সৃস্টি করেছে। ভারতের সেভেন সিস্টার খ্যাত রাজ্যগুলোর মানুষগুলো উপকৃত হয়েছে। এতে করে উভয় দেশের মানুষ খুশি। ভিসা ইস্যু সহজ হলে মানুষের যাতায়াত বাড়বে। এতে উভয় দেশের মানুষ উপকৃত হবে। বাংলাদেশ ভারতের বাজারে পণ্য রপ্তানি বৃদ্ধ করতে আগ্রহী, এজন্য ভারত সরকারের আন্তরিক সহযোগিতা প্রয়োজন।

বাণিজ্যমন্ত্রী মঙ্গলবার (২০ ডিসেম্বর) ঢাকায় বাংলাদেশ সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে তাঁর অফিস কক্ষে ঢাকায় নিযুক্ত ভারতের নবনিযুক্ত হাই কমিশনার প্রনয় ভার্মা (Pranay Varma) এর সাথে মতবিনিময়ের সময় এসব কথা বলেন।

ভারতের নবনিযুক্ত হাই কমিশনার প্রনয় ভার্মা বলেন, বাংলাদেশ ভারতের ভলো বন্ধু। ভারত সরকার সবসময় বাংলাদেশকে অধিক গুরুত্ব দিয়ে থাকে। বাংলাদেশের সাথে ভারতের ব্যবসা বাণিজ্য এবং সহযোগিতা অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি হয়েছে। আকাশ পথের পাশাপাশি সড়ক ও নৌপথে যোগাযোগ উন্নত হয়েছে। ভারতে সীমান্তবর্তী রাজ্যগুলোর সাথে  বাংলাদেশের যোগাযোগ সহজ হয়েছে। এর ফলে উভয় দেশের ব্যাবসা বাণিজ্য বৃদ্ধি পেয়েছে।

তিনি বলেন, রেলপথে কনটেইনারের মাধ্যমে পণ্য পরিবহনের কারনে উভয় দেশ উপকৃত হয়েছে। সড়ক পথের পাশাপাশি  ট্রেন যোগাযোগ স্থাপনের ফলে উভয় দেশের মানুষ উপকৃত হয়েছে। পেট্রোলিয়ামজাত পণ্য পরিবহনের জন্য পাইপ লাইন নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে। আশা করা যায় আগামী ফেব্রুয়ারি থেকে এ পাইপ লাইন ব্যবহার করা সম্ভব হবে। এতে করে উভয় দেশের মানুষ উপকৃত হবে। ভরতেম মধ্যদিয়ে নেপাল ও ভূটান থেকে বিদ্যুত আমদানি করলে বাংলাদেশ উপকৃত হবে। আশা করা যায় আগামী দিনগুলোতে উভয় দেশের ব্যবসা বাণিজ্য এবং সহযোগিতা আরও বৃদ্ধি পাবে।

This post has already been read 1279 times!