Thursday 18th of April 2024
Home / ফসল / সার নিয়ে বিভ্রান্ত না হওয়ায় আহ্বান কৃষিসচিবের

সার নিয়ে বিভ্রান্ত না হওয়ায় আহ্বান কৃষিসচিবের

Published at সেপ্টেম্বর ৭, ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক: সার নিয়ে কৃষকদের বিভ্রান্ত না হওয়ায় আহ্বান জানিয়েছেন কৃষিসচিব মো: সায়েদুল ইসলাম। তিনি বলেন, দেশে পর্যাপ্ত সার মজুদ রয়েছে। গুজবে কান দিয়ে বিভ্রান্ত হওয়া যাবে না।

বুধবার (৭ সেপ্টেম্বর) বিকালে সচিবালয়ে ভার্চুয়ালি ‘সার্বিক সার ও সেচ পরিস্থিতি পর্যালোচনা’ সভায় কৃষিসচিব এসব কথা বলেন।

সভায় কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (সার ব্যবস্থাপনা ও উপকরণ) বলাই কৃষ্ণ হাজরা, অতিরিক্ত সচিব (সম্প্রসারণ) রবীন্দ্রশী বড়ুয়া, বিএডিসির চেয়ারম্যান, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, বিসিআইসির চেয়ারম্যান, সকল জেলা প্রশাসক, সারা দেশের মাঠ পর্যায়ের কৃষি বিভাগের কর্মকর্তারা সংযুক্ত ছিলেন।

সভায় জেলা প্রশাসকগণ ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালকবৃন্দ সারের সার্বিক পরিস্থিতি তুলে ধরেন। তারা জানান, মাঠ পর্যায়ে পর্যাপ্ত সার রয়েছে। সারের কোন সংকট নেই। তবে সারের দাম বাড়বে বলে গুজব ও কোন কোন জায়গায় বিভ্রান্তিকর তথ্যের কারণে সারের বিষয়ে প্রায়শই গণমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হচ্ছে। এছাড়া, কৃষকের মধ্যেও সার মজুতের প্রবণতা লক্ষ করা যাচ্ছে।

সভায় সারের কারসাজি রোধে মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের কতিপয় নির্দেশনা দেয়া হয়। এগুলো হলো:-রশিদ ছাড়া যেন সার বিক্রি না হয় তা নিশ্চিত করা। ডিলার ও খুচরা বিক্রেতার দোকানে লালসালুতে বা ডিজিটালি সারের মূল্য তালিকা টানিয়ে রাখা নিশ্চিত করা। খুচরা বিক্রেতাদের নিকট সার সরবরাহ নিশ্চিত করা। কৃষককে যেন লাইনে দাঁড়িয়ে স্লিপ দিয়ে সার কিনতে না হয় তা নিশ্চিত করতে হবে। ডিলারের গুদাম ভিজিট করে সারের অ্যারাইভাল নিশ্চিত করতে হবে ও ট্রাক চালানের সাথে তা যাচাই করে দেখতে হবে। জেলা প্রশাসন ও উপজেলা প্রশাসনের সাথে কৃষি বিভাগ নিবিড় যোগাযোগ রক্ষা করবে এবং নিয়মিত মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করতে হবে। এছাড়া, কৃষি মন্ত্রণালয় হতে সার বরাদ্দের সাথে সাথেই বিসিআইসি হতে সার উত্তোলনের অনুমতি দেয়ার জন্য বিসিআইসি চেয়ারম্যানকে পরামর্শ প্রদান করা হয়।

সভায় জানান হয়, চাহিদার বিপরীতে দেশে সব রকমের সারের পর্যাপ্ত মজুত রয়েছে। বর্তমানে (০৭ সেপ্টেম্বর) ইউরিয়া সারের মজুদ ৬ লাখ ৪১ হাজার মেট্রিক টন, টিএসপি ৪ লাখ ১৫ হাজার টন, ডিএপি ৯ লাখ ০৪ হাজার টন, এমওপি ২ লাখ ৪৬ হাজার টন। সারের বর্তমান মজুদের বিপরীতে সেপ্টেম্বর থেকে অক্টোবর মাস পর্যন্ত সারের চাহিদা হলো ইউরিয়া ৩ লাখ ৫০ হাজার টন, টিএসপি ৯৬ হাজার টন, ডিএপি ২ লাখ ১৯ হাজার টন, এমওপি ১ লাখ ২১ হাজার টন।

বিগত বছরের একই সময়ের তুলনায়ও সারের বর্তমান মজুদ বেশি। বিগত বছরে এই সময়ে ইউরিয়া সারের মজুদ ছিল ৫ লাখ ৯৯ হাজার মেট্রিক টন, টিএসপি ২ লাখ ১৩ হাজার টন, ডিএপি ৬ লাখ ৭৩ হাজার টন এবং এমওপি ১ লাখ ৮১ হাজার টন।

This post has already been read 1799 times!