Saturday 4th of May 2024
Home / ফসল / শিল্পে ব্যবহার উপযোগী আলুর ৫টি নতুন জাত নিয়ে আসছে এসিআই

শিল্পে ব্যবহার উপযোগী আলুর ৫টি নতুন জাত নিয়ে আসছে এসিআই

Published at জুলাই ৫, ২০২২

বিশেষ প্রতিবেদক, এগ্রিনিউজ২৪.কম : শীঘ্রই শিল্পে ব্যবহার উপযোগী আলুর ৫টি নতুন জাত নিয়ে আসছে এসিআই। নেদারল্যান্ডসের ইমেলুর্ডে অবস্থিত দেশটির অন্যতম বৃহৎ আলু বীজ কোম্পানি সেপ (Schaap) থেকে মূলত উক্ত আলুর জাত নিয়ে আসা হবে। কৃষিমন্ত্রী আজ (৫ জুলাই) ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক এম,পি উক্ত কোম্পানির আলুর বীজ উৎপাদন এবং আলুর বীজের গুনাগুণ নির্ণয় ও সত্যায়ন সংক্রান্ত ল্যাবরেটরি পরিদর্শন করেন। সফরসঙ্গী হিসেবে সরকারি বেসরকারি উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তা ছাড়াও এ সময় উপস্থিত ছিলেন দেশের কৃষি সেক্টরের অন্যতম কোম্পানী এসিআই এগ্রিবিজনেস প্রেসিডেন্ট ড. এফএইচ আনসারী।

মাঠ পরিদর্শনের সময় কৃষিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে আলু উৎপাদন বহুগুণে বাড়ানো সম্ভব। কিন্তু বাজারজাতকরণে সমস্যা রয়েছে। শিল্পে ব্যবহার উপযোগী ও রপ্তানিযোগ্য জাতের আলু চাষ করতে পারলে এ সমস্যা কেটে যাবে। আমরা সে লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছি।

এ সম্পর্কে ড. আনসারী এগ্রিনিউজ২৪.কম কে ফোনে বলেন, কৃষিমন্ত্রীসহ আমরা নেরাদল্যান্ডের অন্যতম বৃহৎ আলু বীজ কোম্পানি সেপ (Schaap) এর আলু ক্ষেত পরিদর্শন করি, যেখানে আলু বীজ উৎপাদন করা হয়। চলতি বছরেই উক্ত ক্ষেত থেকে উৎপাদিত আলু বাংলাদেশে রপ্তানি হবে এবং এসিআই কোম্পানির মাধ্যমে দেশে উক্ত কোম্পানির আলুবীজ বাজারজাত করা হবে।

‘সেপ এর মোট ৫টি আলুর জাত বাংলাদেশে রেজিস্ট্রেশন হয়েছে। ফ্রেঞ্চ ফ্রাই বা বাণিজ্যিক প্রক্রিয়াজাত পণ্য উৎপাদনের জন্য দেশে এতদিন পর্যন্ত তেমন একটা আলুর জাত ছিল না। সেপ এর যে ৫টি জাত আমরা বাজারজাত করবো তার মধ্যে আমোরা (Amora) ও ব্যালেন্সিয়া (Bellanita) নামক জাতটি বাণিজ্যিক ফ্রেঞ্চ ফ্রাই উৎপাদনের জন্য বিখ্যাত। আমোরা জাতটিতে ২৩.৮% এবং অন্যটিতে ২২% পর্যন্ত ড্রাই মেটার আছে যা ফ্রেঞ্চ ফ্রাই উৎপাদনের জন্য যথেষ্ট ভালো। এছাড়াও ফ্রেঞ্চ ফ্রাই উৎপাদনের জন্য সাধারণত তেল শোষণ ক্ষমতা ০.৩ এর বেশি হওয়া উচিত না; এক্ষেত্রে সেপ কোম্পানির Amora ও Bellanita জাতের আলুর জাতের তেল শোষণ ক্ষমতা ০.২ এবং সুগার কন্টেন্ট ৩% এর নীচে; যা ফ্রাঞ্চ ফ্রাই উৎপাদনের জন্য চমৎকার’ যোগ করেন ড. আনসারী।

ড. আনসারী বলেন, বাংলাদেশ সরকারের উন্মুক্ত নীতির কারণে এবং আলুকে ৩ বছরের জন্য ডিনোটিফায়েড ফসল ঘোষণা করার জন্য জাতগুলো রেজিস্ট্রেশন পেয়েছে। উল্লেখিত জাতগুলো বাংলাদেশে চাষ হলে এর মাধ্যমে বাণিজ্যিকভাবে ফ্রেঞ্চ ফ্রাই উৎপাদন ও বিদেশ রপ্তানি করা যাবে।

তিনি জানান, আমোরা (Amora) জাতটির হেক্টরপ্রতি উৎপাদন ক্ষমতা ৪২ টন এবং জীবনকাল ৮০ দিন।

উল্লেখ্য, শিল্পে ব্যবহার উপযোগী ও রপ্তানিযোগ্য বেশ কিছু জাতের আলু এসিআই এর মাধ্যমে নেদারল্যান্ডস থেকে বাংলাদেশে ইতোমধ্যে আনা হয়েছে, যেগুলোর পরীক্ষামূলক আবাদ শেষ হয়েছে এবং এখন কৃষক পর্যায়ে নেয়ার কাজ চলমান আছে।

This post has already been read 5318 times!