শনিবার , জুলাই ২৭ ২০২৪

বরই চাষে দ্বিগুন লাভে সফল গোদাগাড়ীর মিঠুন

মো: আমিনুল ইসলাম (রাজশাহী) : রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে বাণিজ্যিকভাবে বরই (কুল) চাষে ভাগ্য পরিবর্তন ঘটেছে এক যুবকের। উপজেলার গোদাগাড়ী ইউনিয়নের ঝিকড়াকুন্দলিয়া গ্রামের এহসান আলীর ছেলে রহমত আলী মিঠুন। ৫৫ বিঘা জমিতে বল সুন্দরী জাতের বরই চাষ করে আর্থিকভাবে প্রায় দ্বিগুন লাভবান হয়েছেন তিনি।

বরই চাষি মিঠুন বলেন, জমি বর্গা নিয়ে ধান চাষ করে তেমন লাভবান হতে পারিনি। কিন্তু বরই চাষে এক বছরে ৯ লাখ টাকা আয় করেছি। বরই চাষে ১০ লাখ টাকা খরচ হলেও ১৯ লাখ টাকার বরই বিক্রি করেছি।

কৃষক মিঠুন আরো বলেন, ঝিকড়াব্লকের উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা নুরুল ইসলামের কারিগরি সহযোগিতা ও পরামর্শে ৫৫ বিঘা জমিতে বরই চারা রোপন করি । চলতি মৌসুমে ১৯ লাখ টাকার বরই বিক্রি করেছি। আগামী বছর বরই এর বাগানে তেমন খরচ হবে না। তবে আশা করি এবারের চেয়ে আগামী বছর বরইয়ের ফলন আরো বেশি হবে।

উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা নুরুল ইসলাম বলেন, বরই চাষে সেচ কম প্রয়োজন হয়। সময়মত সার ও কীটনাশক ব্যবহার করা গেলে বরই এর ফলন ভালো পাওয়া যাবে। এ ক্ষেত্রে কৃষক  মিঠুন সঠিকভাবে বরই বাগানের পরিচর্যা করায় সাফল্য পেয়েছে। বরই চাষের পাশাপাশি বল সুন্দরী জাতের বরই চারা তৈরি করে অন্য কৃষকদেও কাছে কম মূল্যে সরবারহ করছে এই কৃষক। মিঠুনের বরই বাগানে ২০ জন কৃষি শ্রমিকের কর্মসংস্থান হয়েছে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শারমিন সুলতানা বলেন, আগ্রহী বরই চাষিদের প্রশিক্ষণের সঙ্গে ভালো জাতের বরই চারা ব্যবস্থা করছে গোদাগাড়ী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর।

রাজশাহী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর এর উপ পরিচালক মোজদার হোসেন বলেন, বরেন্দ্রের লাল মাটি বরই চাষের জন্য উপযোগী। এছাড়াও চর অঞ্চলে বানিজ্যিকভাবে বরই চাষ বৃদ্ধি পাচ্ছে। তিনি আরো বলেন, কৃষক/ তরুন বেকার যুবকদেও কর্মসংস্থানের লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে কৃষি বিভাগ । স্বল্প সময়ের মধ্যে কৃষককে একের অধিক ফসল ফলানোর জন্য নানাভাবে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। তাছাড়া উপসহকারী কৃষি অফিসারগণ সার্বক্ষণিক মাঠে কৃষকের সাথে কাজ করছেন। যাতে কৃষকের কোন প্রকার সমস্যার সৃষ্টি না হয়।

This post has already been read 3926 times!

Check Also

স্নাতক পাশ করেই নার্সারী থেকেই পিন্টুর মাসিক আয় ৫ লাখ টাকা

মিঠুন সরকার (যশোর সংবাদদাতা) : কৃষি কাজকে অনেকে কটুক্তির চোখে দেখলেও স্নাতক পাশ করেই কৃষিতে …