Tuesday 19th of March 2024
Home / ফসল / বোরো ধানের আগাম কুশি পর্যায়ে করণীয়

বোরো ধানের আগাম কুশি পর্যায়ে করণীয়

Published at জানুয়ারি ১৭, ২০২২

কৃষিতাত্ত্বিক ব্যবস্থাপনা: প্রি-ইমারজেন্স আগাছানাশক হিসেবে বেনসালফিউরান মিথাইল+এসিটাফ্লোর, মেফেনেসেট+বেনসালফিউরান মিথাইল ইত্যাদি গ্রুপের আগাছানাশক রোপনের ৩ দিনের মধ্যে প্রয়োগ করতে হবে। রোপা/বোনা ধানের ক্ষেত্রে পোস্ট ইমারজেন্স আগাছানাশক প্রয়োগেও আগাছা ভালভাবে পরিষ্কার হয়। সে ক্ষেত্রে বিসপাইরিবেক সোডিয়াম+বেনসালফিউরাল মিথাইল, ডায়াফিমনি, ইথক্সিসালফিউরান এবং ফেনক্সলাম গ্রুপের আগাছানাশক আগাছার পাতা ১-৩টি হলেই জমিতে প্রয়োগ করতে হবে। হাত দিয়ে নিড়ানি দিলে আগাছানাশক প্রয়োগ করার দরকার নাই । রোপণের ১২-১৫ দিনের মধ্যে ১ম বার হাত নিড়ানি দিতে হয়।

সেচ ব্যবস্থাপনা: সদ্য রোপনকৃত জমিতে ২-৩ সে.মি. পানি ধরে রাখতে হবে যাতে অতিরিক্ত ঠান্ডায় চারা মারা না যায়। চারা রোপনের ১২-১৫ দিন পর্যায়ক্রমে ভিজানো এবং শুকানো পদ্ধতি প্রয়োগ করা যাবে না। শৈত্য প্রবাহের সময় প্রতিদিন পানি পরিবর্তন করে নতুন করে পানি প্রয়োগ করতে হবে। এতে মাটির তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাবে এবং সন্তাব্য শীতের প্রকোপ থেকে চারা গাছকে রক্ষা করবে।

কীটপতঙ্গ ব্যবস্থাপনা: আগাম কুশি গজানো অবস্থায় রোপনকৃত ধানে পাতামাছিসহ মাজরা পোকার আক্রমন হতে পারে। এ অবস্থায়, পাতামাছি দমনের জন্য জমি থেকে পানি বের করে দিন বা জমিতে ছিপছিপে পানি রাখুন। ইউরিয়া সারের প্রথম উপরি প্রয়োগে এ পোকার আক্রমণ কমে যায়। তবে এ পোকার আক্রমণে শতকরা ২৫ ভাগ পাতা ক্ষতিগ্রস্ত হলে ডার্সবার্ন প্রতি লিটার পানিতে এক মিলিলিটার কীটনাশক মিশিয়ে জমিতে প্রয়োগ করুন। মাজরা পোকা দমনের জন্য জমিতে ডালপালা পুতে দিন। ডিমের গাদা সংগ্রহ করে ধ্বংস করুন। শতকরা ১০-১৫ মরাডিগ দেখা গেলে সিস্টেমিক কীটনাশক ভিরতাকো পরিমিত মাত্রায় জমিতে প্রয়োগ করুন।

রোগবালাই ব্যবস্থাপনা: এ সময় জমিতে কৃসেক রোগ দেখা দিতে পারে । রোগ দেখা দিলে জমিতে বিঘাপ্রতি অতিরিক্ত ৫ কেজি পটাশ সার প্রয়োগ করতে হবে এবং রোগ দেখা দিলে জমির পানি শুকিয়ে দিতে হবে। তাছাড়া জমিতে যদি বাকানী রোগের লক্ষণ দেখা দেয় (স্বাভাবিকের চেয়ে চারা লম্বা ও চিকন হয়ে যাওয়া) তবে আক্রান্ত কুশি ভেঙ্গে দিতে হবে।

কৃতজ্ঞতা: ব্রি এগ্রোমেট গ্রুপ

This post has already been read 3795 times!