Friday 29th of March 2024
Home / ফসল / নারিকেল গাছের আত্মকথা

নারিকেল গাছের আত্মকথা

Published at জুলাই ২৯, ২০২১

কৃষিবিদ মো. মনিরুল ইসলাম : আমার ফল বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান অর্থকরী ফসল হিসাবে পরিচিতি। আমি এ দেশের সর্বত্র জম্মালেও খুলনা, বাগেরহাট, বরিশাল, পটুয়াখালী, ভোলা, নোয়াখালী, চট্টগ্রাম, ফরিদপুর ও যশোর এলাকায় আমার উৎপাদন কেন্দ্রিভুত। ধারনা করা হয় আমার আদি স্থান ভারত ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় দীপাঞ্চল। বর্তমানে ৮০ টির ও অধিক দেশে আমার বিস্তার । আপনারা শুনে অবাক হবেন, শুধুমাত্র অমার দেহ থেকে মানবকুলের ব্যবহার উপযোগী সর্বাধিক সংখ্যক সামগ্রী তৈরি করা হয়। ব্যবহার বৈচিত্র্যে আমি অতুলনীয় উদ্ভিদ। সে কারনে মানুষ গর্বের সাথে আমার নাম দিয়েছে ‘স্বর্গীয় গাছ’, ‘জীবনের গাছ’, ‘প্রাচুর্যের গাছ’, Tree of life’ বা ‘জীবন রক্ষাকারী গাছ’ ইত্যাদি। হ্যাঁ, এবার আমার আসল পরিচয় খুলেই বলি। আমি নারিকেল গাছ। আমার ইংরেজি নাম Coconut tree’ বিজ্ঞানীরা আমার পোশাকী নাম দিয়েছে Cocos nucifera’।

আমার জীবনের সবচেয়ে সুবিধা হলো আমি সারা বছর ফল দেই। তাছাড়া ও আমি এমন এক গাছ যার মূল থেকে ডগা পর্যন্ত সকল অংশই কোন না কোনভাবে দৈনন্দিন কাজকর্মে ব্যবহৃত হয়। আর একটি দিক আপনাদের জানা দরকার। বাংলাদেশে খাদ্য ও শিল্পের কাঁচামাল হিসাবে বছরে যে পরিমান নারিকেল প্রয়োজন হয় সে তুলনায় উৎপাদন কম হয়। বাকি চাহিদা পুরনের জন্য আমদানির উপর নির্ভর করতে হয়। আবার উৎপাদিত নারিকেল এর মধ্যে ৩৫-৪০% ডাব হিসাবে ব্যবহৃত হয়। অন্যান্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশে উৎপাদন খুবই কম। এর অন্যতম প্রধান কারন হলো রোপনের পর আমার গোড়ায় কেউ সুষম মাত্রায় সার দেয় না, যত্ন ও পরিচর্যার অভাব এবং রোগ বালাই ও পোকামাকড়ের আক্রমন। অথচ আমি বছরের পর বছর নিঃস্বার্থভাবে ফল দিয়ে যাচ্ছি। এর ফলে মাটিতে পুষ্টি উৎপাদনের ঘাটতিতে আমি আর আগের মত ভাল ফলন দিতে পারছি না। কৃষি বিশেজ্ঞদের মতে, শুধুমাত্র সার প্রয়োগের মাধ্যমে আমার ফলন দ্বিগুন করা সম্ভব। এদেশে আমার চাষ বৃদ্ধি যথেষ্ট সুযোগ ও স¤া¢বনা রয়েছে। এজন্য শুধুমাত্র বাগান নয় আপনাদের বসতবাড়ির আশেপাশে, রাস্তা-ঘাট, অফিস-আদালত, মাঠ-ঘাট, স্কুল-কলেজ, পুকুর, খাল-বিলের আশেপাশে বহু স্থানে অনেক ফাঁকা জায়গা পড়ে আছে সেখানে আমার চারা রোপণ করা যেতে পারে। এভাবে আমার আবাদ বাড়িয়ে দেশের প্রয়োজন মিটিয়ে অবশিষ্ট বিদেশে রপ্তানি করে মূল্যবান বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন সম্ভব।

আমার যেসব গুণাবলী রয়েছে তা এখনও বলা হয়নি। এখন বলছি শিল্প স্থাপনের কথা। আমার ওপর ভিত্তি করে বিভিন্ন ধারনের বৃহৎ, মাঝারি ও ক্ষুদ্র কুটির শিল্প স্থাপনের মাধ্যমে লক্ষ লোকের কর্মসংস্থান করা সম্ভব। ভ্রমণে ক্লান্ত হলে আপনারা অনেকে বোতলজাত পানীয় পান না করে ডাবের পানি পান করে থাকেন। তবে প্রযুক্তির যুগে এখন ইচ্ছে করলে আমার ডাবের পানিও বোতলজাত করে বিপণন করা যেতে পারে। আমার মূল পরিচয় ফল হিসেবে। আমার শাঁস মুখরোচক ও পুষ্টিকর। যদিও আমার শাঁস থেকে ৫০-৬০% তেল হয়। এই তেল আপনার মাথায় দিয়ে থাকেন। তাছাড়াও রান্নার কাজে, ডালডা ও সাবান তৈরিসহ অন্যান্য  শিল্প প্রতিষ্ঠানে ব্যবহৃত হয়। তেল নিষ্কাশনের পর যে খৈল পাওয়া যায় তা গবাদিপশু ও মাছের উত্তম খাদ্য হিসেবে ব্যবহার করা হয়। তাছাড়াও শাঁস থেকে পিঠা, পায়েস, হালুয়া, বরফি, বিভিন্ন মিষ্টান্ন, নাড়– এবং বিভিন্ন সুস্বাদু খাবার তৈরি করা যায়। এমনকি বিভিন্ন তরকারি মুখরোচক করার জন্য আমার ফলের শাঁস মেশানো হয়। বিভিন্ন খাদ্যসামগ্রী প্রস্তুতকারী শিল্প প্রতিষ্ঠানে চকলেট, বিস্কুট, আইসক্রিম প্রভৃতি প্রস্তুতকালেও আমার ফলের শাঁস মেশানো হয়। আমার ফলের ছোবড়া থেকে সুতলী, দড়ি, কাছি, কাতরা, পাপোশ, কার্পেট, গালিচা, ক্রিকেট ম্যাট ইত্যাদি তৈরি হয়। খোল বা মালা থেকে হুক্কা, বোতাম, খেলনা সামগ্রী, চামচ, ঘর সাজানো বিভিন্ন দ্রব্যাদি এবং উন্নতমানের জ্বালানি তৈরি হয়। আবার শুকনা মঞ্জরিও জ্বালানি হিসেবে ব্যবহৃত হয়।

আমার গাছের পাতা দিয়ে জ্বালানি, ঘরের ছাউনি, ঝুড়– ইত্যাদি হয়। কোন কোন দেশে আমার মুচি কেটে যে রস সংগ্রহ করা হয় তা থেকে গুড়, চিনি, ভিনেগার, মিষ্টি ও মদ তৈরি হয়। তাছাড়াও উপকূলীয় অঞ্চলে ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাসের সময় আমার তেমন কোন ক্ষতি হয় না। আমি উইন্ডব্রেক হিসেবে কাজ করি।  আমাার ডাবের পানি পিত্তনাশক, কৃমিনাশক, ডায়রিয়া, কলেরা, কিডনী ও মূত্র সংক্রান্ত জটিলতায় এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূরীকরণে পাশর্^প্রতিক্রিয়া বিহীন অব্যর্থ মহৌষধ। ডাবের পানিতে প্রচুর পরিমানে মানব দেহের জন্য প্রয়োজনীয় যথেষ্ট পরিমানে খনিজ পদার্থ রয়েছে। খাবার স্যালাইনের বিকল্প হিসেবে আমার ডাবের পানি অত্যন্ত কার্যকরী। কচি ডাবের পানি রূপচর্যায়ও ব্যবহার করা হয়। এমনকি আমার ফলের মালা/আইচা পুড়িয়ে পাথর বাটি চাপা দিয়ে পাথরের গায়ে যে ঘাম/কাই হয় তা দাদের জন্য মহৌষধ।

আমার অনেক জাত আছে। লম্বা জাত ৮-৯ বছরে ফল দেয় ও খাটো জাত ৩-৪ বছরে ফল দেয়। বাংলাদেশে আমার সব জাতই লম্বা। তাছাড়াও ব্যবহার ও বৈশিষ্ট্য অনুযায়ী আপনাদের দেয়া নামের অনেক জাত রয়েছে যেমন- নোলধোল (সাদা), দুধ সোহাগী, ধুতি (কচি অবস্থায় খোসা ভক্ষণ করা যায়), দুধ হুনহুনা (উজ্জ্বল বর্ণ বিশিষ্ট ডাব), দেশী হালকা হলুদাভ-সবুজ বর্ণের ফল, সুন্ধি (লাল জাত), গংগাজলী, চন্দনা প্রভৃতি। আবার দেশ ও প্রাপ্তিস্থান অনুসারে মালয়েশিয়ান, সিংহলী, কেরালা, দক্ষিণা, পূর্বী ইত্যাদি নামেও আমি পরিচিত। প্রায় একযুগ আগে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের বিজ্ঞানীগণ বারি নারকেল-১ ও বারি নারকেল-২ নামে দু’টি উন্নত জাত উদ্ভাবন করেছেন। এজাত দু’টি সব অঞ্চলেই চাষ করা যায়। তবে বিগত কয়েক বছর থেকে ৩-৪ বছরে ফল উৎপাদনে সক্ষম খাটো জাতের আবাদ এদেশে শুরু হয়েছে। এসব জাতের মধ্যে রয়েছে ডিজে সম্পূর্ণা ডোয়ার্ফ, সিয়াম গ্রীণ ও সিয়াম ব্লু প্রভৃতি।

আমি দো-আঁশ থেকে পলি দো-আঁশ মাটিতে জন্মাতে পছন্দ করি। তাছাড়াও সুনিষ্কাশিত স্যাঁতসেঁতে মাটি অথচ যেখানে শিকড় এলাকায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয় না, সেসব স্থানে ভাল ফলন দেই। তবে সুষম মাত্রায় সার প্রয়োগের সাথে খোলামেলা জায়গায় উপকূলীয় অঞ্চলে জোয়ার-ভাটা প্রবন এলাকা যেখানে পানির স্তর উঠানামা করে, আর ঝির ঝিরে মৃদুমন্দ বাতাস প্রবাহিত হলে আমার ফলন অনেক বেড়ে যায়। আপনারা যদি আমাকে বানিজ্যিকভাবে চাষ করতে চান তবে চারা বর্গাকার বা ষড়ভূজী পদ্ধতিতে রোপণ করবেন। চারা রোপণের উপযুক্ত সময় মধ্য জ্যৈষ্ঠ থেকে মধ্য আশ্বিন (জুন থেকে সেপ্টেম্বর) মাস। ৬X৬ মিটার দূরত্ব হিসেবে ১ মিটার দৈর্ঘ্য, ১ মিটার প্রস্থ ও ১ মিটার গভীর গর্ত করে চারা রোপন করতে হয়। তবে খাটো জাতের বেলায় রোপন দূরত্ব দিতে হয় ৫X৫ মিটার। চারা রোপণের পূর্বে প্রতি গর্তে ২০-৩০ কেজি কম্পোস্ট বা গোবর সার, ২৫০ গ্রাম টিএসপি, ৪০০ গ্রাম এমওপি, জিংক সালফেট সার ১০০ গ্রাম ও বরিক এসিড ৫০ গ্রাম হারে দিতে হবে। গর্তে সার মেশানোর ১০-১৫ দিন পর গর্তের মাঝখানে চারা এমনভাবে রোপণ করতে হবে যেন নাকিলের খোসা সংলগ্ন চারার গোড়ার অংশ মাটির উপরে থাকে। চারা রোপণের পরে মাটি নিচের দিকে ভালোভাবে চাপ দিতে হয় যাতে চারাটি শক্তভাবে দাঁড়িয়ে থাকতে পারে। প্রয়োজনে পানি সেচ, খুঁটি ও বেড়ার ব্যবস্থা করতে হবে। আমাকে পরিপূর্ণভাবে বেড়ে ওঠার জন্য রোপণের পর থেকে প্রতি বছর দুইবার সার প্রয়োগ করতে হয়। একবার মধ্য বৈশাখ থেকে মধ্য জ্যৈষ্ঠ (মে) মাসে অর্থ্যাৎ বৃষ্টির আগে এবং দ্বিতীয় বার বর্ষার শেষে অর্থাৎ মধ্য ভাদ্র থেকে মধ্য আশ্বিন (সেপ্টেম্বর) মাসে আমার গোড়া থেকে অন্তত দুই হাত জায়গা বাদ দিয়ে ২-৩ হাত দূও পর্যন্ত মাটিতে ৮-১২ ইঞ্চি গভীর করে কুপিয়ে সার প্রয়োগ করে মাটির সাথে মিশিয়ে দিতে হবে। খাটো জাতের বেলায় ৪ মাস পর পর অর্থ্যাৎ বছরে ৩ বার সার প্রয়োগ করতে হয়। লম্বা জাতের তুলনায় খাটো জাতে গাছ প্রতি সারের পরিমান তুলনমূলকভাবে বেশি দিতে হবে। সার প্রয়োগের পর হালকাভাবে কুপিয়ে মাটির সাথে মিশিয়ে দিতে হবে।

তবে একটা কথা আপনাদের জেনে রাখা ভাল যে, গাছে পটাশিয়াম ও বোরণের অভাব হলে কিন্তু আমার ফল ঝরে যায়। তখন এই দু’ধরনের সার প্রয়োগ করতে হয়। তবে ১০-১৫ বছরের প্রতিটি ফলন্ত গাছে বছরে গোবর সার ২৫ কেজি, ইউরিয়া ১ কেজি, টিএসপি ৫০০ গ্রাম, এমওপি ২ কেজি, জিপসাম ৩৫০ গ্রাম, জিংক সালফেট ১০০ গ্রাম, ম্যাগনেসিয়াম সালফেট ১০০ গ্রাম ও বরিক এডিস ৩০ গ্রাম হারে দিতে হবে। যে সারই প্রয়োগ করবেন তা অবশ্যই আমার গাছের বয়সভেদে সারের মাত্রা কমবেশি দিতে হবে। তবে আমার অনেক শত্রু আছে তন্মধ্যে বিভিন্ন ছত্রাকের আক্রমনে আমার বাড রট/কুড়ি পঁচা, রস ঝরা/স্টেম ব্লিডিং, পাতার ব্লাইট/দাগ পড়া ও মাইজ মারা যায়। বাড রট এর জন্য ১% বোর্দো মিশ্রণ বা সিকিউর এর ২-৩ গ্রাম ছত্রাকনাশক প্রতি লিটার পানির সাথে মিশিয়ে স্প্রে করলেই আমি সুস্থ হয়ে যাই। আবার মাইজ মরার হাত থেকে রক্ষার উপায় হলো পাতা পুড়িয়ে ধ্বংস করা। অপরদিকে এরোগ থেকে আমাকে মুক্ত রাখার জন্য রিডোমিল এম জেড৭২ নামক ছত্রাকনাশক ০.২% বর্ষা মৌসুমে ৩-৪ বার ১৫ দিন অন্তর স্প্রে করতে হয়। পাতার ব্লাইট এর জন্য আক্রান্ত গাছে কার্বেন্ডাজিম গ্রুপের ছত্রাকনাশক প্রতি লিটার পানিতে ২ গ্রাম হারে মিশিয়ে ১৫ দিন পর পর ৩-৪ বার স্প্রে করতে হবে। রস ঝরা রোগে আক্রান্ত হলে আক্রান্ত অংশ ভালভাবে ছুরি দিয়ে চেঁছে তুলে ফেলে বোর্দো পেস্টের প্রলেপ লাগিয়ে দিতে হবে। তবে উই পোকা, গন্ডার পোকা, লাল উইভিল, মাইট বা মাকড়, কালো মাথা শুঁয়ো পোকা কমবেশি আমাকে কষ্ট দিলেও কাঠবিড়ালী এবং ইঁদুর কখনো কখনো মারাতœক ক্ষতি করে। গন্ডার পোকা যাতে ক্ষতি করতে না পারে তার জন্য বাগান বা গাছের নিচ থেকে গোবর বা কম্পেস্টের ধাপ পরিষ্কার করতে হবে। তাছাড়াও গাছের ছিদ্রে লোহার শিক ঢুকিয়ে খুঁচিয়ে পোকা মারতে হবে। ছিদ্রের মধ্যে সিরিঞ্জ দিয়ে কীটনাশক/পেট্রোল বা কেরোসিন দিয়ে গর্তের মুখ

কাদামাটি/পুডিং/বোর্দোপেস্ট দিয়ে বন্ধ করে দিলে এদের ক্ষতির হাত থেকে নিস্তার পাবো। মাকড় এর আক্রমন হলে জৈব বালাইনাশক হিসেবে ২% নিম তেল, রসুন এবং সাবানের মিশ্রন বা অ্যাজাডাইর‌্যাথিন নামক বায়োপেস্টিসাইড কিংবা রাসায়নিক মাকড়নাশক আমার পুষ্পমঞ্জুরিতে বছরে অন্তত তিনবার স্প্রে করতে হবে। প্রয়োজনে গাছের ৩-৪টি তাজা শিকড় কেটে ভার্টিমেক-ওমাইট মিশ্রিত রাসায়নিক মাকড়নাশক নির্ধারিত মাত্রায় বোতলে ডুবিয়ে মাটি দ্বারা ঢেকে রেখে দিলেও মাইট এর আক্রমন থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে। অনেক সময় আমার গাছে বন্ধ্যা বা শাঁসবিহীন ফল হয়ে থাকে। এসব ফলের ভিতর পানি বা শাঁস থাকে না। কখনও শুধু পানি থাকে কিন্তু শাঁস থাকে না। এথেকে পরিত্রান পেতে সুষম মাত্রায় সার প্রয়োগসহ গাছ প্রতি ৫০ গ্রাম বরিক এসিড ও ১০ গ্রাম এমোনিয়াম মলিবডেট প্রয়োগ করলে সুফল পাওয়া যায়। তাছাড়াও আমার যদি কোন সমস্যা হয় তখন অবশ্যই কৃষি বিশেষজ্ঞগণের পরামর্শ নিতে ভুলবেন না যেন।

এবারে আমার ফল সংগ্রহের কৌশল সম্পর্কে কিছু বলছি। ফুল ফোটার ১১-১২ মাস পর ফল সংগ্রহের উপযুক্ত হয়। পরিপক্ক অর্থ্যাৎ ঝুনা অবস্থায় আমার ফলের রঙ বাদামী বা খয়েরী রঙ ধারণ করে এবং ফলের গায়ে চুলের মত চিকন দাগ পড়ে। আমি জাতভেদে গাছ প্রতি বছরে গড়ে ৭০-২০০টি ফল দিতে সক্ষম। পরিশেষে আপনাদের প্রতি একটি আকুল আবেদন এই যে, আমার জন্য বছরে দুই বার খাদ্য হিসেবে সার প্রয়োগসহ অন্যান্য পরিচর্যা করবেন। আশাকরি আপনারা একাজ সঠিকভাবে বাস্তবায়ন করবেন। দেখবেন, আমার ফলন দ্বিগুণ থেকে তিনগুণ বৃদ্ধি পাবে।

লেখক : জেলা প্রশিক্ষণ অফিসার, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, খামারবাড়ি, ঝালকাঠি।

This post has already been read 6091 times!