ডেস্ক রিপোর্ট: দেশে পেঁয়াজের বাজারে আগুন। সে আগুন সামাল দিতে তুরস্ক, মিয়ানমার ও মিশর থেকে পেঁয়াজ আমদানি করছে বাংলাদেশের ব্যবসায়িরা। নতুন বাজারের সন্ধানে পাকিস্তানি পেঁয়াজও শিগগির ঢাকায় আসছে। এরকম একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম দ্য নিউজ ইন্টারন্যাশনাল।
শুক্রবার (৮ নভেম্বর) পাকিস্তানি একটি প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশে ৩০০ মেট্রিক টন পেঁয়াজ রপ্তানির আদেশ পেয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন দেশটির বাণিজ্য উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (টিডিএপি) এক কর্মকতা।টিডিএপি’র ওই কর্মকর্তার বরাত দিয়ে সংবাদমাধ্যমটি জানায়, করাচি-ভিত্তিক প্রতিষ্ঠান রোশান এন্টারপ্রাইজের সঙ্গে বাংলাদেশের তাশো এন্টারপ্রাইজের মধ্যে পেঁয়াজ আমদানি-রপ্তানি বিষয়ক একটি চুক্তি হয়েছে। চুক্তি মোতাবেক প্রতি টন চালান ৬০০ ডলার মূল্যে পাকিস্তান থেকে পেঁয়াজ আমদানি করবে বাংলাদেশ।
ওই কর্মকর্তা আরও জানান, ভারত বাংলাদেশে পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করে দেয়ায় পাকিস্তানের সামনে বাণিজ্য বৃদ্ধির একটি বড় সুযোগ তৈরি হয়েছে। এ বিষয়ে দুই দেশের মধ্যে সরকার পর্যায়ে আলোচনা করতেও তারা প্রস্তুত রয়েছেন। বাংলাদেশ-পাকিস্তানের মধ্যে যৌথ বাণিজ্য কমিশনের (জেইসি) সবশেষ বৈঠক হয়েছিল ২০০৫ সালে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বাণিজ্য সচিব দেশের বাইরে থাকায় দায়িত্বরত সচিব মো. ওবায়দুল আজম বলেন, পেঁয়াজ আমদানি যে কেউ যেকোনো দেশ থেকে করতে পারে। আমরা সুনির্দিষ্ট কোনো দেশের কথা বলে দেইনি। পেঁয়াজ আমদানির ক্ষেত্রে আমরা কোনো দেশের নাম সুনির্দিষ্ট করে দেইনি।
তাহলে যদি ব্যাবসায়ীরা পাকিস্তান থেকে পেঁয়াজ আমদানি করতে চায় সেটা কি তারা পারবে? জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটাতে কোনো বাধা নেই। আমদানি নীতি অনুযায়ী যে দেশ থেকে আনতে চায় আনবে।
বাংলাদেশ পাকিস্তান থেকে খেঁজুর, ফেব্রিক ও সুতা আমদানির চিন্তা-ভাবনা করছে বলেও দাবি করেন এ কর্মকর্তা।
বাংলাদেশ-পাকিস্তানের মধ্যে যৌথ বাণিজ্য কমিশনের (জেইসি) সবশেষ বৈঠক হয়েছিল ২০০৫ সালে।