Friday 19th of April 2024
Home / অর্থ-শিল্প-বাণিজ্য / সরাসরি কৃষকের পণ্য ক্রয়ে খুলনায় আধুনিক কৃষক মার্কেট

সরাসরি কৃষকের পণ্য ক্রয়ে খুলনায় আধুনিক কৃষক মার্কেট

Published at জুন ২৪, ২০১৯

ফকির শহিদুল ইসলাম (খুলনা): খুলনাঞ্চলে প্রতিদিন কৃষি পণ্যের পসরা সাজিয়েছে আধুনিক কৃষক মার্কেট। এ মার্কেটে রয়েছে কৃষকের কাছ থেকে সরাসরি পণ্য ক্রয়ের সুবিধা। নেদারল্যান্ডের অর্থায়নে সলিডাড়িডাড নেটওয়ার্ক এশিয়ার উদ্যোগ ও বাস্তবায়নে ২০১৬ সালের ডিসেম্বরে ২ একর ১০ শতক জমির উপর কৃষকদের মার্কেট নির্মাণ করা হয়। ১০ কোটি ১৮ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত মার্কেটটির কাজ আনুষ্ঠানিক শুরু হয়। কাজ শেষে বাজারটি ২০১৮ সালের আগস্ট মাসে চালু হয়।

খুলনা থেকে এ বাজারে আসা ক্রেতা মশিউর বলেন, গ্রামের মধ্যে এতো আধুনিক বাজার দেখে সত্যিই অবাক হয়েছি। বাজারটির সম্পূর্ণটাই টাইলস করা। এখানের শাক-সবজি ও মাছ টাটকা। দামও কম। যে কারণে সময় করে এখানে বাজার করতে আসা। বাজারের জন্মলগ্ন থেকে একাধিকবার আসা গ্লোবাল খুলনার আহবায়ক ও প্রতিষ্ঠাতা শাহ মামুনুর রহমান তুহিন বলেন, এটি একটি গ্রাম্য বাজার। যেমন আধুনিক স্থাপত্যশৈলী, তেমনই পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন আধুনিক এ বাজারটি। সাধারণত বাজার বলতে আমরা ধুলো ময়লা, বর্ষায় কাদায় মাখামাখি নোংরা যে পরিবেশ বুঝি, এটি তার সম্পূর্ণ বিপরীত। এখানে সিকিউরিটি, নামাজের জায়গা, রেষ্টুরেন্ট, রেষ্টরুম সবই আছে। বর্জ্য ব্যবস্থাপনা অত্যন্ত চমৎকার। মাছ তরিতরকারি একদম টাটকা। ফরমালিন বা কেমিকেল মুক্ত। যারা পাইকারি দরে মাছ কিনতে চান দুপুর ১ টার দিকে ওখানে চলে যাবেন।

গ্লোবাল খুলনার পক্ষ থেকে তিনি দাবি করেন, খুলনার সকল বাজারগুলো এরকম আধুনিক করা হোক। ডুমুরিয়ার বামুন্দিয়া গ্রামের আমিনুল ইসলাম বলেন, প্রান্তিক চাষিরা এ বাজারে ন্যায্য মূল্যে সরাসরি কৃষি পণ্য (ফল-মূল, শাক-সবজি, দুধ, মাছ ইত্যাদি) বিক্রি করতে পারছে। এ অঞ্চলের কৃষকদের ভাগ্যের পরিবর্তন ঘটছে এবং জীবন-যাত্রার মান উন্নত হচ্ছে। অর্থনীতিতেও এর বড় ধরনের ভূমিকা রাখছে এ বাজার। এখানে কৃষি পণ্য ব্যবসার সাথে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, কৃষকরা সরাসরি ন্যায্য মূল্যে তৃণমূলের কৃষি পণ্য বিক্রয় করতে পারছে এ বাজারে। এতে তাদের ভাগ্য উন্নয়ন হচ্ছে ।

ডুমুরিয়ার খর্ণিয়ার ইউপি চেয়ারম্যান শেখ দিদারুল হোসেন দিদার বলেন, বিশ্বের আধুনিকতম কৃষিপণ্যের বাজারগুলোর আদলে টিপনা গ্রামে ভিলেজ সুপার মার্কেটে গড়ে তোলা হয়েছে । ডুমুরিয়া উপজেলার ১৪টি ইউনিয়নের কৃষকদের ফলানো শাক-সবজি মাছ এ বাজারে বিক্রি করা হয়। তিনি আরো বলেন, এ মার্টেকটি চালু হওয়ায় কৃষকদের সরাসরি পণ্য বিক্রির অবাধ সুযোগ সৃষ্টি হওয়ার পাশাপাশী আধুনিক এই কৃষক মার্কেটি এ অঞ্চলের কৃষকদের উৎপাদিত পণ্য বিক্রির ফলে তাদের ভাগ্যের পরিবর্তন ও জীবন-যাত্রার মান উন্নত হয়েছে।

ইউপি চেয়ারম্যান জানান, প্রতিদিনই দুপুর ১২টার দিক থেকে বাজার বসতে শুরু করে। যা চলে রাত পর্যন্ত। খুলনা-ঢাকাসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে পাইকারি ব্যবসায়ীরা এখান থেকে শাক-সবজি ও মাছ কিনে নিয়ে যান।

This post has already been read 2151 times!