Friday 29th of March 2024
Home / ফসল / ধানে নেক ব্লাস্ট রোগ: কৃষকের মাথায় হাত

ধানে নেক ব্লাস্ট রোগ: কৃষকের মাথায় হাত

Published at এপ্রিল ২৪, ২০১৯

মাহফুজুর রহমান (চাঁদপুর প্রতিনিধি): চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলায় মেঘনা ধনাগোদা সেচ প্রকল্পে বিআর-২৮ জাতের ধান ব্লাস্ট রোগে আক্রান্ত হয়েছে। ধান গাছের গোছা এবং শীষ দেখতে অনেক সুন্দর। কিন্তু ধানে নেই মোহর বা দানা। উপজেলার তালতলী, কলাকান্দা, ঠাকুরচর, গজরা, সুজাতপুর, নাথুতহশিলদার কান্দি, আদুরভিটিসহ সর্বত্রই এমন দৃশ্য দেখা গেছে। ব্লাস্ট রোগ এবারও মহামারির রূপ নিয়েছে। নেক ব্লাস্ট রোগ ও লিফ ব্লাস্ট রোগ সর্বত্র ছড়িয়ে পড়ায় কৃষকের মুখের হাসি ম্লান হয়ে যাচ্ছে।

কৃষক রেজাউল করিম (৫২) বলেন, আমি ১ একর জমিতে বিআর-২৮ ধান করেছি। নেক ব্লাস্ট রোগে আক্রান্ত হওয়ায় কৃষি অফিসের পরামর্শে চার বার স্প্রে করার পরও কোনো প্রতিকার পাইনি। এখন আমার কি হবে? এক মুঠো ধানও পাবো না। তিনি জানান, আদুরভিটি, দেওয়ানজিকান্দি,  ঠাকুরচর বিলে প্রায় ২০ একর জমিতে নেক ব্লাস্ট রোগে আক্রান্ত হয়েছে।

তিনি আরো জানান, ধানে নেক ব্লাস্ট রোগে আক্রান্ত হওয়ার পর এক পর্যায়ে ধানের পাতা ঝলসে যায়। এ ছাড়াও ধান সাদা হয়ে চিটা হয়ে যায়। পাতা ঝলসে যাওয়া ও ধান চিটা হয়ে যাওয়া এ রোগকে কৃষি বিভাগের লোকজনরা লিফ ব্লাস্ট রোগ বলে দাবী করছে। অপর কৃষক জানান, এমন কোনো ধানের জমি নেই যেখানে ধানে নেক ব্লাস্ট ও লিফ ব্লাস্ট রোগে আক্রান্ত হয়নি। এ রোগ দিনের পর দিন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে। ফলে এ মৌসুমে কৃষকরা ফসল ঘরে তুলতে পারবে না।

মতলব উত্তর উপজেলা কৃষি কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, এ মৌসুমে ৯ হাজার ১শ ৩০ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের চাষ করা হয়েছে। উপজেলার ৪৩টি কৃষি ব্লকের দায়িত্বপ্রাপ্ত ১৩ জন উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তাগণ মাঠে ছুটে গিয়ে কৃষকদেরকে উপরোক্ত রোগ হতে ধান রক্ষায় প্রয়োজনীয় (সঠিক) কীটনাশক ঔষধ প্রয়োগের জন্য পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছে।

মতলব (উত্তর) উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সালাউদ্দিন জানান, যেসব কারণে নেক ব্লাস্ট রোগ প্রতিরোধে বিভিন্ন ব্লকের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তাদের মাধ্যমে বিভিন্ন বিদ্যালয়ে গিয়ে ছাত্র-ছাত্রীদের মাধ্যমে কৃষকদের প্রয়োজনীয় (সঠিক) কীটনাশক ব্যবহারের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। এছাড়াও মাঠ দিবস করে কৃষকদের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। যে সকল কৃষক কৃষি অফিসের পরামর্শ মেনেছেন, তারাই সুফল পেয়েছেন।

This post has already been read 3320 times!