মঙ্গলবার , অক্টোবর ৮ ২০২৪

ফিসটেক করবে এসপিএফ বাগদা হ্যাচারি : গবেষণা ও উন্নয়নে দিবে আরো বেশি জোর

নিজস্ব প্রতিবেদক: ব্যবসা মানে শুধু পণ্য বিক্রি নয়, সততা ও সেবা এখানে গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। বিপণনের সাথে মনন মেধা কাজে লাগিয়ে লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের পাশাপাশি খামারির সেবা নিশ্চিত করতে হবে। প্রযুক্তি, পরামর্শ এবং সেবা এই ৩টি মূল মন্ত্রকে ধারন করে ইনশাল্লাহ আমরা এগিয়ে যাবো। সোমবার (১৭ ডিসেম্বর) মৎস্য সেক্টরের স্বনামধন্য কোম্পানি ফিসটেক (বিডি) লিমিটেড এর ১৩তম বার্ষিক সাধারণ সভায় এসব কথা বলেন কোম্পানির চেয়ারম্যান খোন্দকার ফরহাদ হোসেন।

সকাল ৯টায় পবিত্র কোরআন থেকে তেলওয়াতের মাধ্যমে রাজধানীর উত্তরা ক্লাবে সাধারণ সভাটি অনুষ্ঠিত হয়। এরপর অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক আতাউল করিম ভূঁইয়া। তিনি উপস্থিত সবাইকে ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা জানিয়ে তিনি বিগত বছরের বার্ষিক প্রতিবেদন পেশ করেন এবং নতুন বছরের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে আলোচনা করেন।

অনুষ্ঠানে ফিসটেক পরিবারের সহযোগি প্রতিষ্ঠান ফিসটেক গলদা হ্যাচারি, ফিসটেক বাগদা হ্যাচারি, ফিসটেক তেলাপিয়া হ্যাচারি, গ্রোটেক এগ্রো, গ্রোটেক এনিমেল হেলথ  প্রত্যেকটি কোম্পানির স্বতন্ত্রভাবে বিগত বছরের অর্জন ও আগামী বছরের পরিকল্পনা পেশ করা হয়।

ফিসটেক (বিডি) লিমিটেড এর পরিচালক মোহাম্মদ তারিক সরকার বলেন, শুধু পণ্য বিক্রি ও মুনাফা অর্জনই নয়, আমরা সর্বদাই চেষ্টা করি যাতে প্রান্তিক খামারিরা আমাদের টেকনিক্যাল সার্ভিস ঠিকমতো পায়। আমরা সবসময় গবেষণা ও উন্নয়ন বিষয়টিকে প্রাধান্য দিয়ে আসছি। বিষয়টিকে আরো সম্প্রসারিত করার জন্য ২০১৯  সন থেকে কক্সবাজারে ‘ফিসটেক আর অ্যান্ড ডি সেন্টার’ চালু করা হবে। সেখানে ভেটকি মাছের পরীক্ষামূলক চাষ ছাড়াও লোনা ও মিঠা পানির মাছ চাষের ওপর গবেষণা করা হবে। পাশাপাশি বিভিন্ন খাবার ও ওষুধ ব্যবহারবিধি এসবের ওপর গবেষণা হবে। সেন্টারটি প্রতিষ্ঠা করা হবে ১০ একর জায়গার ওপর।

তিনি জানান, ফিসটেকে পরিবারে নতুন করে বৃহৎ আকারে যুক্ত হচ্ছে এসপিএফ (Specific pathogen free) বাগদা হ্যাচারি। বাংলাদেশের মস্য সেক্টরে এটি একটি মাইলফলক হবে। কারণ, বর্তমানে বাংলাদেশে এ ধরনের মাত্র একটি হ্যাচারি আছে।

মোহাম্মদ তারিক সরকার জানান, ফিসটেক গ্রুপ  এ বছরই প্রথম সীড বা ফসলের বীজ জগতে প্রবেশ করলো। ইতিমধ্যে আমাদের কোম্পানি “গ্রোটেক সীড” নামে ধানও ভুট্টা বীজ বাজারজাত করেছে । এছাড়াও চলতি বছরে গলদা চিংড়ি বাজারজাত করে সফলতা পেয়েছে।

অনুষ্ঠানে ফিসটেক (বিডি) লিমিটেড -এর ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার রাফিউল হাসান চৌধুরী উপস্থিত বিপণন কর্মকর্তাদের বিপণন বিষয়ে উৎসাহের মাধ্যমে দিক নির্দেশনামূলক বক্তব্য দেন। এছাড়াও তিনি গত বছরের কর্মকর্তারা কে কোন কর্মকান্ডে জড়িত এবং তাদের সাফল্য উপস্থাপন করে পুরস্কার প্রদানের মাধ্যমে উৎসাহিত করেন।

ফিসটেক (বিডি) লিমিটেড -এর সহকারি ব্যবস্থাপক মো. সোহেল দেশের বিভিন্ন স্থানে চাষকৃত মাছের পুকুরের ডেমো ফলাফল প্রদর্শন করেন। ডেমোতে বিভিন্ন ধরনে সাফল্য দেখানো হয়।

অনুষ্ঠানে নতুন বছরের ইনক্রিমেন্ট, প্রমোশন, ইনসেনটিভ ছাড়াও বিভিন্ন উপহার সামগ্রী রাখা হয়। এছাড়াও অনুষ্ঠানে উপস্থিত কর্মকর্তাদের মাঝে বার্ষিক নগদ প্রণোদনা ও শীতের প্রয়োজনীয় বস্ত্র প্রদান করা হয়।

উল্লেখ্য ফিসটেক (বিডি) লিমিটেড বাংলাদেশ মৎস্য সেক্টরে একটি স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠান এবং পাবদা ও গোলসা মাছের ফিড দেশে তারাই প্রথম বাজারজাতকরণ করে।

 

 

 

 

This post has already been read 4265 times!

Check Also

চালের সরবরাহ ও দাম নিয়ন্ত্রণে নতুন ৪ সিদ্ধান্ত!

নিজস্ব প্রতিবেদক: খাদ্য সচিব মো. ইসমাইল হোসেন এনডিসি দেশের অটোরাইস মিল মালিক নেতৃবৃন্দের সাথে বাজারে …