শুক্রবার , জুলাই ২৬ ২০২৪

খুলনার মাটিতে তীন গাছে জন্মেছে ফল

ফকির শহিদুল ইসলাম (খুলনা): আমাদের সৃষ্টিকর্তা মহান আল্লাহ তায়ালা তার কতো নিদর্শনই তো আমাদের জন্য রেখেছেন। এখনও অনেক কিছুই আছে যা বিজ্ঞান এবং মানুষ কোনটি তা খুঁজে বের করতে পারেনি। তবে এবার খুলনার মাটিতে খোঁজ মিললো কোরআনে বর্ণিত তীন গাছ। পবিত্র কোরআনের ৩০তম পারার ৯৫ নম্বর সূরার প্রথম আয়াত وَالتِّينِ وَالزَّيْتُونِ ‘ওয়াত্তীনি ওয়াযাইতূনি। বর্ণিত সূরায় আল্লাহতায়ালা তীন গাছের নামে শপথ করেছেন। সূরার প্রথম শব্দ তীন অনুসারে এ সূরার নামকরণ করা হয়েছে- সূরা আত-তীন। তীনের বাংলা অর্থ আঞ্জীর বা ডুমুর।

খুলনা জেলার বটিয়াঘাটা উপজেলার জলমার দাওহাতুল খাইর কমপ্লেক্স পরিচালিত সোসাইটি অব সোস্যাল রিফর্ম স্কুলের আঙ্গিনায় ২০১১ সালে সোসাইটি অব সোস্যাল এন্ড টেকনোলজিক্যাল সার্পোট কুয়েতের প্রাক্তন মহাপরিচালক আবু মুহাম্মদ আসসাওয়াদফি আল ফিকাহ মিসর থেকে এই গাছটি আনেন। আর দূর্লভ গাছটি রোপণ করেন দাওহাতুল খাইর কমপ্লেক্স এর পরিচালক সুফি সালাইমান মাসুদ।

তিনি জানান, তীন গাছ সাধারণত মধ্যপ্রাচ্য এবং পশ্চিম এশিয়ায় এ ফলের উৎপাদন বাণিজ্যিকভাবে করা হয়। মধ্যপ্রাচ্য এবং পশ্চিম এশিয়ায় এ ফলের উৎপাদন বাণিজ্যিকভাবে করা হয়। এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ অর্থকরী ফসল। আফগানিস্তান থেকে পর্তূগাল পর্যন্ত এই ফলের বাণিজ্যিক চাষ হয়ে আসছে সুদীর্ঘ কাল ধরে। এ গাছটির আদি নিবাস মধ্যপ্রাচ্যে। তবে শখের বসে খুলনার মাটিতে একটি তীন গাছ নিয়ে আসেন প্রাক্তন মহাপরিচালক সোসাইটি অব সোস্যাল এন্ড টেকনোলজিক্যাল সার্পোট কুয়েত । তিনি  মিসর থেকে এনে এ গাছটি লাগান। বর্তমানে গাছটি সবলভাবে বেড়ে উঠছে। ধরছে ফলও।

 এ বিষয়ে দাওহাতুল খাইর কমপ্লেক্স এর প্রশাসনিক কর্মকর্তা সানোয়ার হুসাইন বলেন, খুলনার আবহাওয়ায় মধ্যপ্রাচ্যের এই গাছটি অন্যান্য গাছের মতোই বেড়ে উঠেছে। গাছটিতেও ফলও ধরেছে। এটি অনেক সুস্বাদু। তার দাবী, এ গাছটি বাংলাদেশে একটি গাছই আছে। সোসাইটি অব সোস্যাল রিফর্ম স্কুলের প্রধান শিক্ষক মো. মাসুম বিল্লাহ বলেন, পবিত্র কোরআনে বর্ণিত সূরা তীন যে গাছের নামে সেই তীন গাছ এ স্কুলে থাকায় অনেকে এটি দেখতে আসেন। বিশেষ করে যখন ফল ধরে তখন শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের আগ্রহ থাকে গাছটির প্রতি বেশি। এছাড়া অনেক দর্শনার্থী গাছটির খবর পেয়ে দেখতে আসেন।

জানা যায়, আঞ্জির হচ্ছে ডুমুর জাতীয় এক ধরনের ফল। এর গাছের বৈজ্ঞানিক নাম Ficus carica । ফাইকাস গণভুক্ত প্রায় ৮০০ প্রজাতির মধ্যে আঞ্জির সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রজাতি। এই ফলের আকার কাকডুমুরের চেয়ে বড়; এটি একটি জনপ্রিয় মিষ্টি ও রসালো ফল। হিন্দি, মারাঠি, ফার্সি ও উর্দু ভাষায় এই ফলকে আঞ্জির বলা হয় এবং আরবি ভাষায় এর নাম তীন। এ গাছ ৬ মিটার পর্যন্ত লম্বা হয়ে থাকে।

 

This post has already been read 5070 times!

Check Also

ফিডের মান বৃদ্ধি ও উৎপাদন খরচ কমাতে বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয় হচ্ছে প্যাটেনসে

খোরশেদ আলম জুয়েল (ব্যাংকক থেকে ফিরে) : উৎপাদনশীল একটি পণ্যের ক্ষেত্রে প্রধানত দুটি বিষয়কে গুরুত্ব …