Tuesday 30th of April 2024
Home / অন্যান্য / বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ডের অসম্পূর্ণ বিচার সম্পন্ন করতে হবে -মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী

বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ডের অসম্পূর্ণ বিচার সম্পন্ন করতে হবে -মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী

Published at আগস্ট ২৬, ২০২১

নিজস্ব প্রতিবেদক: মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম এমপি বলেছেন, “বঙ্গবন্ধু হত্যার সম্পূর্ণ বিচার হয় নি। আংশিক বিচার হয়েছে। সে দিন যারা ষড়যন্ত্রে জড়িত ছিল এবং ষড়যন্ত্র যারা জেনেছিল কিন্তু বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ড প্রতিরোধের জন্য কোন পদক্ষেপ নেন নি, আমাদের দেশের দন্ডবিধি অনুসারে তারাও অপরাধী। সে দিন বঙ্গবন্ধুকে নিরাপত্তা দেওয়া যাদের দায়িত্ব ছিল, যারা রাজনৈতিক দায়িত্বে ছিলেন তাদের গাফিলতির কারণে বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ড ঘটেছিল। গাফিলতির দায়ে তাদেরও বিচার হওয়া দরকার ছিল। কিন্তু হয় নি। যারা খন্দকার মোশতাকের আনুগত্য প্রকাশ করে নিজে লাভবান হয়েছিলেন, তারাও অপরাধী। কমিশন গঠন করে অথবা ফৌজধারী কার্যবিধি অনুসারে নতুন চার্জশীট দিয়ে অসম্পূর্ণ বিচার সম্পন্ন করা সম্ভব। বঙ্গবন্ধুর খুনি বা ষড়যন্ত্রকারীদের বিচার করতে আইনে কোথাও কোন বাধা নেই। বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ডের অসম্পূর্ণ বিচার সম্পন্ন করতে হবে।

বৃহস্পতিবার (২৬ আগস্ট) রাজধানীর ফার্মগেটে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল মিলনায়তনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৬তম শাহাদত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষ্যে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় আয়োজিত আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

এ সময় তিনি আরো বলেন, “শেখ হাসিনা না আসলে কোনদিন বঙ্গবন্ধুর খুনিদের বিচার হতো না। শেখ হাসিনা দৃঢ়তা ধারণ করে যা করবেন এটা অনেকে করবেন না। তাই নতুন করে সূচনা করতে হবে। বঙ্গবন্ধুর হত্যার সাথে, ষড়যন্ত্রের সাথে, দায়িত্বে গাফিলতির সাথে যারা জড়িত ছিল তাদের বিচার করতে হবে। যারা বঙ্গবন্ধু হত্যার সাথে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত, যারা ষড়যন্ত্রের সাথে জড়িত, যারা ষড়যন্ত্র জানার পরও প্রতিকারমূলক ব্যবস্থা নেয় নি এবং বঙ্গবন্ধুর নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা যারা গাফিলতির কারণে বঙ্গবন্ধুর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারে নি আমি আজ তাদের বিচার চাই। বঙ্গবন্ধু শুধু একজন ব্যক্তি নন, বঙ্গবন্ধু একটা বিশ্বাস, একটা প্রেরণা, বঙ্গবন্ধু আমাদের জাতীয় জীবনের সবকিছুতে অবিচ্ছেদ্যভাবে জড়িত থাকা একটি সত্তা। বঙ্গবন্ধু একটি দৃপ্ত প্রত্যয়।

মন্ত্রী আরো যোগ করেন, “বঙ্গবন্ধু যেখানে সূচনা করেছেন, সেটাই সম্প্রসারিত হচ্ছে। ব্লু ইকোনমির অপার সম্ভাবনার কথা বিবেচনা করে বঙ্গবন্ধু প্রথম সমুদ্র আইন করেছিলেন। এ ধারাবাহিকতায় আমরা তাঁর সুযোগ্য কন্যার নেতৃত্বে বাংলাদেশর প্রায় সমপরিমাণ জায়গায় আমাদের সার্বভৌমত্ব প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হয়েছি। বঙ্গবন্ধু মাছ আহরণের জন্য প্রথম ট্রলার নিয়ে এসেছেন তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়ন থেকে। বঙ্গবন্ধু যা শুরু করেছিলেন সেটা সুপ্রতিষ্ঠিত ও সম্প্রসারিত করেছেন করেছেন তাঁর কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।”

মন্ত্রী আরো বলেন, “বিশ্বাসঘাতকরা কখনো বিলীন হয় না। একেকসময় একেকভাবে আবির্ভূত হয়। ১৭৫৭ সালের মীর জাফর, ১৯৭৫ সালের খন্দকার মোশতাক, ১৯৭৯ সালের বঙ্গবন্ধুর খুনিদের রক্ষার বিলে স্বাক্ষরকারী জিয়াউর রহমানরা একেক সময় একেক রূপে আবির্ভুত হয়। বঙ্গবন্ধু হত্যার সময় যারা বঙ্গবন্ধুর নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিলেন তারা কী ভূমিকা পালন করেছেন, যারা রাজনৈতিক দায়িত্বে ছিলেন তাদের কী ভূমিকা ছিল, কেনো তারা সবাই স্পর্শের বাইরে থাকলেন, চলে যেতে হলো জাতির পিতাকে, সে অধ্যায় আজ বিবেচনার সময় হয়েছে। তাদের সকলকে ইতিহাসের কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে এর ব্যাখ্যা দিতে হবে। না হলে অনন্তকাল অপরাধীদের জায়গায় আমাদের স্থান থাকবে।”

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ সচিব রওনক মাহমুদের সভাপতিত্বে বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন কর্পোরেশেনের চেয়ারম্যান কাজী হাসান আহমেদ, মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কাজী শামস্ আফরোজ, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডাঃ শেখ আজিজুর রহমান, বিএলআরআই-এর মহাপরিচালক ড. মোঃ আবদুল জলিল, বিএফআরআই-এর মহাপরিচালক ড. ইয়াহিয়া মাহমুদ এবং মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ তথ্য দপ্তরের উপপরিচালক শেফাউল করিম আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য প্রদান করেন। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব শ্যামল চন্দ্র কর্মকার, সুবোল বোস মনি ও মোঃ তৌফিকুল আরিফসহ মন্ত্রণালয় ও আওতাধীন দপ্তর-সংস্থার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ সভায় উপস্থিত ছিলেন্।

This post has already been read 2723 times!