ফকির শহিদুল ইসলাম(খুলনা): শিক্ষা ক্ষেত্রে মাধ্যমিকের গন্ডি পেরিয়ে উচ্চ মাধ্যমিকে পদার্পণ শিক্ষার্থীদের জীবনে একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। এ সময়ে শিক্ষার্থীদের সামনে জ্ঞানার্জনের একটি নতুন দিগন্ত উম্মোচিত হয়। কঠোর অধ্যবসয়ের মাধ্যমে সময়টিকে যথাযথভাবে কাজে লাগাতে পারলেই কেবল নিজেদের আগামী দিনের জন্য উপযুক্ত করে গড়ে তোলা সম্ভব। খুলনা সিটি মেয়র রবিবার (১ জুন) সকালে কেসিসি পরিচালিত খুলনা কলেজিয়েট গার্লস স্কুল ও কেসিসি উইমেন্স কলেজের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের একাদশ শ্রেণির নবীণ ছাত্রীদের ওরিয়েন্টেশনে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন। একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি হওয়া নবাগত ছাত্রীদের বরণ করার লক্ষ্যে স্কুল কর্তৃপক্ষ এ ওরিয়েন্টেশনের আয়োজন করে। ওরিয়েন্টেশনের নবীন শিক্ষার্থীদের ফুল দিয়ে বরণ এবং তাদের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ কামনা…
Author: Jewel 007
ফকির শহিদুল ইসলাম(খুলনা): ধীরগতিতে চলছে খুলনা-মংলা রেল প্রকল্পের রূপসা রেল সেতুর কার্যক্রম । এ প্রকল্পটির জমি অধিগ্রহনে দীর্ঘ সময়ক্ষেপনের কারণে খুলনা- মংলা রেল সেতুর কাজের কাংক্ষিত অগ্রগতি হয়নি। সেতুর সংযোগ সড়কসহ বিভিন্ন সমস্যার কারণে নির্দিষ্ট সময়ে খুলনা- মংলা রেল সেতু প্রকল্পের কাজ সম্পন্ন হওয়া নিয়ে রয়েছে শঙ্কা। রূপসা রেল সেতুর এই ধীরগতির কারণে খুলণাঞ্চলের মানুষের মাঝে বিরাজ করছে অসন্তোষ। প্রকল্প সংশ্লিষ্ট সূত্রমতে, ২০১০ সালের ২১ ডিসেম্বর জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক) খুলনা মংলা রেললাইন নির্মাণ প্রকল্পটি অনুমোদন করে। এরপর ২০১৬ সালের ১৪ এপ্রিল রূপসা রেল সেতু নির্মাণের জন্য সয়েল টেস্টের কাজ শুরু হয়। ২০১৭ সালের ১০ জানুয়ারি থেকে ২…
নাহিদ বিন রফিক (বরিশাল): সব মিলিয়ে কৃষির এ প্রকল্পটি চমৎকার। এর মাধ্যমে ফসলের সর্বশেষ জাত, উন্নত প্রযুক্তি ও আধুনিক কৃষি যন্ত্রপাতি চাষিদের কাছে পৌঁছানোর সুযোগ হয়েছে। সে সাথে কৃষিপণ্য বাজারজাতকরণের কথা চিন্তাকরে গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়নের জন্য রাস্তা-ঘাট নির্মাণ চলমান আছে। এখন দরকার প্রকল্পের কাজগুলো টেকসইয়ে রূপান্তর। এ জন্য ফলোআপ বাড়ানো প্রয়োজন। আর তা করতে হবে সম্মিলিতভাবে। তবেই হবে সুষ্ঠু বাস্তবায়ন। শনিবার (৩০ জুন) বরিশাল নগরীর খামারবাড়িস্থ ডিএই প্রশিক্ষণকক্ষে প্রকল্পের রিভিউ ওয়ার্কশপে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের (ডিএই) অতিরিক্ত পরিচালক মো. ওমর আলী শেখ এসব কথা বলেন। বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চলে ক্ষুদ্র চাষিদের জন্য কৃষি সহায়ক প্রকল্প আয়োজিত দিনব্যাপি রিভিউ ওয়ার্কশপে…
ইফরান আল রাফি (পবিপ্রবি প্রতিনিধি): জনসংখ্যা দ্রুত বৃদ্ধির ফলে দেশে আবাদি জমির পরিমান হ্রাস পাচ্ছে কিন্তু খাদ্য উৎপাদন মাত্রা বৃদ্ধি পেয়েছে কয়েকগুন। বর্তমানে আবাদি জমিতে তৈরী হচ্ছে মিল, ফ্যাক্টরী আর বহুতল ভবন। মানুষ তার পারিবারিক পুষ্টি চাহিদা মেটাতে এবং সতেজ শাকসবজি ও ফুল, ফলের জন্য ঝুঁকছে ছাদ কৃষির দিকে। মূলত মনতুষ্টি, সতেজ, রাসায়নিক বালাইনাশক মুক্ত ফুল, ফল এবং শাকসবজির যোগান দেওয়াই ছাদ কৃষির উদ্দেশ্য। বাসা কিংবা অফিসের ছাদে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে ছাদ কৃষি। বাসার ছাদে মূলত শাকসবজি, ফুল আর ফলমূল চাষ করা এবং অফিসের ছাদে মূলত সুন্দর্য্যবর্ধনশীল গাছ রোপন করা হয়। ছাদ কৃষির ফলে যেমন আর্থিকভাবে লাভবান হওয়া যায় তেমনি…
মো. আরিফুল ইসলাম (বাকৃবি সংবাদদাতা): দেশের আমিষের ৬০ ভাগ চাহিদা পূরণকারী উৎস মৎস্য খাতের উন্নয়নে এবং মৎস্য চাষীদের লাভবান করতে হলে বিদেশে মাছ ও মাছজাত পণ্য রফতানি করতে হবে। পাঙ্গাস, তেলাপিয়াসহ অন্যান্য চাষকৃত মাছ রফতানি না করলে অধিক উৎপাদন ব্যয় ও নিম্ন বাজার মূল্যের ফলে প্রান্তিক পর্যায়ে চাষীরা ক্ষতিগ্রস্থ হবেন। বাংলাদেশ আজ খাদ্য স্বয়ংসম্পূর্ণ হলেও পুষ্টি নিরাপত্তা অর্জনে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জিত হয়নি। জনসংখ্যা বৃদ্ধির সাথে সাথে মাছের চাহিদা বৃদ্ধি পাচ্ছে। ফলে এ সেক্টরের উন্নয়নে আরও লাগসই প্রযুক্তি উদ্ভাবন করতে হবে। বিলুপ্তপ্রায় মাছগুলোকে রক্ষায় কৃত্রিম প্রজনন কৌশল উদ্ভাবনের পাশাপাশি প্রকৃতি ও পরিবেশকে দূষণমুক্ত রাখতে হবে। তবে মাছের খাদ্যের দাম, রোগবালাই ব্যবস্থাপনার বিষয়ে…
নাহিদ বিন রফিক (বরিশাল): পুষ্টি নিরাপত্তায় দেশীয় ফলের উন্নয়ন অনস্বীকার্য। স্থানীয়ভাবে জমানো অসংখ্য ফল দেশের বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে। সেগুলো সংরক্ষণ করা জরুরি। দক্ষিণাঞ্চলে ফল ও সবজি তেমন ভালো হয়না, আগে এমনি ধারণা ছিল। কিন্তু অর্থনৈতিক গুরুত্ব বাড়ার কারণে বর্তমানে এ অঞ্চলে বেশ ক’টি ফল ও সবজি আবাদ যথেষ্ঠ আশাব্যঞ্জক। বিশেষকরে পেয়ারা, আমড়া, নারিকেল এবং মাল্টার জন্য সেরাই বলা যায়। বৃহস্পতিবার (২৮ জুন) বরিশালের রহমতপুরস্থ আঞ্চলিক কৃষি গবেষণা কেন্দ্রের চত্বরে দক্ষিণাঞ্চলে জমানো দেশীয় ফল প্রদর্শনী-২০১৮ উপলক্ষে এক আলোচনা সভার প্রধান অতিথির বক্তৃতায় বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বারি) পরিচালক ড. গোলাম মোর্শেদ আবদুল হালিম এসব কথা বলেন। আঞ্চলিক কৃষি গবেষণা…
নাহিদ বিন রফিক (বরিশাল): ২০৩০ সালে মধ্য আয়ের দেশ এবং ’৪১ সালে আমরা উন্নত দেশে পরিণত হবো। আর তা বাস্তবায়নে বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ক্ষুদ্রচাষিদের জন্য কৃষি সহায়ক প্রকল্পটি যথেষ্ঠ ভূমিকা রাখবে। বুধবার (২৭ জুন) পিরোজপুরস্থ ডিএই প্রশিক্ষণকক্ষে প্রকল্পের রিভিউ ওয়ার্কশপে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের (ডিএই) অতিরিক্ত পরিচালক মো. ওমর আলী শেখ এসব কথা বলেন। তিনি আরো বলেন, এসডিজি অর্জনে সবার ভূমিকা থাকা চাই। কৃষি উন্নয়নে আরো কতো ভালো করা যায়, সে বিষয়ে সম্মিলিত অংশগ্রহণ প্রয়োজন। তাহলেই আমাদের লক্ষ্য অর্জিত হবে। ডিএই আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন, উপ-পরিচালক আবু হেনা মো. জাফর। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন, এলজিইডি’র নির্বাহী প্রকৌশলী সুশান্ত…
নিজস্ব প্রতিবেদক: বুধবার (২৭ জুন) রাজধানীর উত্তরার ওয়েস্ট বিজ্র স্কুলের বিপরীতে দেশের জনপ্রিয় পোলট্রি প্রক্রিয়াজাত খাদ্য পণ্য বিপণনকারী প্রতিষ্ঠান এজি ফুড লিমিটেড’র ৬৪তম আউটলেট উদ্বোধন করা হয়েছে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের পশুপালন অনুষদের অধ্যাপক আবিদুর রেজা, বেঙ্গল প্রোটিন অ্যান্ড ফ্যাট সাপ্লায়ারস কোম্পানির পরিচালক আরিফুল হক মনির, এজি এগ্রো ফুডস লিমিটেড –এর মহাব্যবস্থাপক (বিপণন ও বাজারজাতকরণ) কৃষিবিদ এএমএম নুরুল আলম, সহকারি মহাব্যবস্থাপক (বিপণন) কৃষিবিদ মো. রফিকুল আলম খান (জিমি) ছাড়াও এজি ফুড টিম। এজি উৎপাদিত এন্টিবায়োটিক ও এমবিএম প্রভাব মুক্ত গ্রীন চিকেন ইতোমধ্যে দেশের ভোক্তা মহলে বেশ সারা ফেলতে সক্ষম হয়েছে। উক্ত আউটলেটে গ্রীন চিকেন ছাড়াও অন্যান্য হিমায়িত মাংসজাত…
সালাহ্ উদ্দিন সরকার তপন : বেশ কয়েক বছর ধরে রাক্ষুসে মাছ হিসেবে পরিচিত শোল মাছের চাষ শুরু হয়েছে বাংলাদেশে। ময়মনসিংহস্থ হ্যাচারীগুলোতে চলছে বিস্তর কাজ ও গবেষণা।দেশের বাজারে চাহিদা থাকায় চাষিদের মধ্যেও শোল মাছ চাষে আগ্রহ দিনকে দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। আশা করি, এক সময় শোল মাছের চাষ হবে আমাদের চাষীদের জন্য একটি লাভজনক বিনিয়োগ। শোল মাছ প্রধানত তিন পদ্ধতিতে চাষ করা যায়- ১. সনাতন পদ্ধতি; ২. আধা নিবিড় পদ্ধতি, এবং ৩. নিবিড় পদ্ধতি, ১. সনাতন পদ্ধতি এই পদ্ধতিতে প্রতি শতাংশে ৫-৬টি মাছ দেয়া যেতে পারে। ছোট অবস্থায় জু প্লাংকটন (প্রাণীকনা) খেয়ে জীবন ধারন করে। পরবর্তীতে পুকুরের দেশি ছোট মাছ ও তেলাপিয়ার…
মো. নুর মালেক, হাটহাজারীঃ দক্ষিণ এশিয়ার একমাত্র প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজনন কেন্দ্র হালদা নদী দূষন দিনের পর দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। কলকারখানার ময়লা আবর্জনা, ফার্মের বিষ্টা পানিতে মিশে হালদা নদীতে গিয়ে ছোট বড় মাছ মরে ভেসে উঠছে। এদিকে প্রায় ৮ কেজি ওজনের আইড় মাছ ভেসে আসে মার্দাশা ইউনিয়নের মাছুয়াগুনা প্যারাখালি স্লুইচ গেইট এলাকায় । মৃত মাছটি গত বুধবার ভেসে উঠতে দেখা যায়। হালদা ফেডারেশনের সভাপতি শফিউল আলম জানান, অনেক মাছ নদীতে ভাসছে,এভাবে চললে নদীতে আর মাছ থাকবে না। এভাবে চলতে থাকলে অচিরেই হালদা মাছ শূন্য মরা নদীতে পরিনত হবে জানান হালদা পাড়ের জনসাধারণ।