রিতু জাহান: পৃথিবীর বৃহৎ ম্যানগ্রোভ বনাঞ্চল সুন্দরবন। এর আয়তন প্রায় ২৫০০বর্গ কিলোমিটার। ১৯৪৭ সালে দেশ ভাগের সময় এ আয়তনের দুই তৃতীয়াংশ পড়েছে বাংলাদেশের ভু-খণ্ডে আর এক অংশের মালিক ভারত। ১৯৪৭ সালে বৃটিশ শাসন থেকে মুক্তি পাবার সময় বৃটিশ পার্লামেন্টের অধীনে “সিরিল র্যাডক্লিফ” নামের এই কর্মচারী মাত্র পাঁচ সপ্তাহের এক নোটিশে গোটা ভারত বর্ষকে কেটে দু ভাগ করে দেয়। কয়েকটি রেখায় টানে কেটে টুকরো করা হয়, সাধারণ মানুষের ভাগ্য । একটি রেখায় চাষি ও সাধারণ মানুষকে তাদের বসতভিটা চাষ জমি ফেলে পথে বেরিয়ে পড়ে নতুন আবাসের লক্ষে। কোটি কোটি উদ্বাস্তু মানুষ তারা তাদের পরিবার পরিজন নিয়ে রাস্তায় নেমে পড়ে । নদী…
Author: Jewel 007
নিজস্ব প্রতিবেদক: ঘূর্ণিঝড় আ্ম্ফানে প্রায় ১ লাখ ৮০ হাজার ৫শ চিংড়ি ঘের ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে , যার অর্থমূল্য প্রায় ৩২৫ কোটি টাকা। ২৬টি জেলায় এ পর্যন্ত প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী প্রায় ১১শ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান আজ (বৃহস্পতিবার, ২১ মে) ঢাকায় তাঁর মন্ত্রণালয়ের সভা কক্ষ থেকে ঘূর্ণিঝড় আম্পান পরবর্তী সার্বিক বিষয়ে অনলাইনে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে এ তথ্য জানিয়েছেন। এ সময় মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. শাহ কামাল এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর মহাপরিচালক মোহাম্মদ মহসিন উপস্থিত ছিলেন। প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, যেহেতু এবার প্রচুর সংখ্যক গবাদিপশুকে নিরাপদে আশ্রয় কেন্দ্রে নিয়ে আসা সম্ভব হয়েছিল তাই মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ…
নিজস্ব প্রতিবেদক: দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান বলেছেন, ঘূর্ণিঝড় আম্পানের কারণে ২৬টি জেলায় এ পর্যন্ত প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী প্রায় ১১শ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে । সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত জেলাসমূহ হচ্ছে সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, পটুয়াখালী ও বরগুনা । প্রতিমন্ত্রী আজ (বৃহস্পতিবার, ২১ মে) ঢাকায় তাঁর মন্ত্রণালয়ের সভা কক্ষ থেকে ঘূর্ণিঝড় আম্পান পরবর্তী সার্বিক বিষয়ে অনলাইনে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে এসব কথা বলেন । এ সময় মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. শাহ কামাল এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর মহাপরিচালক মোহাম্মদ মহসিন উপস্থিত ছিলেন। প্রতিমন্ত্রী বলেন, এসব জেলায় ঘরবাড়ি প্রচুর ক্ষয়ক্ষতি ও নষ্ট হয়েছে। এসব ঘরবাড়ি সংস্কার ও নির্মাণে প্রতি জেলায় ৫শ’ বান্ডিল টিন…
নিজস্ব প্রতিবেদক: সাতক্ষীরাসহ বিভিন্ন জেলায় ঝড়ে পড়া আমগুলো ত্রাণ হিসেবে দুস্থ জনগণের মাঝে বিতরণের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ জানানো হয়েছছে। এতে একদিকে যেমন আমচাষিরা কিছুটা আর্থিক ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা পাবে অন্যদিকে তেমনি দু:স্থ এবং অসহায় জনগণের পুষ্টির ঘাটতি পূরণ হবে। আজ (বৃহস্পতিবার, ২১ মে) হেয়ার রোডের সরকারি বাসভবন থেকে বাংলাদেশের উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া প্রলয়ংকরী ঘুর্ণিঝড় আমফান এর ফলে কৃষিতে ক্ষয়ক্ষতি নিয়ে সাংবাদিকদের সাথে অনলাইনে (জুম প্ল্যাটফর্মে) মতবিনিময় সভায় এ অনুরোধ জানান কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক, এমপি। এ সময় কৃষিমন্ত্রী জানান, ঘূর্ণিঝড় আম্ফানে সাতক্ষীরা জেলায় প্রায় ৬০-৭০ ভাগ আম ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ব্রিফিংকালে কৃষিমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় ও সকলের সহযোগিতায়…
নিজস্ব প্রতিবেদক: ঘূর্ণিঝড় আম্ফানে প্রায় পৌনে দুই লাখ হেক্টর জমির ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কৃষি মন্ত্রণালয়ে প্রাথমিক প্রতিবেদন অনুযায়ী বোরো ধান ৪৭,০০২ হেক্টর শতকরা ১০ ভাগ, ভূট্টা ৩,২৮৪ হেক্টর শতকরা ৫ ভাগ, পাট ৩৪,১৩৯ হেক্টর শতকরা ৫ ভাগ, পান ২,৩৩৩ হেক্টর শতকরা ১৫ ভাগ, সবজি ৪১,৯৬৭ হেক্টর শতকরা ২৫ ভাগ, চিনাবাদাম ১,৫৭৫ হেক্টর শতকরা ২০ ভাগ, তিল ১১,৫০২ হেক্টর ২০ ভাগ, আম ৭,৩৮৪ হেক্টর শতকরা ১০ ভাগ, লিচু ৪৭৩ হেক্টর শতকরা ৫ ভাগ, কলা ৬,৬০৪ হেক্টর শতকরা ১০ ভাগ, পেঁপেঁ ১,২৯৭ হেক্টর শতকরা ৫০ ভাগ, মরিচ ৩,৩০৬ হেক্টর শতকরা ৩০ ভাগ, সয়াবিন ৬৪০ হেক্টর শতকরা ৫০ ভাগ, মুগডাল ৭,৯৭৩ হেক্টর শতকরা…
নাহিদ বিন রফিক (বরিশাল): বারি উদ্ভাবিত মুগডালের ওপর এক কৃষক মাঠদিবস ২০ মে বরিশালের কৃষি গবেষণা ক্যাম্পাসে অনুষ্ঠিত হয়। এ উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন বারির মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মুহাম্মদ সামসুল আলম। তিনি বলেন, মুগ এক জনপ্রিয় ডাল ফসল। রয়েছে আমিষের চমৎকার উৎস। খেতে যেমন সুস্বাদু, তেমনি পুষ্টিতে ভরপুর। বাজারমূল্যও ভালো। তাই মুগ ডালের আবাদ বেশ লাভজনক। প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. গোলাম কিবরিয়ার সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. মাহবুবুর রহমান, এসও মো. রাজিউদ্দিন প্রমুখ। অনুষ্ঠানে বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মো. মাহবুবুর রহমান, শর্মিলা দাস সেতু, স্মৃতি হাসনা, কৃষি তথ্য সার্ভিসের কর্মকর্তা নাহিদ বিন রফিক…
দেশের বিভিন্ন জেলার প্রধান কয়েকটি বাজারে ডিম, মুরগি ও বাচ্চার আজকের (বৃহস্পতিবার, ২১ মে) পাইকারি মূল্য : ইউনাইটেড এগ (সেল পয়েন্ট) : লাল ডিম=৭.০০, সাদা ডিম=৬.০০ ডাম্পিং মার্কেট : লাল (বাদামী) ডিম=৫.৬৫, সাদা ডিম=৪.৬৫ গাজীপুর: লাল (বাদামী) ডিম=৫.৬০, সাদা ডিম=৪.৬০, কালবার্ড লাল=১৭০/কেজি, কালবার্ড সাদা=১৩৯/কেজি, সোনালী মুরগী =১৭০/কেজি, প্যারেন্টস=২১০/কেজি। বাচ্চার দর: লেয়ার লাল =২৪-২৪, লেয়ার সাদা =৪০-৪৫, ব্রয়লার=২৫-২৬ চট্টগ্রাম: লাল (বাদামী) ডিম=৫.৮০, ব্রয়লার মুরগী=১৫৫/কেজি, কালবার্ড লাল=১৮৫/কেজি, সোনালী মুরগী =১৮০/কেজি। রাজশাহী: লাল (বাদামী) ডিম=৫.০০, সাদা ডিম=৪.২০, কালবার্ড লাল=১৭৫/কেজি, কালবার্ড সাদা=১৫০/কেজি, সোনালী মুরগী=১৮৫/কেজি। খুলনা: লাল (বাদামী) ডিম=৫.৮০, সাদা ডিম=৫.৬০, ব্রয়লার মুরগী =১৪০/কেজি,, সোনালী মুরগী =১৭৫/কেজি। বরিশাল: লাল (বাদামী) ডিম=৫.৩০, ব্রয়লার মুরগী=১৪০/কেজি, কালবার্ড লাল=১৯০/কেজি, সোনালী মুরগী…
নিজস্ব প্রতিবেদক: কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক, এমপির নির্দেশনায় বাংলাদেশ পাট গবেষণা ইনস্টিটিউট-এ বাস্তবায়নাধীন পাট বিষয়ক মৌলিক ও ফলিত গবেষণা প্রকল্প (জুট জিনোম প্রকল্প) এবং চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও এনিম্যাল সাইন্সেস বিশ্ববিদ্যালয় যৌথভাবে বাংলাদেশে সংক্রমিত নভেল করোনার ০৭টি (সাতটি) নমুনা ভাইরাসের পূর্ণাঙ্গ জিনোম সিকোয়েন্সিং সম্পন্ন করেছে। জিনোমের তথ্যসমূহ GISAID database এ জমা দেওয়ার পাশাপাশি বাংলাদেশে পাট গবেষণা ইনস্টিটিউট-এর ওয়েবসাইটেও আপলোড করা হয়েছে। উন্মোচিত জিনোম তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, সিকোয়েন্স সমূহের সাথে সৌদি আরব, রাশিয়া, অস্ট্রেলিয়া এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সিকোয়েন্সের মিল রয়েছে। উন্মোচিত জিনোম সিকোয়েন্সের একটি জিনোমের ক্ষেত্রে ৭টি স্থানে, ২টিতে ৫টি স্থানে এবং ৪টিতে ৪টি স্থানে মিউটেশন বা পরিবর্তন লক্ষ্য করা…
নিজস্ব প্রতিবেদক: করোনা পরিস্থিতিতে সাধারণ মানুষ যখন দিশেহারা ঠিক তখনই বিভিন্ন সেবামূলক কার্যক্রম চালিয়ে দেশবাসীর আস্থার জায়গা হয়ে উঠেছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। তেমনি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ব্যাতিক্রমধর্মী একটি উদ্যোগের নাম ‘১ মিনিটের বাজার ‘। করোনা পরিস্থিতির কারণে প্রান্তিক চাষীরা তাদের উৎপাদিত কৃষিজ পণ্য যেমন সহজে বিক্রি করতে পারছেন না ঠিক তেমনি নিম্ন আয়ের সাধারণ মানুষও নিত্য প্রয়োজনীয় খাদ্য সামগ্রী অর্থাভাবে এবং যোগান না থাকায় কিনতে পারছেন না। এই অবস্থায় খাগড়াছড়ি সেনা রিজিয়ন কর্তৃপক্ষ প্রান্তিক চাষিদের কাছ থেকে ন্যায্য মূল্যে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য সামগ্রী কিনে তা ‘১ মিনিটের বাজার’ নামে খাগড়াছড়ি জেলা স্টেডিয়ামে আয়োজিত ব্যাতিক্রমধর্মী উদ্যোগের মাধ্যমে সাধারণ নিম্ন আয়ের মানুষের মাঝে পৌঁছে…
ফকির শহিদুল ইসলাম(খুলনা) : ঘূর্ণিঝড় আম্ফানের প্রভাবে খুলনা অঞ্চলের নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় উপকূলীয় এলাকার নিম্নাঞ্চল নিমজ্জিত হতে শুরু করেছে। ইতিমধ্যেই কয়রা, পাইকগাছা ও দাকোপ উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে ঘর-বাড়ি ডুবতে বসেছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের ঝুঁকিপুর্ণ বেড়িবাঁধ দিয়ে পানি প্রবেশ করে কলাবগীসহ আশপাশ এলাকার ঘর বাড়ি ডুবতে শুরু করেছে । স্থানীয় সূত্রগুলো জানিয়েছে, নদ-নদীর পানি বেড়ে যাওয়ায় উপকূলের লোকালয় প্লাবিত হচ্ছে। বিশেষ করে নদী তীরবর্তী এলাকার ঘর-বাড়ি পানিতে তলিয়ে গেছে। এসব এলাকার বাসিন্দাদের পাশ্ববর্তী আশ্রয় কেন্দ্রে সরিয়ে নেয়া হয়েছে। সুন্দরবন সংলগ্ন খুলনার দাকোপ উপজেলার সুতারখালী ইউনিয়নের কালাবগী গ্রামের বেশ কয়েকটি বাড়ির অর্ধেকটা পানিতে তলিয়ে গেছে। বিশেষ…