গাজীপুর সংবাদদাতা: বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট (ব্রি) কর্তৃক উদ্ভাবিত ধানের বীজ বপন ও চারা রোপণ যন্ত্রের মাঠ প্রদর্শনী ও কৃষক প্রশিক্ষণ বুধবার (১৬ জুলাই) রাজশাহীর পবা ও গোদাগাড়ী উপজেলায় অনুষ্ঠিত হয়েছে। অনুষ্ঠানে ব্রির খামার যান্ত্রিকীকরণ বিভাগের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ও প্রকল্প পরিচালক ড. মো. সাইফুল ইসলাম উপস্থিত থেকে কৃষকদের বীজ বপন ও চারা রোপণের প্রশিক্ষণ প্রদান করেন এবং চলতি আমনের ধানের চারা রোপণ কার্যক্রম উদ্বোধন করেন। রাজশাহীর পবা ও গোদাগাড়ী উপজেলার ২৫জন কৃষক এই প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণ করেন।
প্রকল্প পরিচালক ড. মো. সাইফুল ইসলাম জানান, বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট কৃষি যান্ত্রিকীকরণে এক নতুন দিগন্তের সূচনা করেছে। দেশের বিভিন্ন স্থানে ‘ব্রি যান্ত্রিকীকরণ পল্লী’তে কৃষকদের বিনামূল্যে ধান বপন, রোপণ, পরিচর্যা ও কর্তনসহ বিভিন্ন সেবা প্রদান করা হচ্ছে যাতে কৃষকের শ্রম ও সময় সাশ্রয়সহ উৎপাদন খরচ হ্রাস পাচ্ছে। প্রকল্পের আওতায় ইতিমধ্যে ব্রি বীজ বপন যন্ত্র (সীড সোয়ার মেশিন), ব্রি রাইস ট্রান্সপ্লান্টার, ব্রি দানাদার ইউরিয়া সার প্রয়োগ যন্ত্র (ইউরিয়া সার প্রয়োগের জন্য), ব্রি পাওয়ার ইউডার( নিড়ানি যন্ত্র), ব্রি রিপার ( ধান কাটার যন্ত্র), ব্রি রিপার বাইন্ডার( আটি সহ ধান বাধা যায়), ব্রি ধান মাড়াই যন্ত্র ( ধান এবং খড় আলাদা হয়ে যায়) ব্রি উইনোয়ার (ধান ঝাড়াই যন্ত্র) সহ ১০টি বিভিন্ন ধরণের কৃষিযন্ত্র উদ্ভাবন ও কৃষক পর্যায়ে সম্প্রসারণ করা হয়েছে।
প্রকল্পের আওতায় উদ্যোক্তাদের মাধ্যমে সারাদেশে ৯টি কৃষি যান্ত্রিকীকরণ পল্লী পরিচালিত হচ্ছে। যেখানে ধান বপন, রোপণ, পরিচর্যা ও কর্তনসহ বিভিন্ন সেবা প্রদান করা হচ্ছে। এই রাজশাহীর পবা ও গোদাগাড়ী উপজেলায় ৫০ বিঘা জমিতে ব্রী সীড সোয়ার যন্ত্র দিয়ে বীজ বপন এবং ব্রি রাইস ট্রান্সপ্লান্টার দিয়ে ধানের চারা রোপন করা হচ্ছে।
প্রকল্পের সুবিধাভোগী কৃষক জনাব শফিকুল ইসলাম জানান, ব্রি রাইস ট্রান্সপ্লান্টারে ধান রোপনে বিঘাপ্রতি খরচ মাত্র ৬০০টাকা, কিন্তু শ্রমিকের মাধ্যমে হাতে রোপনে খরচ হয় প্রায় ২০০০-২৪০০টাকা। সুতরাং যান্ত্রিক পদ্ধতিতে বীজ বপন ও চারা রোপনে কৃষকের শ্রম ও সময় সাশ্রয়সহ উৎপাদন খরচ হ্রাস পাচ্ছে