Saturday 27th of April 2024
Home / মৎস্য / বিলুপ্ত ও পরিত্যক্ত জলাশয় সংস্কার করতে হবে -মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী

বিলুপ্ত ও পরিত্যক্ত জলাশয় সংস্কার করতে হবে -মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী

Published at মার্চ ৪, ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক: প্রকৃত জেলেদের খুঁজে বের করে সঠিকভাবে তালিকা প্রস্তুত এবং বিলুপ্ত ও পরিত্যক্ত জলাশয় সংস্কারপূর্বক মাছ চাষের আওতায় আনার ব্যবস্থা নেওয়ার আহবান জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী মো. আব্দুর রহমান। আজ সোমবার (০৪ মার্চ) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে জেলা প্রশাসক সম্মেলনের দ্বিতীয় দিনের দ্বিতীয় অধিবেশনে ডিসিদের উদ্দেশ্যে মন্ত্রী এ আহবান জানান।

ডিসিদের উদ্দেশ্যে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী বলেন, পুকুর, পচা, ডোবা, ছোট ছোট খাল, নদী যেগুলো বিলুপ্তির পথে, সেগুলো চিহ্নিত করে সংস্কারপূর্বক মাছ চাষের আওতায় আনার ব্যবস্থা নিতে হবে। শেখ হাসিনার বাংলাদেশে মাছে ভাতে সকলেই ভালোভাবে বেঁচে থাকবে, কেউ খাবারের অভাবে, পুষ্টির অভাবে মারা যাবে না বলে তিনি মন্তব্য করেন।

তিনি বলেন, ইলিশ মাছ ধরা নিষিদ্ধকালীন সময়ে জেলেদেরকে সরকার কর্তৃক প্রদত্ত ভিজিএফ কার্ডের মাধ্যমে সহযোগিতা করা হয়। এক্ষেত্রে তিনি প্রকৃত জেলে এবং যেসব জেলে ক্ষতিগ্রস্ত তাদের তালিকা যেন নিঁখুতভাবে প্রস্তুত করা হয়, সেদিকে লক্ষ্য রাখার জন্য ডিসিদের প্রতি আহবান জানান। তিনি কারেন্ট জালসহ নিষিদ্ধ ঘোষিত অন্যান্য জাল যেগুলো দিয়ে অপ্রাপ্ত বয়সের মাছগুলোকেও ধরে ফেলা হয়, সেসব নিষিদ্ধ জাল ব্যবহারের বিষয়টি যেকোন উপায়ে প্রতিরোধ করার ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য ডিসিদের প্রতি আহবান জানান।

তিনি বলেন, মাইকিংসহ অন্যান্য সচেতনতামূলক কার্যক্রম চালানোর পাশাপাশি আইনের যথাযথ প্রয়োগ করা হলে ইলিশসহ অন্যান্য মাছের উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে। বর্তমান সরকার জাটকা রক্ষায় কেবল আইন প্রয়োগ করছে না বরং এই মাছ ধরা নিষিদ্ধ সময়ে জেলেদের জন্য ভিজিএফ খাদ্য সহায়তার পরিমাণ আগের চেয়ে অনেক বৃদ্ধি করেছে।

তিনি জানান, এবছর আগামী ১১ মার্চ হতে ১৭ মার্চ পর্যন্ত “জাটকা সংরক্ষণ সপ্তাহ, ২০২৪” উদ্‌যাপন করা হবে। যার উদ্বোধন অনুষ্ঠান আগামী ১১ মার্চ ইলিশ সমৃদ্ধ অন্যতম জেলা চাঁদপুর-এর সদর উপজেলার মোলহেড প্রাঙ্গনে অনুষ্ঠিত হবে ।

অধিবেশন শেষে সংবাদ সম্মেলনে অংশগ্রহণ করে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আসন্ন রমজান মাসে রাজধানীর ২৫ থেকে ৩০টি স্থানে ট্রাকে করে কম দামে মাংস, দুধ ও ডিম বিক্রি করা হবে। আাগামী ১০ মার্চ এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হবে। ঈদের আগের দিন পর্যন্ত ট্রাকে করে এ কার্যক্রম চলবে জানিয়ে তিনি বলেন, ঢাকার বাইরে ন্যায্যমূল্যে বিক্রি করার তাগিদ আছে। ব্যবসায়ীদের কাছে অনুরোধ, আপনারা মানুষকে কষ্ট দিয়ে অধিক মুনাফা লাভের চেষ্টা করবেন না। এই কার্যক্রম সারা দেশে চলবে কি-না জানতে চাইলে তিনি বলেন, আপাতত ঢাকায় ২৫ থেকে ৩০টি স্থানে এটা করা হবে। পর্যায়ক্রমে সামর্থ্য অনুসারে আরও বেশি জায়গায় প্রসারিত করার চেষ্টা করা হবে।

ইলিশ সংরক্ষণ নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, জাটকা ধরা থেকে মৎস্যজীবীদের নিবৃত্ত করতে হবে। এটা বন্ধ হলে ইলিশ উৎপাদন বৃদ্ধি হবে। মাছ উৎপাদন নিয়ে প্রাণিসম্পদে আমরা সন্তোষজনক অবস্থায় আছি। এটার প্রবৃদ্ধি ও উন্নয়নের লক্ষ্যে আমাদের আরও কিছু পরিকল্পনা আছে বলে এসময় তিনি মন্তব্য করেন।

This post has already been read 628 times!