Saturday 27th of April 2024
Home / পোলট্রি / পোলট্রি ভ্যাকসিনগুলো ঠিক মতো কাজ করছে না -মসিউর রহমান

পোলট্রি ভ্যাকসিনগুলো ঠিক মতো কাজ করছে না -মসিউর রহমান

Published at আগস্ট ৯, ২০২৩

ওয়ার্ল্ডস পো‌ল্ট্রি সা‌য়েন্স এসো‌সিয়েশন বাংলা‌দেশ শাখা’র (WPSA-BB) বা‌র্ষিক সাধারণ সভা ও নব নির্বা‌চিত সদস‌্যদের অভি‌ষেক অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখছেন ওয়াপসা-বিবি’র সভাপতি মসিউর রহমান।

নিজস্ব প্রতিবেদক: পোলট্রি ভ্যাকসিনগুলো ঠিক মতো কাজ করছে না, বলে জানিয়েছেন ওয়ার্ল্ডস পোলট্রি সায়েন্স এসোসিয়েশন বাংলাদেশ শাখার সভাপতি মসিউর রহমান। তিনি জানান, H5N1, H5N3, H5N4, H5N5, H5N6 or H5N8 এভিয়ান ইনফ্লুয়েঞ্জার এ সাবটাইপগুলো বিভিন্ন দেশে দেখা যাচ্ছে। নতুন কিছু জীবাণু মহামারি হয়ে উঠতে পারে- এমন আশংকাও করছেন বিজ্ঞানীরা। কাজেই আমাদের দেশের পোল্ট্রি শিল্পকে কিভাবে সুরক্ষা দেয়া যায় সেজন্যও ভাবতে হবে।

মঙ্গলবার (৮ আগস্ট) ওয়ার্ল্ডস পো‌ল্ট্রি সা‌য়েন্স এসো‌সিয়েশন বাংলা‌দেশ শাখা’র (WPSA-BB) বা‌র্ষিক সাধারণ সভা ও নব নির্বা‌চিত সদস‌্যদের অভি‌ষেক অনুষ্ঠানের স্বাগত বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় অবস্থিত ওয়াপসা-বিবি’র নিজস্ব অফিসে উক্ত সাধারণ সভা ও অভিষেক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।

“পোল্ট্রি শিল্প থেমে নেই বরং সামনের দিকে এগিয়ে চলেছে। বাণিজ্যিক বিবেচনায় দেশীয় জাত উদ্ভাবন করতে হবে। নিজস্ব যোগ্যতায় কিভাবে উৎপাদন বাড়ানো এবং খরচ কমানো এবং ভোক্তাদের কীভাবে কম দামে ডিম ও মুরগি দেয়া যাবে সে পথ খুঁজতে হবে” -যোগ করেন মসিউর রহমান।

ম‌সিউর রহমান বলেন, ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ, ডলার সংকট এবং কাঁচামালের দামের উর্ধ্বগতি, সেই সাথে উৎপাদন খরচ বৃদ্ধির কারণে বাংলাদেশের পোল্ট্রি শিল্প কঠিন সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। সামনে আরো কঠিন সময়।  শুধু বাংলাদেশ নয় সারা পৃথিবী “খাদ্য নিরাপত্তা” এবং সেই সাথে “পুষ্টি নিরাপত্তা” নিয়ে চিন্তিত। তবে আশার কথা হলো, পোল্ট্রি শিল্প থেমে নেই বরং সামনের দিকে এগিয়ে চলেছে। বাংলাদেশের পোল্ট্রি শিল্পকে আমরা আরো বৈজ্ঞানিক শিল্প হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে চাই।

যুক্তরাষ্ট্রের কৃষি বিভাগের উদ্বৃতি দিয়ে তিনি বলেন, চাহিদা বৃদ্ধির সাথে সাথে পোল্ট্রি বিশ্বব্যাপী মাংস আমদানিতে অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে বলে আশা করা হচ্ছে। তাঁদের এ বক্তব্য থেকে ২টি বিষয় লক্ষ্যণীয়- (১) আগামী দিনগুলোতে পোল্ট্রি’র চাহিদা আরো বাড়বে; এটা বাংলাদেশের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য; এবং (২) রপ্তানি বাজার সম্প্রসারিত হবে। কিন্তু আমরা এখনো রপ্তানি বাজারে প্রবেশ করতে পারিনি। মাস ও ডিমের রপ্তানি বাজারে ঢুকতে হলে প্রচুর কমপ্লায়েন্স দরকার হয়, সেগুলো নিয়ে কাজ করতে হবে। কমপার্টমেন্টালাইজেশন বা জোনিং -এর জন্যও কাজ করা দরকার। এ কাজটি এখনও শুরু হয়নি। এজন্য বিশেষজ্ঞ ও গবেষক। কাজেই এখানেও আমাদের কাজ করার সুযোগ আছে।

মসিউর রহমান আরো বলেন- প্রযুক্তিগত অগ্রগতি, ভোক্তা পছন্দ পরিবর্তন, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা এবং পোলট্রি শিল্পে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবের মতো বিষয়গুলো নিয়ে আমাদের গভীরভাবে ভাবতে হবে।

This post has already been read 2801 times!