নিজস্ব প্রতিবেদক: জাতীয় জীবপ্রযুক্তি নীতিমালা-২০২১ এর কমিটিতে সরকারি লোকের পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, বিজ্ঞানী, বেসরকারি উদ্যোক্তা এবং সংশ্লিষ্ট স্টেকহোল্ডাদের রাখা উচিত। গবেষণার ক্ষেত্রে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোইতো প্রধান কিন্তু নীতিমালা সংশ্লিস্ট কমিটিতে কোন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধি রাখা হয়নি; আমরা মনে করি সেখানে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর প্রতিনিধির অন্তর্ভূক্তি থাকার দরকার। আমরা যারা সরকারি চাকুরি করেছি বা করি তারাতো একই জায়গায় সবসময় থাকি না; যারা এই বিষয় নিয়ে নিয়মিত গবেষণা করেন তাদেরকে একান্তই অন্তর্ভুক্ত করা দরকার। কমিটিতে প্রাইভেট সেক্টরেরও অন্তর্ভূক্তি দরকার। কারণ, যারা বিনিয়োগ করবে তাদেরকে সেখানে দরকার, নয়তো তারা কি বুঝে বিনিয়োগ করবেন?
মঙ্গলবার (৬ জুন) রাজধানীর একটি অভিজাত হোটেলে আয়োজিত “Expert Solicitation on Biotechnology Policy of Bangladesh – Draft-2021“ শীর্ষক সেমিনারে এসব কথা বলেন সাবেক কৃষি সচিব এবং এগ্রিকালচারাল বায়োটেকনোলজি কোয়ালিশন (ABC) এর আহ্বায়ক আনোয়ার ফারুক। সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব জিয়াউল হাসান, এনডিসি এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত কৃষি সচিব রুহুল আমিন তালুকদার।
আনোয়ার ফারুক বলেন, আমরা সবসময় সরকারি নীতিমালা তৈরি করি, সরকারের লোকদের কথাই চিন্তা করি, সরকারি গবেষকদের কথাই চিন্তা করি; কিন্তু যারা এটি নিয়ে কাজ করে তাদের কথাটি আসে না; আমরা মনে করি প্রাইভেট সেক্টরের সংশ্লিষ্টতা বাড়ানোর জন্য সরকারকে প্রণোদনা দিতে হবে।
জাতীয় জীবপ্রযুক্তি নীতিমালা-২০২১ -এর ওপর পর্যবেক্ষণ তুলে ধরেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. তফাজ্জল হোসেন। তিনি নীতিমালায় বিভিন্ন শব্দের সংযোজন, বিয়োজন, পরিমার্জন ও পরিবর্ধন বিষয়ে মতামত তুলে ধরেন।
বায়োটেকনোলজি ও নীতিমালা বিষয়ে আলোচনা করেন ভারতীয় বিশেষজ্ঞ ড. এম কে রেড্ডি।
এছাড়াও উপস্থিত অন্যান্য বিশেষজ্ঞগণ তাদের মতামত তুরে ধরেন। তাঁরা বিভিন্ন শব্দ ও বাক্যের সংশোধন ছাড়াও বায়োটেকনোলজি বিভাগের জন্য আলাদা ক্যাডার সার্ভিস যুক্ত করার দাবী করেন।