Saturday 20th of April 2024
Home / মতামত / ফিডমিলের বায়োসিকিউরিটি কেন খুব বেশি গুরুত্বপূর্ণ?

ফিডমিলের বায়োসিকিউরিটি কেন খুব বেশি গুরুত্বপূর্ণ?

Published at মে ২৬, ২০২৩

রেজাউল কবির: বিভিন্ন রোগ-ব্যাধি ও অন্যান্য ভৌত ক্ষতিকর প্রভাব থেকে জীবকে (উদ্ভিদ ও প্রাণী) মুক্ত রাখার জন্যে যে সকল কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়, তাকে বায়োসিকিউরিটি বলে। এটি একটি কৌশলগত এবং সমন্বিত পদ্ধতি যা জীবের জীবন ও স্বাস্থ্যের প্রাসঙ্গিক ঝুঁকিগুলি বিশ্লেষণের পাশাপাশি পরিচালনার জন্য নীতি এবং নিয়ন্ত্রক কাঠামো অন্তর্ভুক্ত করে। বায়োসিকিউরিটি নিয়ন্ত্রনের মাধ্যমে রোগের সংক্রমণ- ব্যক্তি, প্রাণী বা একস্থান থেকে অন্য স্থানে দ্রুত ছড়িয়ে পড়া রোধ করা সম্ভব।

আপনাদের করোনা ভাইরাসের ভয়াবহতা ও ছড়ানোর কথা অবশ্যই মনে আছে। কত দ্রুত তা বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়েছিল। সেই সময় যে দেশ বা ব্যক্তি যত বেশী সঠিক উপায়ে বায়োসিকিউরিটি মেনটেইন করতে পেরেছিল, তারা তত ঝুঁকি মুক্ত ছিল ।

রোগ সংক্রমণের জন্য “ফিড অনেক ভেক্টরের মধ্যে একটি। আমাদের দেশে অনেক ফিড মিলেই দেখা যায় যে,পাশাপাশি কাঁচামাল ও ফিড রাখা হয়। প্রসেস করার সময় ধূলো বালি সর্বত্র ছড়িয়ে পড়ে। আর এই ধুলোবালিই উচ্চ রোগজীবাণু (eg. Salmonella) লোড ধারণ করে। তাই একটি ফিড মিলে পৃথকীকরণের লাইন তৈরি করা গুরুত্বপূর্ণ। যদি কোনও প্যাথোজেন ফিড সরবরাহের চেইনে একবার প্রবেশ করে, তাহলে ধরে নেয়া যায় যে,  সংক্রমণের সম্ভাবনা প্রায় নিশ্চিত। যেমন সালমোনেলা জীবাণুর কথাই ধরুন। এটি এমন একটি মাইক্রো-অর্গানিজম যা সব জায়গায় থাকতে পারে। যেমন- পানি, ধুলাবালি, পোকমাকড়, কাঁচামাল অথবা বিভিন্ন যান্ত্রিক ভেক্টরের (মানুষের জুতা, গাড়ির টায়ার ইত্যাদি) মাধ্যমে ফিড,তারপর ফিড থেকে ফার্মে সংক্রমণের সম্ভাবনা থাকে। সালমোনেলা থেকে যে শুধুমাত্র ফিড বা ফার্ম আক্রান্ত্র হচ্ছে তা নয়, এ ব্যাকটেরিয়া দ্বারা মানুষও সংক্রমিত হচ্ছে।

তাছাড়া ফিড ডেলিভারি বায়োসিকিউরিটি প্রোটোকলের একটি দুর্বল পয়েন্ট হিসাবে অভিহিত। কেবল মেঝে পরিষ্কার করা যথেষ্ট নাও হতে পারে। এক্ষেত্রে স্যানিটেশন পদক্ষেপ যথেষ্ট গুরুত্বের দাবীদার।

একটু চিন্তা করে দেখুন- আমাদের মত কাঁচামাল আমদানী নির্ভর দেশের জন্য ফিডমিলে বায়োসিকিউরিটি মেনটেইন খুব বেশি গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু কেন? কারণ, কোথা থেকে কিভাবে কোন কাঁচামাল, কোন জীবাণু বহন করে নিয়ে আসে তা কি আমরা কেউ বলতে পারি? পারি না।

তাছাড়া ট্রান্সপোর্টগুলো দেশের বিভিন্ন খামারে ফিড ডেলিভারী দেয়। তা আবার ফিডমিলে ফিরে আসে। এভাবে ফিড মিল থেকে খামারে বা খামার থেকে ফিড মিলে প্রতিনিয়ত জীবাণুর অণুপ্রবেশ ঘটছে। জীবাণুর এ চক্রাকার বলয় থেকে রক্ষা পেতে জৈবনিরাপত্তার দিকে নজর দেয়া এখন সময়ের দাবী।

ফিডমিলের বায়োসিকিউরিটি বুঝার আগে আপনাকে অবশ্যই একটি খামারের বায়োসিকিউরিটি বুঝতে হবে। কারণ খামারের বায়োসিকিউরিটির উল্লেখযোগ্য ফ্যাক্টরগুলোর মধ্যে ফিড একটি গুরুত্বপূর্ণ ফ্যাক্টর, যাকে ব্যাতিরেখে ১০০% বায়োসিকিউরিটি মেনটেইন অসম্ভব। একটি খামারের লাভ-লসে ঐ খামারের বায়োসিকিউরিটির নীরব ভূমিকা রয়েছে। সঠিক উপায়ে বায়োসিকিউরিটি মেনটেইন করতে না পারলে খামারে সংক্রামক রোগ বালাই লেগেই থাকে, পিছু ছাড়ে না। খামারে মাইক্রোবিয়াল লোডের পাশাপাশি ঔষধ খরচ বাড়ে। সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ে লস। রেসিডুয়াল ইফেক্টতো আছেই। তাই সাফল্যের সাথে ফার্ম পরিচালনায় বায়োসিকিউরিটির প্রয়োগ অত্যাবশ্যক।

ধরুন, আপনি আপনার খামারে সব ধরনের বায়োসিকিউরিটি মেনটেইন করলেন। কিন্তু আপনি যে ফিডমিল থেকে ফিড সংগ্রহ করছেন- সেখানকার বায়োসিকিউরিটি ব্যবস্থা অত্যন্ত দুর্বল। তাহলে ঘটনা কি দাড়ালো? আপনি বায়োসিকিউরিটির সবগুলো ফ্যাক্টর মেনটেইন করার পরও ফিড মিলের বায়োসিকিউরিটি ব্যবস্থা দুর্বল হওয়ার কারণে আপনার খামারও ঝুঁকির মধ্যে পড়ল। তাই এমন ফিডমিল থেকে খামারের ফিড সংগ্রহ করতে হবে যাদের স্ট্যান্ডার্ড বায়োসিকিউরিটি ব্যবস্থা কার্যকর।

আসুন আমরা এখন বায়োসিকিউরিটি মেনটেইন করার উপকারী দিকগুলোর দিকে একটু আলোকপাত করি-

ফিডমিলে বায়োসিকিউরিটি মেইনটেইন যেসব উপকার পাবেন –

  • সংক্রামক রোগের সংক্রমণের ঝুঁকি কমবে।
  • মেডিসিন ব্যবহারের প্রয়োজন নেই।
  • মেডিসিনের ব্যবহার হবে না, ফলে অপচয় কমবে।
  • অপচয় না হলে উৎপাদন ব্যায় বৃদ্ধির সুযোগ নেই।
  • রোগের সংক্রমণ না থাকলে উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে।
  • উৎপাদন বাড়লে মুনাফার পরিমান বাড়বে।
  • মুনাফা বাড়লে খামারী মানসিক ভাবে উজ্জীবিত হবে, ব্যবসা বড় করার প্রত্যয়ে অংশীদার হবে।
  • ব্যবসা বড় হলে নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে।
  • বেকার সমস্যা সমাধানের পথ বের হবে।
  • পরিবারের উন্নতির পাশাপাশি সমাজ তথা দেশের অর্থনীতিতে ভূমিকা রাখবে।

জৈব নিরাপত্তার কার্যকরের উপায়গুলোর মধ্যে অন্যতম হল- সম্ভাব্য মাইক্রোবিয়াল hazard point identify; প্রতিরোধ কৌশল নির্ধারণ ও তার বাস্তবায়ন। তন্মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল- ফিডমিলে আগত উপাদান, ফিড উৎপাদন প্রবাহ, নিয়ম বহির্ভূত পরিদর্শক ও কর্মচারীদের যত্রতত্র পদচারিতা, ধূলো ও জীবাণু মুক্ত পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন শুষ্ক পরিবেশ  ইত্যাদি কন্ট্রোলিং করা। তাছাড়া সর্বোচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ উপাদান বাদ দেয়া। এমন তিনটি প্রধান ক্ষেত্র রয়েছে যেগুলো কন্ট্রোল করতে পারলে প্যাথোজেনের ঝুঁকি অনেকটাই হ্রাস করা সম্ভব। যেগুলো হল:- পানি, সমস্থ ভেক্টর এবং পরিষ্কার ও জীবাণুমুক্তকরণ।

১. পানি
(ক). যেহেতু পানি সমস্থ ব্যাকটেরিয়ার আধাঁর হিসেবে পরিচিত, তাই স্থায়ী ভাবে পানি জমে এমন কোন স্পট রাখা যাবে না। যদি যানবাহন ও মানুষ চলাচল করে এমন রাস্তায় পানি জমে থাকে তাহলে এর উপর দিয়ে যাতায়াতের সময় গাড়ির চাকার সাথে লেগে জীবাণু ছড়িয়ে পড়ার সুযোগ সৃষ্টি হয়। তাছাড়া পাখি ও অন্যান্য প্রাণীরা জমাকৃত পানি থেকে পান করার মাধ্যমেও জীবাণুর সংক্রমণ হতে পারে।

(খ). গাড়ির জীবাণুনাশক স্টেশনে অতিরিক্ত পানি জমা থাকে এমন কোন স্পট রাখা যাবে না। মনে রাখতে হবে- জীবাণুনাশক স্টেশন তখনই উপকারী হবে যদি এর আশেপাশে স্থায়ী কোন পানির স্পট না থাকে।

(গ). ড্রেনেজ ব্যবস্থা অবশ্যই উন্নত হতে হবে।  যেখানে কখনো পানি জমে থাকবে না।

(ঘ). জীবাণুনাশক ঠিকভাবে কাজ করছে কি-না তা নির্দিষ্ট সময় অন্তর অন্তর পরীক্ষা করা।

(ঙ). প্রসেস বা স্টোরেজ সিস্টেমে কোনভাবেই বৃষ্টির পানি প্রবেশ বা ময়েশ্চার শোষণ করতে পারে এমন পরিবেশ রাখা যাবে না।

২. পরিষ্কার এবং জীবাণুমুক্তকরণ

ফিডমিলের সমস্ত বিশৃঙ্খলা সরিয়ে ডাস্ট পরিষ্কার করতে হবে। এসব ডাস্ট অপসারণে অবশ্যই স্ক্র্যাপার, বেলচা এবং ঝাড়ু দিয়ে হাতে করতে হবে। লক্ষ্য রাখতে হবে যেন কোনভাবেই কম্প্রেসারের ব্যবহার না হয়। কারণ, কম্প্রেসারের মাধ্যমে পানি ছড়ানোর সম্ভাবনা থাকবেই। সমস্থ এলাকা পরিষ্কার ও শুকনো হওয়ার পরই তাতে জীবাণুনাশক স্প্রে করতে হবে।

৩. সমস্ত ভেক্টর
ব্যাকটেরিয়া এবং ভাইরাসের বিস্তারের জন্য ভেক্টরগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো- অর্গানিক বস্তু, ধূলিকণা (Salmonella loves dust), ইঁদুর, বন্য পশু-পাখি, যানবাহন এবং পায়ের ধুলো ইত্যাদি। বাহিরের সাথে ফিডমিলের যোগাযোগ হবে শুধুমাত্র সিলেক্টেড গেটের মাধ্যমে। বাকী পুরো অংশই থাকতে হবে প্রাচীর বেষ্টিত। তাছাড়া ড্রাইভার ও হেলপারদের জন্য আলাদা ওয়েটিং ও রেস্ট রুমের (খাওয়ার পানি ও ওয়াশরুম) ব্যবস্থা থাকা উচিত।

সামগ্রিকভাবে জৈব নিরাপত্ত্বার ক্ষেত্রে আমরা নিমোক্ত পয়েন্টগুলো অনুশীলন করতে পারি। যেমন:-

১. ভিজিটর প্রোটোকল এবং ডকুমেন্টেশান মেইনটেইন করা।

২.পরিদর্শকদের ঘুরাফেরার জন্য এরিয়া লিমিটেড হওয়া উচিত।

৩.ফিল্ডে কর্তব্যরত ডাক্তার, সেলস রিলেটেড ব্যক্তি, দর্শনার্থীদের ভেতরে প্রবেশ ও ঘুরাফেরার ব্যপারে   সীমাবদ্ধকরণ, ঘুরাফেরার জন্য এরিয়া ও সময় নির্ধারণ এবং ভেতরে থেকে বাহিরে যাওয়ার সময় জীবাণু মুক্তকরণ ব্যবস্থা জোরদার করা।

৪. গাড়ী ফ্যাক্টরীতে প্রবেশের পূর্বেই গাড়ীর চাকা জীবাণুমুক্তকরণ। গাড়ী ফিডমিলে ঢুকার পূর্বেই ফুট  বাথ/ডিজইনফেকশান এরিয়া স্থাপন করা।

৫. যত্রতত্র গাড়ী চালকদের ফিডমিলে চলাফেরায় অনুমতি না দেয়া।

৬. গাড়ী চালকদের জন্য আলাদা এড়িয়া (গোসল, খাবার পানি, বিশ্রামের জায়গা  ইত্যাদি) নির্ধারণ করা।

৭. ফিজিক্যালী ফিডমিল ক্লিনিং ও ডিজইনফেকশান মেইনটেইন।

৮. অব্যবহৃত গর্ত থাকলে তা মাটি দিয়ে ঢেকে দেয়া।

৯. ডাস্ট কন্ট্রোল এবং এয়ার ফিলট্রেশন ব্যবস্থা উন্নত করা।

১০. সকল প্রকার ব্যবহৃত যন্ত্রপাতি পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা ।

১১. হাউজ কিপিং ও FIFO মেনটেইন করা।

১২. ফিডমিলের সর্বত্র SOP মেনটেইন করা।

১৩. বন্য প্রাণী বা পাখির বিচরণ টোটালি বন্ধ করতে হবে এবং সময়মতো পেস্ট কন্ট্রোল করা।

১৪. ফিডমিল কে প্রাচীর দ্বারা বেষ্টিত করা যাতে যত্রতত্র মানুষ ও বিভিন্ন প্রাণীর চলাচল সীমাবদ্ধ রাখা যায়।

১৫. জৈব নিরাপত্তা সংবলিত সাইনবোর্ড অবশ্যই ফিডমিল গেইটে থাকতে হবে।

১৬. নিয়মিত মনিটরিং (Physically, Enough Lighting System & CC camera) এবং কর্মচারীদের মধ্যে জৈবনিরাপত্তা বিষয়ক প্রশিক্ষণ চালু রাখা।

১৭. ‍পর্যাপ্ত সিকিউরিটির উপস্থিতিতে চলাচলে সীমাবদ্ধতার আওতায় আনতে হবে।

১৮. প্রত্যেক স্টাফকে পারসনাল হাইজেনি মেনটেইন করা।

১৯. সম্ভব হলে সাপ্লাইয়ার গোডাউন পরিদর্শন করা ইত্যাদি।

বায়োসিকিউরিটির সাফল্য আপনি কখনোই জানতে পারবেন না। এটি শুধুমাত্র আপনাকে ঝুঁকি মুক্ত পণ্য উৎপাদন ও সরবরাহেই সহযোগিতা করছে তা নয়। এটি যেকোন খামারের জৈবনিরাপত্তার একটি গুরুত্বপূর্ণ ফ্যাক্টর যার ওপর লাভ বা লোকসান অনেকাংশেই নির্ভর করে। এমন একটি পরিকল্পনা বাস্তবায়ন একদিনে সম্ভব নয়। কন্টিনিউ অনুশীলনের মাধ্যমে আপনার বায়ো সিকিউরিটি প্রোগ্রামের উন্নতির পাশাপাশি প্যাথোজেনের ঝুঁকি হ্রাস করা সম্ভব। তাই খামারের পরিপূর্ণ বায়োসিকিউরিটি বজায় রাখতে সংগৃহীত ফিড কারখানা যাচাই বাঁছাই প্রয়োজন যাতে করে নিরাপত্তার জায়গা সুনিশ্চিত করা যায়। ফলে রোগের সংস্পর্শ থেকে প্রাণিসম্পদ রক্ষা পাবে। এছাড়াও প্রাণিসম্পদ এবং জুনোটিক রোগের ক্ষেত্রে – মানব জনসংখ্যার মধ্যে রোগের বিস্তার  সীমিত করার লক্ষ্য রাখে। সংক্রামক রোগগুলো ক্লিনিকাল (স্পষ্ট) বা সাবক্লিনিকাল (লুকানো) হোক না কেন, প্রানীসম্পদ উদ্যোগের উত্পাদনশীলতা, লাভ এবং দীর্ঘমেয়াদি আর্থিক কার্যকারিতা উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস করতে পারে।

তাই সুদূর প্রসারী ফার্মিং ব্যবস্থার উন্নয়নে ফিডমিলের বায়োসিকিউরিটির ভূমিকা অপরিসীম বলে আমি মনে করি। ফার্মিং ঝুঁকি কমানোর প্রয়াসে দেশের প্রতিটি ফিডমিলে জৈব নিরাপত্তার বিশেষ রুপরেখা প্রবর্তণ, অনুশীলন ও তার বাস্তবায়নে দেশের সকল ফিড মিল মালিক এবং সংশ্লিষ্ট পেশার সাথে সম্পর্কিত সকলের প্রতি উদাত্ত্ব আহবান জানাচ্ছি। নানাবিধ সংকটের ‍মুখে প্রান্তিক চাষিদের লোকসানের পাল্লা ন্যুনতম কমাতে ফিডমিল বায়োসিকিউরিটি সহায়ক হবে বলে আশা করা যায়।

লেখক: প্রাণীবিজ্ঞানী এবং পুষ্টির ছাত্র, আইইউ।

This post has already been read 2640 times!