Sunday 28th of April 2024
Home / অর্থ-শিল্প-বাণিজ্য / পেঁয়াজ নিয়ে রাজনীতি ও সংকট দূর হবে- কৃষিমন্ত্রী

পেঁয়াজ নিয়ে রাজনীতি ও সংকট দূর হবে- কৃষিমন্ত্রী

Published at মে ২৩, ২০২৩

পাবনা সংবাদদাতা: পেঁয়াজ সংরক্ষণের দেশিয় মডেল ঘর উদ্বোধন করে কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. মো: আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন,  সফলভাবে পেঁয়াজ সংরক্ষণ করতে পারলে দেশে পেঁয়াজ নিয়ে অস্থিরতা ও সংকট দূর হবে এবং পেঁয়াজ নিয়ে রাজনীতি বন্ধ হবে।

তিনি বলেন, দেশে চাহিদার চেয়েও বেশি পেঁয়াজ উৎপাদন হয়, কিন্তু এক-তৃতীয়াংশ পেঁয়াজ নষ্ট হয়ে যাওয়ার কারণে পেঁয়াজের ঘাটতি হয়, দাম অস্বাভাবিক হয়, নানান রকম রাজনীতি শুরু হয়। পাশের দেশ ভারত থেকেই আমদানি বেশি করতে হয়, ভারত অনেক সময় রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা দিয়ে থাকে, এতে চরম সংকট দেখা দেয়। সেজন্য পেঁয়াজ সংরক্ষণে আমরা গুরুত্ব দিচ্ছি।

মঙ্গলবার (২৩ মে) সকালে পাবনার সাথিয়া উপজেলার পূর্ব বনগ্রামে কৃষি বিপণন অধিদপ্তর নির্মিত পেঁয়াজ ও রসুন সংরক্ষণের দেশিয় মডেল ঘর উদ্বোধন  অনুষ্ঠানে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, পেঁয়াজ খুবই পচনশীল ফসল। এটি রাখা কঠিন। পেঁয়াজ রাখা যায় না, শুকিয়ে যায়, পচে যায়। এর ফলে কৃষকেরা মৌসুমে কম দামে দ্রুত পেঁয়াজ বিক্রি করে দেয়। মৌসুম শেষ হলে পেঁয়াজের বাজার আমদানিকারক, ব্যবসায়ী ও সিন্ডিকেটের হাতে চলে যায়। সেজন্য, আমরা পেঁয়াজ সংরক্ষণের এই পরীক্ষামূলক ঘর চালু করেছি। যেখানে ৪-৫ মাস পেঁয়াজ সংরক্ষণ করা যাবে।  এটিতে সফল হলে দেশে পেঁয়াজের সংকট হবে না। আমদানিও করতে হবে না, বরং রপ্তানি করা যাবে।

পেঁয়াজ আমদানির প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, চাষি, উৎপাদক, ভোক্তাসহ সকলের স্বার্থ বিবেচনা করেই সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।  কয়েক দিনের মধ্যেই সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।

পেঁয়াজ সংরক্ষণের মডেল ঘরে ব্যবহৃত বিদ্যুৎকে ভর্তুকি বা কৃষিখাতে বিবেচনা করার জন্য বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয়কে চিঠি দেওয়া হয়েছে বলে জানান মন্ত্রী।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক টুকু বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা হলো,  কৃষক যেন তাঁদের ঘাম ও পরিশ্রমের সঠিক দাম পায়। অন্যদিকে কম আয়ের মানুষের জন্য এই অত্যন্ত প্রয়োজনীয় মশলা জাতীয় ফসল পিয়াজের দাম সহনীয় পর্যায়ে থাকে। উৎপাদনকারী ও ভোক্তা দুই শ্রেণির জন্য এর সঠিক মূল্য নির্ধারন করতে হবে। আর পিয়াজকে পচনের হাত থেকে রক্ষা করতে কৃষকের নিজের এবং মন্ত্রণালয়ের উদ্ভাবিত পরামর্শ গ্রহণ করে পেয়াজ সংরক্ষণ করতে হবে।

এসময় কৃষিসচিব ওয়াহিদা আক্তার, কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. মাসুদ করিম, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বাদল চন্দ্র বিশ্বাস, ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক শাহজাহান কবীর, পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক মির্জা মোফাজ্জল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

This post has already been read 963 times!