Friday 26th of April 2024
Home / আঞ্চলিক কৃষি / বরিশালে নিরাপদ ফসল উৎপাদন প্র্রযুক্তি উদ্ভাবন কর্মসূচির সমাপনী কর্মশালা অনুষ্ঠিত

বরিশালে নিরাপদ ফসল উৎপাদন প্র্রযুক্তি উদ্ভাবন কর্মসূচির সমাপনী কর্মশালা অনুষ্ঠিত

Published at নভেম্বর ১৭, ২০২২

নাহিদ বিন রফিক (বরিশাল): বরিশালে নিরাপদ ফসল উৎপাদন প্র্রযুক্তি উদ্ভাবন কর্মসূচির সমাপনী কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৭ নভেম্বর) রহমতপুরের আরএআরএসের হলরুমে আঞ্চলিক কৃষি গবেষণা কেন্দ্রের উদ্যোগে এই কর্মশালার আয়োজন করা হয়। এ উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বিএআরআই) মহাপরিচালক ড. দেবাশীষ সরকার।

আঞ্চলিক কৃষি গবেষণা কেন্দ্রের (আরএআরএস) মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. বিমল চন্দ্র কুন্ডুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের (ডিএই) অতিরিক্ত পরিচালক মো. ফজলুল হক, মাদারীপুরের আঞ্চলিক ডাল গবেষণা কেন্দ্রের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. ছালেহ উদ্দিন এবং বিএআরআইর সদরদপ্তরের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. নির্মল কুমার দত্ত। কর্মসূচির কার্যক্রম উপস্থাপন করেন কর্মসূচি পরিচালক ড. মো. মাহবুবুর রহমান।

বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মো. রাশেদুল ইসলামের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে অন্যান্যর মধ্যে বক্তব্য রাখেন ডিএই ঝালকাঠির উপপরিচালক মো. মনিরুল ইসলাম, ডিএই পটুয়াখালীর উপপরিচালক মো. নজরুল ইসলাম, ভাসমান কৃষি প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক ড. মো. মোস্তাফিজুর রহমান তালুকদার, বিএআরআইর প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. সহিদুল ইসলাম খান, পিএসও ড. মো. গোলাম কিবরিয়া, দুমকির উপজেলা কৃষি অফিসার মেহের মালিকা, উজিরপুরের পানচাষি মো. ফারুক হাওলাদার প্রমুখ।

প্রধান অতিথি ড. দেবাশীষ সরকার বলেন, রোগ-পোকামাকড় এবং অন্যান্য বালাইয়ের কারণে শতকরা ২৫-৩০ ভাগ শস্য নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা থাকে। তবে এদের প্রতিরোধ এবং সময়মত দমন করতে পারলে ফসলকে রক্ষা করা সম্ভব। আর এ জন্য দরকার সম্মিলিতভাবে কাজ করা। তাহলেই খাদ্যউৎপাদন বাড়বে। দেশের আভ্যন্তরীণ চাহিদা পূরণ হবে। হবে বিদেশে রফতানির বিরাট সুযোগ।

তিন বছর মেয়াদী এই কর্মসূচির মাধ্যমে ফসলের ৫ ধরনের পোকা দমনের প্রযুক্তি উদ্ভাবন করা হয়েছে। এগুলো হলো: নারিকেল গাছে বিধ্বংসী সাদা মাছি পোকার আক্রমণ ও নিরাপদ দমন ব্যবস্থাপনা, নারিকেলে মাকড়ের আক্রমণ ও সমন্বিত নিরাপদ দমন ব্যবস্থাপনা, আমড়া পাতার বিটল পোকার আক্রমণ ও নিরাপদ দমন ব্যবস্থাপনা, মুগডালের ফুলের থ্রিপস এবং ফুল ও ফল ছেদক পোকাসমূহের দমন ব্যবস্থাপনা এবং পানের কালোমাছি পোকার নিরাপদ জৈবিক দমন ব্যবস্থাপনা। কর্মশালায় কৃষি সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে ৫০ জন কর্মকর্তা অংশগ্রহণ করেন।

This post has already been read 1357 times!