মঙ্গলবার , অক্টোবর ২২ ২০২৪

৩৫ লাখ মেট্টিকটন খাদ্য শস্য মজুদের লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছে সরকার

চট্টগ্রাম সংবাদদাতা: খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার এমপি বলেছেন, দেশের গুরুত্বপূর্ণ ৮ স্থানে ৮টি স্টীল সাইলো নির্মাণ করা হচ্ছে। এর মধ্যে ৫টি রাইস সাইলো আর ৩টি গমের। এছাড়া খুব শিঘ্রই ৩০টি পেডি সাইলো নির্মাণের কাজ শুরু হবে। চট্টগ্রাম গমের সাইলো দেশের খাদ্য সংরক্ষণে বড় ভূমিকা রাখবে বলে উল্লেখ করেন তিনি।

শনিবার (২৩ জুলাই) বিকালে চট্টগ্রামের পতেঙ্গায় ১লাখ ১৪ হাজার ৩ শত মেঃ টন ধারণ ক্ষমতা সম্পন্ন গমের আধুনিক ষ্টীল সাইলো নির্মান কাজের ভিত্তি স্থাপন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন। পরে মন্ত্রী চট্টগ্রাম গমের স্টীল সাইলোর ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেন।

তিনি বলেন, দেশে ২১ লাখ মেট্রিক টন খাদ্য শষ্য সংরক্ষণের সক্ষমতা আছে।২০২৫ সালের মধ্যে ৩৫ লাখ মেট্টিকটন খাদ্য শস্য মজুদের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে কাজ করছে সরকার। কৃষকের ভেজা ধান সাইলোতে শুকিয়ে সংরক্ষণের ব্যবস্থা করা হবে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, খাদ্য নিরাপত্তার পাশাপাশি কৃষককে সহায়তার জন্য সরকার ধান চাল প্রকিউর করে।

খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ইউক্রেন রাশিয়ার যুদ্ধের কারনে বিশ্বব্যাপী সমস্যা তৈরি করেছে। তবে তুরষ্কের মধ্যস্থতায় একটি সমঝোতা হতে যাচ্ছে।  ইউক্রেন ও রাশিয়া খাদ্যপণ্য রপ্তানি করার বিষয়ে একটি চুক্তি করেছে যা আমাদের জন্য স্বস্তিদায়ক হবে, গম আনতে কষ্ট হবে না।

জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মমিনুর রহমান এর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন সংসদ সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান, খাদ্য সচিব মো: ইসমাইল হোসেন। স্বাগত বক্তব্য রাখেন খাদ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো: সাখাওয়াত হোসেন।

 অতিরিক্ত সচিব খুরশীদ ইকবাল রেজভী,  আধুনিক ষ্টীল সাইলো প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক মোঃ রেজাউল করীম শেখ,চট্টগ্রাম আঞ্চলিক খাদ্য কর্মকর্তা মো: জহিরুল ইসলাম, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ চট্টগ্রাম কমান্ড এর কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মোজাফফর আহমদ, রাউজান উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এহসানুল হায়দার চৌধুরী, বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সংস্কৃতি বিষয়ক উপকমিটির সদস্য প্রকৌশলী তৃণা মজুমদার, জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মোহাম্মদ আবদুল কাদের ও  চট্টগ্রাম সাইলোর সুপার ফয়জুল্লাহ খান শিবলী উপস্থিত ছিলেন।

বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে ৫৩৭.৫৭ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিতব্য চট্টগ্রাম গমের সাইলোর নির্মান কাজ শেষ হবে ২০২৪ সালের জুলাই মাসে । ১২,৭০০ মে: টন ক্ষমতার মোট ৯টি সাইলো বিন রয়েছে সাইলোটিতে। এ সমস্ত সাইলো বিনে কীটনাশক ব্যবহার ব্যতিরেকেই অত্যাধুনিক চিলার ও নাইট্রোজেন ফিউমিগেশন যন্ত্রের মাধ্যমে আদ্রতা ও তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে মজুদ চাল প্রায় ২ (দুই) বছর সংরক্ষণ করা যাবে। সড়ক ও নৌপথে এ সাইলোর সরবরাহ ও বিতরণ কার্যক্রম পরিচালিত হবে। আন্তর্জাতিক দরপত্রের মাধ্যমে বিদেশ হতে জাহাজে করে বাল্ক আকারে আমদানীকৃত গম এ সাইলোতে মজুদ করা হবে। মজুদকৃত গম বাল্ক আকারে অভ্যন্তরীণ  অন্যান্য সাইলোতে রেল ও নৌপথে সরবরাহ করা হবে। এছাড়াও ৫০ কেজির বস্তায় করে গম সড়ক ও রেলপথে বিভিন্ন এলএসডিতে ও সিএসডিতে বিতরণের জন্য প্রেরণ করা হবে। এ সাইলো নির্মানের কাজ করছে বাংলাদেশের কনফিডেন্স ইনফ্রাস্ট্রাকচার লিমিটেড ও আমেরিকার দ্য জিএসআই গ্রুপ।

This post has already been read 2101 times!

Check Also

অর্থনীতির চলমান ধীরগতি দেশে মন্দা ডেকে আনতে পারে

 রাজধানী সংবাদদাতা: বর্তমানে রাজস্ব নীতির (ফিস্কাল পলিসি) মাধ্যমে যেই পদক্ষেপই গ্রহণ করা হোক না কেন, …