Tuesday 19th of March 2024
Home / আঞ্চলিক কৃষি / রাজশাহীতে গমের ব্লাস্ট রোগের কারণ ও প্রতিকার শীর্ষক কর্মশালা

রাজশাহীতে গমের ব্লাস্ট রোগের কারণ ও প্রতিকার শীর্ষক কর্মশালা

Published at জুন ১৫, ২০২২

কৃষিবিদ মো: আব্দুল্লাহ-হিল-কাফি (রাজশাহী) : বাংলাদেশ গম ও ভুট্টা গবেষণা ইনস্টিটিউট দিনাজপুর এর আয়োজনে গমের ব্লাস্ট রোগের কারণ ও প্রতিকার  শীর্ষক কর্মশালা অনুষ্ঠিত

বুধবার (১৫ জুন) বাংলাদেশ গম ও ভুট্টা গবেষণা ইনস্টিটিউট, নশিপুর, দিনাজপুর এর আয়োজনে রাজশাহীর আঞ্চলিক গম ও ভুট্টা গবেষণার সেমিনার কক্ষে দিনব্যাপী কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কৃষি মন্ত্রনালয়ের অতিরিক্ত সচিব কমলা রঞ্জন দাশ (গবেষণা)। বাংলাদেশ গম ও ভুট্টা গবেষণা ইনস্টিটিউট দিনাজপুর এর পরিচালক কৃষিবিদ ড. মো.গোলাম ফারুক এর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের  অতি:পরিচালক কৃষিবিদ সামসুল ওয়াদুদ ।

কর্মশালায় গম চাষের বর্তমান পরিস্থিতি ও চাষাবাদ সম্পর্কে স্বাগত বক্তব্য উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ গম ও ভুট্টা গবেষণা ইনস্টিটিউট রাজশাহীর প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকার্তা ড. মো. ইলিযাস হোসেন। গমের রোগ, পোকা বিশেষ করে ব্লাস্ট রোগ নিয়ে আলোচনা করে এবং গমে উৎপাদ বৃদ্ধি করে স্বয়ংসম্পন্ন হওয়ার আশা ব্যত্যকরেন।

প্রধান অতিতি কৃষি মন্ত্রনালয়ের অতিরিক্ত সচিব কমলা রঞ্জন দাশ (গবেষণা) তাঁর বক্তব্যে বলেন, ‘মানুষের নিরাপদ খাদ্য চাহিদা নিশ্চিতকরণের ওপর আমরা জোর দিচ্ছি। এজন্য লাভজনক, টেকসই ও পরিবেশবান্ধব একটি কৃষি ব্যবস্থা নিশ্চিত করণের চেষ্টা চলছে। গম বাংলাদেশের দানা ফসলে মধ্যে ২য় এর চাষাবাদ বৃদ্ধি সম্প্রসারণ আরো করতে হবে। ব্লাস্ট গমের একটি মারাত্বক রোগ  ব্লাস্ট রোগপ্রতিরোধী জাত হিসেবে ‘বারি গম-৩৩’ নামে জাতটি মাঠ পর্যায়ে বেশ ভাল। এই জাত ৯০ থেকে ৯৫ শতাংশ ব্লাস্ট রোগ প্রতিরোধে সক্ষম এর জীবনকাল ১০৮-১১৪ দিন। জাতটির গাছ শক্ত, শিষ লম্বা এবং প্রতি শিষে দানার সংখ্যা ৪৮-৫৪টি। দানার আকার মাঝারি, রং সাদা চকচকে এবং হাজার দানার ওজন ৪২-৪৬ গ্রাম। গাছের রং গাঢ় সবুজ। উপযুক্ত পরিবেশে হেক্টরপ্রতি ফলন চার থেকে পাঁচ মেট্রিক টন। জাতটি ১৫ থেকে ৩০ নভেম্বরের মধ্যে বপনের উপযুক্ত সময়। তবে মধ্যম মাত্রার তাপ সহনশীল হওয়ায় এটি ৫ থেকে ১০ ডিসেম্বরের মধ্যে বপন করলে অন্য জাতের তুলনায় বেশি ফলন পাওয়া যায়।

কর্মশালায় সমসাময়িক বিষয় এবং গমচাষের সমস্যা সমাধান নিয়ে আলোচনা হয়। রাজশাহী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের  অতি:পরিচালক কৃষিবিদ সামসুল ওয়াদুদ বলেন, গম আবাদের জন্য আগামী মৌসুমে বীজ সার প্রযোজনীয় তথ্য কৃষক পর্যায়ে সরবরাহ করা গেলে গমের উৎপাদনের লক্ষ মাত্রায় পৌছা সম্ভব বলে জানান। উক্ত কর্মশালাটির অর্থায়নে গমের ব্লাস্ট রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থাপনা প্রকল্প।

This post has already been read 1918 times!