Tuesday 19th of March 2024
Home / পোলট্রি / পোলট্রি ও কৃষি সেক্টরের মানুষেরা দেশের “কঠিনতম দায়িত্ব”পালন করেন -গিয়াস উদদীন খান

পোলট্রি ও কৃষি সেক্টরের মানুষেরা দেশের “কঠিনতম দায়িত্ব”পালন করেন -গিয়াস উদদীন খান

Published at এপ্রিল ৩, ২০২২

শুক্রবার সন্ধ্যায় (১ এপ্রিল) নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ের চরকামালদী এলাকায় আস্থা ফিড ইন্ড্রাট্রিজ লিমিটেড -এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখচেন কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক গিয়াস উদদীন খান।

নিজস্ব প্রতিবেদক: প্রত্যেক পেশায় সকল পেশাজীবিরা মহান দায়িত্ব পালন করেন। কিন্তু তারপরেও কথা থেকে যায় এই মহান দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি “কঠিনতম দায়িত্ব”যারা পালন করেন তাদের মধ্যে অগ্রগামী অন্যতম পোল্ট্রি সেক্টরের খামারী,ডিলার, কৃষি পেশাজীবি মানুষ।  মহান ৭১ সালের যোদ্ধারা হলেন  মুক্তিযোদ্ধা,  রেমিট্যান্স যোদ্ধা বিদেশে প্রবাসীরা, কোভিড করোনায় ফ্রন্ট লাইনার মানুষেরা যেমন করোনা যোদ্ধা। ঠিক তেমনি  করোনা প্রতিরোধে সহায়ক খাদ্য আমিষ তথা মুরগী সহ সকল পোল্ট্রি সেক্টরের মানুষেরা হলেন “প্রোটিন যোদ্ধা”।

শুক্রবার সন্ধ্যায় (১ এপ্রিল) নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ের চরকামালদী এলাকায় আস্থা ফিড ইন্ড্রাট্রিজ লিমিটেড এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে কথাগুলো বলছিলেন আস্থা ফিড ইন্ড্রাট্রিজ লিমিটেড -এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক গিয়াস উদদীন খান। তিনি বলেন, আস্থায় তৃপ্তি, আস্থায় বৃদ্ধি শ্লোগানে বিশ্বাস রেখে আমাদের পথচলায় যারা সাথে আছেন, নিঃসন্দেহে তারা আমাদের কাছে খুবই স্পেশাল। নতুন আশা পূরণের পথচলায় সবচেয়ে বিস্তৃত আস্থা ফিড আজ সারা দেশে। আস্থা ফিড ব্যবহারে বদলে গেছে অনেক খামারিদের জীবন। হাসি ফুটেছে আজ তাদের মুখে আর এটাই আমাদের সার্থকতা।

গিয়াস উদদীন খান বলেন, কম খরচে কিভাবে স্বাস্থ্যসম্মত নিরাপদ পোল্ট্রি পালন করে অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হওয়া যায় সেটি এখন বড় চ্যালেঞ্জ। আর এর জন্য দরকার খামারিদের সঠিক প্রশিক্ষণ।  তাই প্রান্তিক খামারিদের সচেতনতাবৃদ্ধি ও সঠিক প্রশিক্ষণের জন্য আস্থা ফিডের একঝাঁক অভিজ্ঞ ভেটেরিনারী ডাক্তার সার্বক্ষণিকভাবে খামারিদেরকে প্রশিক্ষণ ও চিকিৎসা সেবা দিয়ে যাচ্ছে।

তিনি বলেন, করোনা পরবর্তীতে ফিড পরিধি ছোট হয়ে এসেছে। অনেক খামারী বিশেষ করে ব্রয়লার খামারীরা লোকসান গুনতে গুনতে খামার বন্ধ করে দিয়েছেন। তারপরেও আশায় আশায় অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার আপ্রান চেষ্টা করে যাচ্ছে প্রান্তিক মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টির পথিকৃৎ পোল্ট্রি ইন্ডাস্ট্রির খামারী ও পরিবেশকরা। পোল্ট্রি ইন্ডাস্ট্রিতে ভর করে বৃদ্ধি পেয়েছে গ্রামীণ অর্থনীতিতে অর্থের প্রবাহ। কৃষি অর্থনীতিতে দেশের ফিড ইন্ডাষ্ট্রির পরিবেশকদের রয়েছে ব্যাপক অবদান।

গিয়াস উদদীন খান বলেন, বাংলাদেশ মুসলিম-প্রধান দেশ। মুসলিম দেশগুলোতে হালাল-হারাম একটি ইস্যু আছে এবং বিশ্বের অন্যান্য মুসলিম দেশগুলোতে হালাল পোলট্রিজাত পণ্যের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে বলে আমরা জানি। আমাদের এক্ষেত্রে হালাল পণ্য উৎপাদন করে মুসলিম দেশগুলোর বিশ্বাসযোগ্যতা অর্জন করা এবং তাদের দেশের বাজার ধরা সম্ভব। এটির জন্য আমাদের সরকার কিন্তু দেশ-বিদেশে অনেক বেশি কাজ করতে পারে। আমাদের দেশে যে অ্যাম্বাসিগুলো আছে সেখানে নেগোসিয়েট করে আমাদের চিকেনকে গ্রহণযোগ্য করে তোলা যেতে পারে। এভাবে সামগ্রিক সমন্বয়ের মাধ্যমেই আমরা পোলট্রি শিল্পকে এগিয়ে এবং একটি টেকসই অবস্থানে নিয়ে যেতে পারবো।

তিনি আরো বলেন, আস্থা ফিড এখন আরো উন্নত ও যুগোপোযোগী ফর্মূলায় উৎপাদিত হচ্ছে। ফিড উৎপাদনের প্রত্যেকটি কাঁচামালের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি ও সর্বশেষ ইউক্রেন রাশিয়া যুদ্ধের কারনে ফিডের ফর্মুলা কস্ট অনেক বাড়ার কারনে দেয়ালে আমাদের পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেলেও খামারী/ ডিলারদের কথা চিন্তা করে বুক দিয়ে আগলে রাখছি এবং  আস্থা  ফিড গুণগতমানের ধারাবাহিকতা এই  দুঃসময়েও বজায় রাখছে ও ভবিষ্যতে রাখবে ইনশাল্লাহ।

‘গত দুই বছর পোল্ট্রি ফিডের  বিভিন্ন কাঁচামালের লাগামহীন উর্ধগতিতে আমাদের প্রতিনিয়ত লসের মাধ্যমে হিমসিম খেতে হচ্ছে। এ ক্ষেত্রে আমরা যদি ২০২৫ সন পর্যন্ত এ সেক্টরে কর অবকাশ সরকারের কাছে পাই,তাহলে আমাদের লসের পরিমান কিছুটা হলেও  কমবে বলে আশা করি’ যোগ করেন আস্থা ব্যবস্থাপনা পরিচালক।

 

This post has already been read 3667 times!