Wednesday 24th of April 2024
Home / সংগঠন ও কর্পোরেট সংবাদ / জাতীয় সবজি মেলায় এসিআই সীডের প্রথম স্থান অর্জন

জাতীয় সবজি মেলায় এসিআই সীডের প্রথম স্থান অর্জন

Published at মার্চ ৩, ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক: সম্প্রতি অনুষ্ঠেয় জাতীয় সবজি মেলায় প্যাভেলি পর্যায়ে প্রথম পুরষ্কার অর্জন করেছে এসিআই সীড। মেলার সমাাপনী দিনে বুধবার (২ মার্চ) প্রধান অতিথি কৃষি সচিব মো. সায়েদুল ইসলাম এসিআই সীড প্রতিনিধিদলের কাছে উক্ত পুরস্কার তুলে দেন। এসিআই সীড এর পক্ষ থেকে পুরস্কার গ্রহণ করেন বিজনেস হেড সুধীর চন্দ্র নাথ। মেলায় উপস্থিত বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান তাদের উদ্ভাবিত বিভিন্ন প্রযুক্তি ও প্রযুক্তির উৎকর্ষতা উপস্থাপনের জন্য মেলায় অংশগ্রহণকারী বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে পুরষ্কৃত করা হয়।

এ সম্পর্কে এক প্রতিক্রিয়ায়, এসিআই এগ্রিবিজনেস প্রেসিডেন্ট ড. এফএইচ আনসারী বলেন, কৃষি মন্ত্রণালয় কর্তৃক এ পুরস্কার আমাদের যেমন একদিকে সম্মানিত করেছে, অপরদিকে দেশ, কৃষি ও কৃষকের প্রতি আমাদের দায়িত্ব আরো বাড়িয়ে দিয়েছে। উক্ত পুরস্কার কৃষিখাতে বিনিয়োগে আমাদেরকে আরো বেশি উৎসাহিত করবে।  আমরা কৃষি মন্ত্রণালয়ের মাননীয় মন্ত্রী, সচিব, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সহ সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই এসিআই সীডকে সম্মানিত করার জন্য।

জাতীয় সবজি মেলার উদ্বোধনী দিনে (২ মার্চ) এসিআই সীড প্যাভেলিয়ন পরিদর্শন করেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো: আব্দুর রাজ্জাক, এমপি।

“এসিআই সবসময় গতানুগতিকার বাইরে আধুনিক এবং ইনোভেটিভ চিন্তা করে; যাতে ব্যবসার বাইরেও সেক্টর ও সংশ্লিষ্টদের উপকারে আসে। আমরা কৃষিতে নতুন নতুন প্রযুক্তি ও আধুনিকতার ছোঁয়া লাগাতে চাই। ফসলের উৎপাদন বাড়ানো ও টেকসই উন্নয়নের জন্য প্রতিনিয়ত আমরা গবেষণা কার্যক্রম চালি যাচ্ছি” -যোগ করেন ড. আনসারী।

উল্লেখ্য, “নিরাপদ সবজি চাষ, স্বাস্থ্য পুষ্টি বারো মাস” এ স্লোগানকে সামনে রেখে কৃষি মন্ত্রণালয় এর উদ্যোগে কৃষিবিদ ইনষ্টিটিউশন বাংলাদেশ চত্বর, ফার্মগেট, ঢাকায় তিন দিনব্যাপী (২৮ ফেব্রুয়ারি-২ মার্চ)  অনুষ্ঠিত হয় জাতীয় সবজি মেলা ২০২২।  উদ্বোধনী দিনে (২৮ ফেব্রুয়ারি) প্রধান অতিথি ছিলেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো: আব্দুর রাজ্জাক এমপি। এতে সরকারি ও বেসরকারি মোট ৫৩টি প্রতিষ্ঠানের অংশগ্রহণ করে।

এসিআই সীড সম্পর্কে:

এসিআই সীড ভ্যালু চেইন অর্থাৎ সবজির জাত উন্নয়ন গবেষণা থেকে শুরু করে বাজারজাতকরণ পর্যন্ত বিভিন্ন পর্যায়ের কার্যক্রম জাতীয় সবজি মেলায় আগত বিভিন্ন সরকারী ও বেসরকারী প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাবৃন্দ, পরিকল্পনা প্রণয়নকারী, বীজ ব্যবসায়ী, সবজি ব্যবসায়ী, সবজি রপ্তানীকারক, কৃষক ও সাধারণ দর্শনার্থীদের মাঝে অত্যন্ত সুন্দরভাবে তুলে ধরে, যা সকলের মাঝে ব্যাপক উৎসাহ ও উদ্দীপনা সৃষ্টি করে।

এসিআই সীড, নিজস্ব গবেষণা থেকে উদ্ভাবিতও ১২টি সবজি ফসলের ৩৭টি জাত সহ মোট ৩৯টি সবজি ফসলের ১১০টি জাত বাজারজাত করছে, যা ইতিমধ্যে কৃষকদের মাঝে ব্যাপক সাড়া ফেলছে। এসিআই সীড কৃষকদের পরিপূর্নভাবে বীজের সমাধান দেওয়ার লক্ষ্যে নিয়ে কাজ করে এবং সবজি ফসলের বিভিন্ন উচ্ছফলনশীল হাইব্রিড ও ওপি জাতের প্রদর্শন করে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য এসিআই সীডের হাইব্রিড লাউ – ময়না, মার্শাল সুপার, হাইব্রিড করলা – পাপিয়া সুপার, পাপিয়া সুপার গোল্ড, হাইব্রিড মিষ্টি কুমড়া – মোহনা, সুইট বয়, সুইট বেবি, হাইব্রিড ঢ়েড়ঁশ – বুলেট, গ্রীনসুপার,  হাইব্রিড ফুলকপি -স্নো হোয়াইট, হাইব্রিড শসা – মেসি, হাইব্রিড বেগুন – পার্পল লং প্রভৃতি। এছাড়া টমেটো, ঝিঙ্গা, চিচিঙ্গা, ধুন্দল, ঢেঁড়স, মরিচ, ক্যাপসিকাম, গাজর সহ বিভিন্ন ফসলের হাইব্রিড জাত প্রদর্শন করা হয়।

এসিআই সীড বর্তমান বাজারজাতকৃত ও পরবর্তী প্রজন্মের বিভিন্ন জাতসহ মোট ২১টি আলুর জাত প্রদর্শনের ব্যবস্থা করে, যাতে অত্যন্ত সম্ভাবনাময় খাবার আলুর জাতসহ, শিল্পজাত ও রপ্তানিযোগ্য আলুর জাত রয়েছে। রোগ প্রতিরোধী এ জাতগুলো প্রচলিত জাতের তুলনায় অধিক ফলনশীল, প্রসেসিং লস গড়ে ১-১.৫% ও ড্রাই মেটার ২২% এর উপর। কোম্পানি প্রত্যাশা করছে যে, পরবর্তী প্রজন্মের জাতগুলো বাংলাদেশে আলু উৎপাদনে বৈপ্লবিক পরিবর্তন নিয়ে আসবে।

এসিআই সীড “বিপ্লব” নামে অত্যন্ত সম্ভাবনাময় গ্রীষ্মকালীন একটি পেঁয়াজের জাত মেলায় প্রদর্শন করে, যার হেক্টর প্রতি ফলন ৩০-৩২ মেট্রিক টন। “বিপ্লব” উচ্চ তাপমাত্রা ও অধিক বৃষ্টি সহনশীল জাত,  যা এপ্রিল থেকে সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত চাষ করা যায়। জাতটি চারা লাগানোর ১০০-১১০ দিনের মধ্যে উত্তোলন করা যায়। দেশে বর্তমানে পেঁয়াজের বার্ষিক চাহিদা প্রায় ৩৫ লক্ষ মেটিক টন। সেখানে আমাদের দেশে পেঁয়াজের মোট উৎপাদন ২৫-২৬ লক্ষ মেট্রিক টন। ফলে প্রতি বছর প্রায় ১০ লক্ষ মেট্রিক টন পেঁয়াজ বিভিন্ন দেশ থেকে আমদানি করতে হয়। পেঁয়াজ উৎপাদনে স্ব-নির্ভর হওয়ার ক্ষেত্রে গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ চাষ একটি গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা পালন করতে পারে। উচ্চ ফলনশীল “বিপ্লব” চাষ করলে একদিকে কৃষক যেমন লাভবান হবে, তেমনি দেশে পেঁয়াজের ঘাটতি মেটানোও সম্ভব হবে।

This post has already been read 2715 times!