Tuesday 19th of March 2024
Home / আঞ্চলিক কৃষি / আলুর নতুন নতুন জাত নিয়ে কাজ চলছে -কৃষি মন্ত্রী

আলুর নতুন নতুন জাত নিয়ে কাজ চলছে -কৃষি মন্ত্রী

Published at ফেব্রুয়ারি ২৭, ২০২২

মো: দেলোয়ার হোসেন টি.পি. (রাজশাহী) : আলুর নতুন নতুন জাত নিয়ে কাজ চলছে। আমাদের দেশে উৎপাদিত আলু আন্তর্জাতিক বাজারে চাহিদা কম। তাই যে জাতের আলু আন্তর্জাতিক বাজারে চাহিদা বেশী সেই জাতের আলু চাষাবাদ করা হচ্ছে বলে জানান, কৃষি মন্ত্রী ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য কৃষিবিদ ড. মো: আব্দুর রাজ্জাক এমপি।

শনিবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) রাজশাহী জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অয়োজনে তানোর উপজেলার কামারগাঁ ইউনিয়নের হরিপুর গ্রামে আলু উত্তোলনের উদ্বোধন, ক্ষেত পরিদর্শন ও মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি কৃষি মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন রাজশাহী বরেন্দ্র উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ এর চেয়াম্যান ও সাবেক এমপি বেগম আখতার জাহান, ঢাকা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর এর মহাপরিচালক কৃষিবিদ মো: বেনজীর আলম এবং সরেজমিন উইং এর পরিচালক কৃষিবিদ মো: সিরাজুল ইসলাম, রাজশাহী অঞ্চলের কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর এর অতিরিক্ত পরিচালক কৃষিবিদ মো: মাসুদুর রহমান এবং আরো উপস্থিত ছিলেনকৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর এর সাবেক মহাপরিচালক কৃষিবিদ মো: হামিদুর রহমান ও বিসিএস কৃসি ক্যাডার এসোসিয়েশন এর সভাপতি কৃষিবিদ মো: মোয়াজ্জেম হোসেন।

কৃষি মন্ত্রী বলেন, আমাদের মূল খাদ্য চাল বা ধান, যা ইতোমধ্যে ফলন বৃদ্ধি পেয়েছে এবং ভালো অবস্থানে আছে। বরেন্দ্র অঞ্চলে আগে শুধু আমন ধানের চাষ হতো। এখন আমন ধানের পাশাপাশি বোরো ধানসহ অন্যান্য ফসল উৎপাদন করা সম্ভব হচ্ছে। ধান চাষে প্রচুর পরিমানে পানির প্রয়োজন হয়, যেখানে বরেন্দ্র অঞ্চলে পানির স্বল্পতা রয়েছে। তাই এমন ফসল চাষ করতে হবে যা উৎপাদনে সেচ কম লাগবে এবং উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে।

তিনি আরো বলেন, ধান চাষে ১৪০ দিন সময় লাগে সেখানে আলু চাষে সময় লাগে মাত্র ৮০ থেকে ৯০ দিন এবং পানি সেচও কম লাগে। তাই বরেন্দ্র অঞ্চলে এমন ফসল চাষ করতে হবে যেন পানি সেচ কম লাগে এবং উৎপাদন বেশি পাওয়া যায়। আগামীতে বরেন্দ্র অঞ্চলের জন্য পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে যেন কৃষকের উন্নয়নে কাজে লাগে এবং এই অঞ্চলের উৎপাদিত ফসল বিদেশে রপ্তানী করা গেলে সম্ভব হবে সোনার বাংলা গড়ার। তানোরে প্রায় ২০টি নতুন জাতের আলু চাষাবাদ করা হয়েছে। যে আলুগুলোর বীজ বিদেশ থেকে আমদানী করা হয়েছে। তার ফলাফল অনেক ভালো। এই জাতগুলো চাষ করা হলে অল্প দিনে, কম সেচ প্রদান করে এবং অল্প কীটনাশক ব্যবহার কৃষক আলু ঘরে তুলতে পারবেন।

তানোর উপজেলার কামারগাঁ ইউনিয়নের হরিপুর গ্রামে এগ্রিকনসান কোম্পানি কর্তৃক রপ্তানীমুখী আলু উৎপাদন প্রকল্পের আওতায় ৩০০ একর জমিতে নেদারল্যান্ডস ও জার্মানী কর্তৃক সানসাইন, গ্রানোলা, কুইন এ্যনি, লাবেলা, অক্টা, কুম্বিকা, জুলিংকা, ফোরজা, মার্টা, টাইসিয়াসহ ২০ জাতের আলুর চাষ হয়েছে।

মতবিনিময় সভায় জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের কর্মকর্তা, পুলিশ কর্মকর্তাবৃন্দ, বিভিন্ন পর্যায়ের কৃষি কর্মকর্তাবৃন্দ, গবেষণা প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাবৃন্দ, বিএমডিএকর্মকর্তাবৃন্দ,রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, সাংবাদিকসহ এলাকার কৃষককৃষাণীগণ উপস্থিত ছিলেন।

This post has already been read 1788 times!