শনিবার , জুলাই ২৭ ২০২৪

পাটের সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিতে সরকার কাজ করছে

নিজস্ব প্রতিবেদক: বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী,বীরপ্রতীক,এমপি বলেছেন, বাংলাদেশ ঐতিহ্যগতভাবে বিশ্বের সেরা মানের পাট উৎপাদন করে তাই এ পাটের সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিতে সরকার কাজ করছে।

আজ (২০ ডিসেম্বর) দুপুরে সচিবালয়ে বাংলাদেশ জুট এসোসিয়েশনের (বিজেএ) নেতৃবৃন্দেরে সাথে আলোচনা কালে মন্ত্রী এ কথা বলেন। এ সময় বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব সাবিনা ইয়াসমিন, বাংলাদেশ জুট এসোসিয়েশনের সিনিয়র ভাইস-প্রেসিডেন্ট আরজু রহমান ভূইয়াসহ বাংলাদেশ জুট এসোসিয়েশনের নেতৃাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

মন্ত্রী বলেন, পরিবেশবান্ধব পাটের ব্যবহার বহুমুখীকরণ ও উচ্চমূল্য সংযোজিত পাটপণ্য উৎপাদন, বাজারজাতকরণ ও ব্যবহার বৃদ্ধির লক্ষ্যে পাটকাঠি থেকে চারকোল, কম্পোজিট জুট টেক্সটাইল, জুট জিও-টেক্সটাইল, উৎপাদনের মাধ্যমে পাটখাতে নতুন নতুন বহুমুখী পণ্য সংযোজিত হচ্ছে। দেশীয় ও আন্তর্জাতিক বাজারের চাহিদা বিবেচনায় এবং পাট শিল্পের বিশ্বব্যাপি সম্প্রসারণে সরকার ২৮২ প্রকার দৃষ্টিনন্দন পাটপণ্যকে বহুমুখী পাটজাত পণ্য হিসেবে ঘোষণা করেছে।  কাঁচাপাট ও পাটজাত পণ্যের উৎপাদন ও রপ্তানী বৃদ্ধি, দেশের অভ্যন্তরের পাটপণ্যের ব্যবহার বৃদ্ধি, পাটের ন্যায্যমূল্য নির্ধারণ ও পরিবেশ রক্ষায় সরকার কাজ করে যাচ্ছে। তবে, কাঁচাপাট রপ্তানিতে সরকার বাধা প্রদান করবে না।

তিনি বলেন, এখাতের নানামুখী সমস্যা সম্পর্কে সরকার সচেতন রয়েছে। বর্তমান সরকারের গৃহিত নীতিমালা ও পরিকল্পনাকে কাজে লাগিয়ে পাটখাতের রপ্তানী বাজার সম্প্রসারণ, বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন এবং পরিবেশ রক্ষায়  অবদানের মাধ্যমে বাংলাদেশকে একটি সমৃদ্ধ-উন্নত জাতিতে পরিণত করা এবং বিশ্বের মানচিত্রে বাংলাদেশকে আবারো সোনালি আঁশের দেশ হিসেবে সুপ্রতিষ্ঠিত করতে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় কাজ করছে।

This post has already been read 3328 times!

Check Also

পাটখড়ির চারকল থেকে প্রতি বছর দেশের রপ্তানি আয় ১০০-১৫০ কোটি টাকা

নিজস্ব প্রতিবেদক: পাট গবেষণার বিজ্ঞানীরা আন্তর্জাতিক মানের জিনোম সিকোয়েন্সিং করেছেন। পাটখড়িকে আমাদের উদ্যেক্তারা গোটা বিশ্বব্যাপি …