Friday 19th of April 2024
Home / খাদ্য-পুষ্টি-স্বাস্থ্য / বাংলাদেশে প্রতি ১০জনে একজন খাদ্যজনিত রোগে আক্রান্ত

বাংলাদেশে প্রতি ১০জনে একজন খাদ্যজনিত রোগে আক্রান্ত

Published at ফেব্রুয়ারি ২৪, ২০২০

বাংলাদেশ ফলিত পুষ্টি গবেষণা ও প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট (বারটান) এর খুলনা বিভাগীয় আঞ্চলিক কেন্দ্র আয়োজিত সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখছেন ডিএই’র খুলনা অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালক কাজী আব্দুল মান্নান।

ফকির শহিদুল ইসলাম (খুলনা) : বাংলাদেশে প্রতি ১০জনে একজন খাদ্যজনিত রোগে আক্রান্ত হয় এবং প্রতিবছর প্রায় তেত্রিশ মিলিয়ন টাকা এসব রোগের চিকিৎসায় খরচ হয়ে যায়। এর মূল কারণ খাদ্যপণ্য উৎপাদন থেকে পরিবেশন পর্যন্ত বিভিন্ন পর্যায়ে খাদ্য দূষিত হওয়া। এই দূষিতকরণ কখনও কখনও ইচ্ছাকৃতভাবে ভেজাল দিয়ে করা হয়। আবার কখনও কখনও অসতর্কতা ও সঠিক জ্ঞানের অভাবে হয়ে থাকে। সুতরাং উৎপাদন, পরিবহন, বিপনন এবং পরিবেশন সকল পর্যায়ে সংশ্লিষ্টদের সচেতনতা অপরিহার্য।

খাদ্যের নিরাপত্তা ও টাটকা পণ্যের গুণাবলী’ শীর্ষক এক সেমিনারে বক্তারা উপরাক্ত মতামত ব্যক্ত করেন। বক্তারা নিরাপদ পুষ্টি বিষয়টি পাঠ্যক্রমে বিশদভাবে অন্তভূর্ক্ত করার দাবি জানান। বাংলাদেশ ফলিত পুষ্টি গবেষণা ও প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট (বারটান) এর খুলনা বিভাগীয় আঞ্চলিক কেন্দ্র সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) কৃষি সম্প্রসারণ অদিধপ্তরের (ডিএই) খুলনা কার্যালয়ে এই সেমিনারের আয়োজন করে। সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন ডিএই’র খুলনা অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালক কাজী আব্দুল মান্নান। সভাপতিত্ব করেন ডিএই খুলনার উপপরিচালক পঙ্কজ কান্তি মজুমদার।

বক্তারা বলেন, বিগত কয়েক বছরে বাংলাদেশে খাদ্য উৎপাদন তিন-চার গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। দেশ এখন খাদ্যে অনেকটাই স্বয়ংসম্পূর্ণ। কিন্তু নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করা বর্তমানে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। সবার জন্য নিরাপদ পুষ্টি বাস্তবায়নে সামগ্রিক সচেতনতার কোন বিকল্প নেই।

তাঁরা আরো বলেন, ক্যান্সার, হার্টঅ্যাটাকের মত জটিল অসংক্রমাক রোগের জন্য ভেজাল ও বিষাক্ত খাদ্য দায়ী উল্লেখ করে অতিথিরা বলেন, কৃষিজাত পণ্যে কীটনাশক প্রয়োগের এক সপ্তাহ পর তা বাজারজাত করার নিয়ম থাকলেও কৃষকরা বাজার ধরার জন্য তা মানেন না। আবার মুরগি, গরু ইত্যাদি পালনের সময় প্রয়োজনের অতিরিক্ত এন্টিবায়োটিক ব্যবহার করা হলে তা মানব স্বাস্থ্যের জন্য ব্যাপক হুমকীর কারণ হয়ে দাড়ায়। স্ট্রিট ফুড বিক্রেতাদেরও খাদ্য প্রস্তুত করার সময় যথাযথ পরিচ্ছন্নতা অবলম্বন করতে হবে।

সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন খুলনা বিশ^বিদ্যালয়ের এগ্রোটেকনলজি ডিসিপ্লিনের অধ্যাপক ড. শামীম আহমেদ খান। বিশেষ অতিথি ছিলেন একই ডিসিপ্লিনের প্রফেসর ড. মোঃ সারোয়ার জাহান, হর্টিকালচার সেন্টার খুলনার উপপরিচালক খন্দকার মোয়াজ্জেম হোসেন। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন বারটানের খুলনা বিভাগীয় আঞ্চলিক কেন্দ্র, ঝিনাইদহের উর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মোঃ নুর আলম সিদ্দিকী। সেমিনারে বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তারা অংশগ্রহণ করেন।

This post has already been read 1616 times!