Friday 29th of March 2024
Home / অর্থ-শিল্প-বাণিজ্য / দেশে বছরে ৬৫ হাজার হেক্টর কৃষি জমি হ্রাস পাচ্ছে -কৃষি মন্ত্রী

দেশে বছরে ৬৫ হাজার হেক্টর কৃষি জমি হ্রাস পাচ্ছে -কৃষি মন্ত্রী

Published at ডিসেম্বর ৭, ২০১৯

শনিবার (৭ ডিসেম্বর) কৃষিতত্ত্ব সমিতির ৩৫তম বার্ষিক সম্মেলনে রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউট -এর অডিটরিয়ামে বক্তব্য রাখছেন কৃষি মন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক, এম.পি।

নিজস্ব প্রতিবেদক: শিল্পায়ন ও নগরায়ণের ফলে দেশে বছরে প্রায় ৬৫ হাজার হেক্টর কৃষি জমি হ্রাস পাচ্ছে। শনিবার (৭ ডিসেম্বর) কৃষি মন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক, এম.পি রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউট এর অডিটরিয়ামে কৃষিতত্ত্ব সমিতির ৩৫তম বার্ষিক সম্মেলনে এ তথ্য দেন । আমাদের অল্প জমিতে অধিক ফসল ফলাতে হবে এবং মাটির স্বাস্থ্যের প্রতি অধিক গুরুত্ব দিতে হবে যোগ করেন কৃষি মন্ত্রী।

কৃষি মন্ত্রী বলেন, জনবহুল এদেশে মাত্র ৮ দশমিক ৭৫ মিলিয়ন হেক্টর জমিতে আবাদ করে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করে এখন খাদ্যে উদ্বৃত্তের দেশের মর্যাদা অর্জন করেছে। এসব সম্ভব হয়েছে কৃষিবিদদের যথাযথ দায়িত্ব পালন এবং আমাদের মেহনতি কৃষক ভাইদের জন্য সর্বোপরি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কৃষির প্রতি দরদের ফলে। আমাদের এই উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে হবে। আমরা উন্নবিশ্বের মর্যাদা লাভের যে স্বপ্ন বাস্তবায়নের পথে হাটছি তা সফল করতে কৃষিকে বাণিজ্যিক, আধুনিক কৃষি ও কৃষিকে শতভাগ যান্ত্রিকীকরণ করতে হবে। এ সময় তিনি ৫ম বারের মতো সারের দাম কমানোর কথা উল্লেখ করেন।

তিনি বলেন, আমাদের কৃষিতে নানাবিধ সমস্যা রয়েছে কৃষি শ্রমীকের হ্রাস,জমির উর্বরতা এবং পানি প্রাপ্যতা হ্রাস পাচ্ছে এর পরেও আমাদের কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি পাচ্ছে। স্বাধীনতার পর ১৯৭১-৭২ সালে আমাদের খাদ্য উৎপাদন ছিল ১১মিলিয়ন টন যা ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি পেয়ে এখন উৎপাদন দাড়িয়েছে ২০১৭-১৮ সালে ৩শ ৬২ দশমিক ৭৯মিলিয়ন টন। কৃষির এই উৎপাদনশীলতাকে টেকসই করতে হলে কৃষির প্রক্রিয়াজাত,বানিজ্যিকীকরণ ও রপ্তানিতে যেতে হবে।

তিনি আরো বলেন, আমাদের সুন্দর ভবিষৎ নির্ভর করে কৃষির ওপর। শুধু ধানের ওপর নির্ভর করলে হবে না, এর পাশাপাশি লাভজনক ফসল আবাদ করতে হবে্ এছাড়া আমদানি নির্ভর ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধি করে আমদানি কমিয়ে আনতে হবে। দেশে তৈল বীজ ও ডালের উৎপাদন বৃদ্ধি করতে হবে। আগামীতে ভুট্টার উৎপাদন ৬০-৭০ লাখ মেট্রিক টন করতে হবে। কারণ, ভুট্টা হতে তেল উৎপাদন করা যায়। কৃষির বৈচিত্রায়ন ও নিরাপদ পুষ্টিকর খাদ্যের প্রতি অধিক গুরুত্ব দিতে হবে।

বাংলাদেশ এগ্রোনমি সোসাইটির সভাপতি ড. মো. রফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইআরডি’র সদস্য ও সিনিয়র সচিব ড. মো. সামসুল ইসলাম, কৃষি গবেষণা ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক ড. ওয়াইস কবীর। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সংগঠনের মহাসচিব ড. মো. ওমর আলী এবং ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন প্রফেসর ড. পরিমল কান্তি বিশ্বাস।

This post has already been read 2429 times!