মঙ্গলবার , অক্টোবর ২২ ২০২৪

বাণিজ্যিক কৃষিতে না গেলে কৃষি ও কৃষককে বাঁচানো যাবে না –কৃষি মন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক: বন্যার পানির কারণে যেসব জায়গায় ধান চাষ করা যাবে না সেসব যায়গায় রবি শস্য আবাদ করা হবে। কৃষদের বিনামূল্যে বীজ সারসহ অন্যান্য কৃষি উপকরণ দেয়া হবে। পানি নামার সাথে সাথে যাতে করে কৃষক চাষাবাদ করতে পারে সে জন্য সব জেলায় ইতোমধ্যে মাসকালাই বীজ প্রেরণ করা হয়েছে চাষের জন্য। সনাতন কৃষি থেকে আধুনিক, বাণিজ্যিক কৃষিতে যেতে হবে । তা না হলে কৃষি ও কৃষকে বাঁচানো যাবে না।

রবিবার (১৮ আগস্ট) কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক, এমপি কৃষি মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে পবিত্র ঈদ-উল-আযহা পরবর্তী শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন। মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা,অধিনস্থ দপ্তরের প্রধানগণ,মন্ত্রণালয়ের সকল স্তরের কর্মকর্তা/ কর্মচারীদের সঙ্গে ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময় করেন তিনি। অনুষ্ঠানের শুরুতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে দাঁড়িয়ে এক মিনিটি নিরবতা পালন করা হয়।

তিনি বলেন, পদ্মা,মেঘনা,যমুনার অববাহিকায় বসবাসরত এ দেশের, মানুষ প্রকৃতির সাথে সংগ্রাম করে বেচেঁ রয়েছে যুগ যুগ ধরে। এবারের বন্যায়ও তাই করেছে। আল্লাহর রহমতে এবারের বন্যায় ফসলের তেমন ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। ক্ষতি হয়েছে বীজ তলার, সেখানে চাষিদেরও ছিল সরকারের ছিল আর কিছু পাট ও সবজি। তবে আমনের যে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে তা অর্জন হবে।

কৃষি মন্ত্রী জানান, বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে ইতোমধ্যে ১শ ২০ কোটি টাকা প্রণোদনা বাবদ বরাদ্ধ রাখা হয়েছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, প্রয়োজনে আরো বেশি দেয়া হবে।

সভাপতি বক্তৃতায় কৃষি সচিব মো. নাসিরুজ্জামান বলেন, এবারের বন্যায় সর্বোচ্চ ১শ’ কোটি টাকার বেশি ক্ষতি হয়নি। ক্ষতি যা হয়েছে বীজতলা কিছু পাট ও সবজির। বন্যার ক্ষয়ক্ষতি আমরা সহজে পুষিয়ে নিতে পারবো। যুগ্মসচিব হাসানুজ্জামান কল্লোল -এর সঞ্চালনায় প্রাণবন্ত হয়ে ওঠে ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠান ।

This post has already been read 3543 times!

Check Also

অর্থনীতির চলমান ধীরগতি দেশে মন্দা ডেকে আনতে পারে

 রাজধানী সংবাদদাতা: বর্তমানে রাজস্ব নীতির (ফিস্কাল পলিসি) মাধ্যমে যেই পদক্ষেপই গ্রহণ করা হোক না কেন, …