ঢাকা সংবাদদাতা: আমাদের কৃষির সমস্যা বাজার আমাদের উৎপাদিত পণ্য বিক্রি হচ্ছে স্থানীয় বাজারে। কৃষি লাভজনক করতে হলে রপ্তানির কোনো বিকল্প নেই। পণ্যের উৎপাদন বেশী হলে সঠিক মুল্য পাওয়া যায় না, ফলে কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এখন আমাদের খাদ্য প্রক্রিয়াজাত, মূল্য সংযোজন, সংরক্ষণ এবং রপ্তানির দিকে গুরুত্ব দিতে হবে। দেশে এখন বিনিয়োগের ভালো পরিবেশ রয়েছে। এছাড়াও ১শ’ টি অর্থনৈতিক অঞ্চল রয়েছে। যেখানে নিশ্চিন্তে বিনিয়োগ করা যায়। রবিবার (৭ জুলাই) কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক, এমপি রাজধানীর নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ে International Symposium, Agriculture Innovation: A Pathway to Sustainable Development in Bangladesh শীর্ষক অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন। এ সময় তিনি দেশে বিদেশি বিনিয়োগের আহবান জানান।
তিনি বলেন, কৃষিই কৃষ্টি, আমাদের সংস্কৃতির অনিবার্য অনুষঙ্গ। বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নতি ও অগ্রগতিতে কৃষি ও কৃষক কেবল গুরুত্বপূর্ণই নয় বরং অপরিহার্য। আমাদের কৃষি উৎপাদন ভালো হলে জাতীয় অর্থনীতি হয়ে ওঠে সবল ও সমৃদ্ধ। বাংলাদেশের কৃষি ও কৃষক কেবল খাদ্য উৎপাদনেই নয়, পুষ্টি সমস্যা সমাধানে, শিল্পায়নে, রপ্তানি আয় বৃদ্ধিতে, কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে এবং সর্বোপরি জাতীয় আয় বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। আমাদের দেশে উৎপাদিত পণ্যের অধিকাংশই আসে কৃষি থেকে। খাদ্য ও নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য থেকে শুরু করে শিল্পের কাঁচামাল পর্যন্ত সবকিছুর যোগান দেয় কৃষি। কৃষিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের কৃষি প্রকৃতি নির্ভর, প্রকৃতির সাথে লড়াই করে আমাদের কৃষকরা আমাদের খাবারের যোগান দেয়। এক সময় দেশ ছিল খাদ্য ঘাটতির দেশ ,মঙ্গা কবলিত দেশ, এখন খাদ্য উদ্বৃত্তের দেশ মধ্যম আয়ের দেশ। আমরা স্বপ্ন দেখি ২০৩০ সালে উন্নত বাংলাদেশের। দেশের ৪০ শতাংশ জনশক্তি কৃষির সাথে প্রত্যক্ষ জরিত, কৃষি এখন ভদ্রজনের পেশায় পরিণত হয়েছে। জিডিপি’তে কৃষির অবদান ১৪% শতাংশ, যদিও জিডিপিতে এর অবদান দিনে দিনে কমছে এটা ভালো লক্ষণ যে আমাদের কলকারখানা বৃদ্ধি পাচ্ছে নতুন নতুন কর্মসংস্থান হচ্ছে মানুষের আয় বাড়ছে।
তিনি আরো বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার যখনই ক্ষমতায় আসে তখনই দেশের উন্নয়ন হয়। ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় এসে খাদ্য ঘাটতির দেশকে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ করেছে অবকাঠামো উন্নয়নসহ সার্বিক উন্নতি হয়েছে। ২০০৮ থেকে বর্তমান পর্যন্ত সরকার সব ক্ষেত্রে অভাবনীয় সাফল্য অর্জন করেছে, এমডিজি’র অধিকাংশ গোল অর্জন হয়েছে এখন এসডিজি’র লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের পালা। তিনি আরো বলেন, বর্তমান সরকারের নির্বাচনী ইশতেহারে কৃষি বিষয়ক অঙ্গীকার ছিল নিরাপদ খাদ্য, পুষ্টি নিশ্চয়তা ও কৃষির আধুনিকায়ণ । কৃষি উৎপাদন খরচ কমাতে কৃষিকে যান্ত্রিকরণ করতে হবে। ইতোমধ্যে সরকার এ ব্যাপারে নীতিগত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে এবং কাজ চলমান। কৃষি যান্ত্রিকরণের লক্ষ্যে সরকার কৃষিযন্ত্রে সর্বনিম্ন ৫০ শতাংশ এবং সর্বোচ্চ ৭০ শতাংশ প্রণাদনা দিয়েছে, সারের মূল্য ৩ দফায় কমিয়েছে, সেচে প্রণোদনা দেয় হয়েছে । ইনশাল্লাহ শেখ হাসিনার সরকারের দেয় সব ওয়াদা পালন করা হবে।
নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালেয়র ভিসি প্রফেসর আতিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে স্বাগত বক্তব্য রাখেন, নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. এম ইসমাইল হোসেন। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন, প্রফেসর ড. নজরুল ইসলাম ভিজিটিং প্রফেসর নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়। অতিথি বক্তা ছিলেন প্রফেসর মোহাম্মদ কুদ্দুস ও প্রফেসর এইচ এম সিদ্দিক। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, প্রফেসর মোহাম্মদ কুদ্দুস ও প্রফেসর এইচ এম সিদ্দিক। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বেনজির আহেমদ ,চেয়াম্যান বোর্ড অব ট্রাস্টি নর্দ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়।