Saturday , July 19 2025

কৃষিকে লাভজনক করতে হলে এর যান্ত্রিকীকরন করতেই হবে -কৃষি মন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক: কৃষিকে লাভজন্ক করতে হলে এর যান্ত্রিকীকরন করতেই হবে। কৃষি যান্ত্রিকীকরণের দায়িত্ব সরকারের। ইতোমধ্যে যান্ত্রিকীকরণে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে কৃষি প্রণোদনার ৩ হাজার কোটি টাকার কৃষি যন্ত্র ক্রয়ের সিদ্বান্ত নেয়া হয়েছে। আগামী বোরো মৌসুমের আগেই কৃষিযন্ত্র ক্রয় সম্পন্ন করা হবে। বর্তমান পরস্থিতে সরাসরি কৃষকদের কাছ থেকে ধান ক্রয় করা এবং চালের আমদানি শুল্ক বৃদ্ধি হবে। ইতোমধ্যে ১০ থেকে ১৫ লাখ মেট্রিক টন চাল রপ্তানির সিদ্বান্ত নেয়া হয়েছে এবং রপ্তানিতে উৎসাহ প্রদানে প্রণোদনা ২০% এর বেশি বৃদ্ধির চিন্তা করা হচ্ছে।

বৃহস্পতিবার (৩০ মে) কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক এমপি তার মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে ধানের কম বাজার মূল্যের বিষয়ে সরকারের গৃহীত কতিপয় কার্যক্রম এর সংক্রান্ত প্রেস ব্রিফিংএ এসব কথা বলেন। গত ২০১৭ সালের চাল আমদানি শুল্ক রেয়াতের কারণে চাহিদার অতিরিক্ত চাল আমদানি এবং তার একটা বড় অংশ মজুদ থাকা। সার/বীজসহ কৃষি উপকরণে সরকার প্রনোদনা প্রদান ও সুষ্ঠ ব্যবস্থাপনা এবং অনুকূল আবহাওয়া থাকায় আশাতীত উৎপাদন বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে এবছর ধানের মূল্য হ্রাস পেয়েছে বলেন কৃষিমন্ত্রী।

কৃষিমন্ত্রী ড. রাজ্জাক আরো বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার সব সময়ই কৃষকের পাশে ছিলেন এবং আগামীতে ও থাকবে। কৃষিকে যান্ত্রিকীকরণ, বাণিজ্যিকীকরণএবং কৃষিখাতে সার্বিক সুশাসন প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে কৃষিকে লাভজনক পেশায় উন্নতিকরণ এ সরকারের একটি রাজনৈতিক অঙ্গীকার। সর্বোচ্চ গুরুত্ব প্রদান করে কৃষিকে লাভজনক করার লক্ষ্যে কৃষিকে যান্ত্রিকীকরন, আধুনিকীকরন ও বানিজ্যিকিকরণ করতে হবে। চাষিদের সঠিক তালিকা প্রণয়ন করে এবং ধানের ক্রয়মূল্য অগ্রিম নির্ধারন করে মৌসুমের শুরুতেই সরাসরি কৃষক পর্যায় থেকে ধান সংগ্রহ শুরু করা হবে। ধান সংগ্রহের পরিমাণ পর্যায়ক্রমে বৃদ্ধি করে ৫০ লক্ষ মেট্রিক টনে উন্নীত করা হবে।

এছাড়া সরকারের গুদামের ধারণ ক্ষমতা পর্যায়ক্রমে বৃদ্ধি করা। চাল আমদানি নিরুৎসাহিত করতে আমদানি শুল্ক ২৮% থেকে বৃদ্ধি করে ৫৫% করা হয়েছে। নন ইউরিয়া সারসহ অন্যান্য উপকরণে প্রণোদনা বৃদ্ধি করা হবে। সেচের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধিসহ ব্যয় কমানোর উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে। প্রয়োজনে প্রণোদনা আরো বৃদ্ধি করা হবে জানালেন কৃষি মন্ত্রী।

কৃষি মন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার শুরু থেকেই কৃষি গবেষণায় বিশেষ জোর দিয়ে এর বরাদ্দ বৃদ্ধি করেছে। এর ফলশ্রুতিতে নতুন নতুন জাত উদ্ভাবন এবং তা মাঠ পর্যায়ে সম্প্রসারিত হওয়ায় ধানের ফলন উত্তোরত্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে। বোরো ধানের মূল্য কম হওয়ায় বিষয়টি সরকারের নিকট গ্রহণযোগ্য নয়।

This post has already been read 4077 times!

Check Also

ওএমএস ও টিসিবি’র নতুন ডিলার নিয়োগে রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ বন্ধের দাবি

চট্টগ্রাম সংবাদদাতা: খাদ্য বিভাগের খোলা বাজারে খাদ্যশস্য বিক্রির (ওএমএস) ও ট্রেডিং করপোরেশনে অব বাংলাদেশ (টিসিবি) …