Monday 29th of April 2024
Home / পরিবেশ ও জলবায়ু / বশেরমুরবিপ্রবি’র পরিত্যাক্ত বালুর মাঠ এখন দৃষ্টিনন্দন সবুজ প্রাঙ্গণ

বশেরমুরবিপ্রবি’র পরিত্যাক্ত বালুর মাঠ এখন দৃষ্টিনন্দন সবুজ প্রাঙ্গণ

Published at মার্চ ১, ২০১৯

সাব্বির বিন আশ্রাফ(বশেরমুরবিপ্রবি প্রতিনিধি): বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের ঠিক সামনের একটি প্লট যেখানে বালু, আগাছা আর কাশফুলের ঝোপ ছাড়া কিছুই ছিলোনা। বলা যায় বালুর মাঠ নামেই পরিচত ছিলো। সবুজ কে না ভালোবাসে বলুন? সেই ভালোবাসার দৃষ্টান্ত হলো বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনের সবুজ মাঠ। যা এখন ফুল, ফসল আর সবুজ গাছের বাগানে পরিণত হয়েছে।

মূলত, বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর কৃষিবিদ ড. খোন্দকার নাসির উদ্দিন –এর প্রজেক্ট অনুদান প্রদান ও অনুমিতক্রমে শুরু হয় বালুময় মাঠকে সবুজ করার কার্যক্রম। আর সার্বিক সহযোগিতা করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক কৃষিবিদ ড. জিলহাস আহমেদ জুয়েল ও কৃষিবিদ মো. আরিফুল ইসলাম।তাদের সার্বিক তত্ত্বাবধানে কৃষিবিভাগের ৩য় ব্যাচের প্রায় দুইশত শিক্ষার্থীকে নিয়ে শুরু হয় সবুজায়নের কাজ। একটানা ৮ কার্য দিবস তাদের অক্লান্ত প্ররিশ্রমের ফলে সমগ্র প্লটকে আগাছামুক্ত করা থেকে শুরু মাটি প্রস্তুত করা হয়। তারপর শুরু হয় সেচ প্রদান এবং আবার আগাছা দমন।এরপর রাসায়নিক সার প্রয়োগ করা হয়। এভাবে তিন কিস্তিতে তারা হাতে কলমে দিন রাত পরিশ্রম করে বিজ্ঞানভিত্তিক উপায়ে বালুর মাঠকে প্রস্তুত করে ফুল, ফসল আর সবুজ গাছের এক অপুরূপ দৃষ্টিনন্দন সবুজ মাঠ। ডিসেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি মাত্র তিন মাস। মাত্র তিন মাসেই সেই পরিত্যক্ত মাঠ ফুল আর সবুজ ফসলে পরিপূর্ণ হয়ে উঠেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনের প্রাঙ্গণ।

কৃষিবিদ মো.আরিফুল ইসলাম বলেন, বালুময় মাটিতে কিছু স্পেশাল জাতের ফসল উৎপন্ন হয়। যাদের শস্য-ফসল মাটির নিচে ধরে যেমন, বাদাম, আলু, মিষ্টি আলু প্রভৃতি। কিন্তু জমিতে বালুময় মাটির পুষ্টি উপাদান কৃত্রিমভাবে নিয়ন্ত্রিত রেখে অন্যান্য ফসলও চাষ করা যায়। উক্ত ফলশ্রুতিতে; বাদাম (জাত:ঢাকা-০১,বারি-০৬), সূর্যমুখী (জাত:বারি-০২ এবং থাইল্যান্ড হাইব্রিড) এই দুইটি ফসল কৃষিবিভাগের ৩য় তম ব্যাচের শিক্ষার্থীদের মাধ্যমে হাতে-কলমে প্লট প্রস্তুতি হতে শুরু করে ফসল উত্তোলন পর্যন্ত করানো হবে। আর, ভূট্টা (জাত:বারি-০৯ এবং ১৩) কৃষিবিভাগের ১ম ব্যাচের শিক্ষার্থীদের মাধ্যমে করানো হবে এবং মুগডাল (জাত- বারি-০৬, বারি-০৭) কৃষিবিভাগের চতুর্থ ব্যাচের শিক্ষার্থীদের মাধ্যমে করানো হবে।

এছাড়াও, কৃষিবিভাগের সংশ্লিষ্ট শিক্ষক, শিক্ষিকা এবং কৃষি শিক্ষার্থীদের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ দেখাশুনা ও কৃষি বিষয়ক তথ্য আদান-প্রদানের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক কৃষিবিদ ড. জিলহাস আহমেদ জুয়েল -এর স্বপ্নের কৃষি গবেষণা প্রজেক্ট সমগ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের সৌন্দর্য বৃদ্ধির পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয় সংশ্লিষ্ট সকলে মনোরঞ্জন করতে সক্ষম হচ্ছে এবং সবুজ ফুল-ফসলের অপরুপ সৌন্দর্যময় কৃষিপ্লট বিশ্ববিদ্যালয়ে আগত দর্শনার্থীদেরও মনোরঞ্জন করবে বলে আশাবাদী সংশ্লিষ্ট সবার।

This post has already been read 3654 times!