শনিবার , জুলাই ২৭ ২০২৪

মেরিকালচার প্রজনন-প্রযুক্তির মাধ্যমে মৎস্য আহরণের সম্প্রসারণ ঘটানো জরুরি

নিজস্ব প্রতিবেদক: ভারত, থাইল্যান্ড, ফিলিপাইন, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়াসহ বিভিন্ন দেশে মেরিকালচার লাভজনক হওয়ায় আমাদের দেশেও এই মেরিকালচার প্রজনন-প্রযুক্তির গবেষণার মাধ্যমে সমুদ্রে মৎস্য-আহরণের সম্প্রসারণ ঘটানো জরুরি। উপকূলীয় ও সামুদ্রিক মৎস্যসম্পদের উন্নয়নে বিশ্বব্যাংকের সহায়তায় মন্ত্রণালয় কর্তৃক ২৪০ মিলিয়ন ডলারের ‘সাসটেইনেবল কোস্টাল এন্ড মেরিন ফিশারিজ প্রজেক্ট’ শীর্ষক বৃহত্তম একটি প্রকল্প-গ্রহণ করা হয়েছে। উপকূলীয় ও বঙ্গোপসাগরের জলজসম্পদ ও সুযোগ কাজে লাগাতে মন্ত্রণালয় নানামুখী কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে।  আরভি মীন সন্ধানী নামক সমুদ্র গবেষণা ও জরিপ-জাহাজের মাধ্যমে সমুদ্রের চিংড়িসহ তলদেশীয় ও ওপরিস্থ মাছের জরিপের কাজও চলছে।

মঙ্গলবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় এবং জাতিসংঘের Food and Agriculture Organisation (FAO)  -এর যৌথ উদ্যোগে হোটেল সোনারগাঁওয়ে “Bangladesh Blue Economy Dialogue on Fishries & Livestock” শীর্ষক দুদিনব্যাপী কর্মশালায় মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী আশরাফ আলী খান খসরু, এম.পি এসব কথা বলেন।

প্রতি মন্ত্রী বলেন, ‘ব্লু-ইকোনমি বাস্তবায়নে বাংলাদেশ ইতোমধ্যেই পাইলট কান্ট্রি হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। বিগত ২০১৭-১৮ অর্থ বছরে দেশের উৎপাদিত মোট ৪৩ লাখ ৩৪ হাজার মাছের মধ্যে সাড়ে ৬ লাখ মেট্রিক টনই এসেছে সমুদ্র থেকে, যা মোট মৎস্য উৎপাদনের ১৬ শতাংশ। বিশ্বের বৃহত্তম বঙ্গোপসাগরে ৪৭৫ প্রজাতির মাছসহ ৩৬ প্রজাতির চিংড়ি মাছ এবং বিভিন্ন প্রকার অর্থনৈতিক ও জৈবগুরুত্বপূর্ণ সম্পদ রয়েছে।’

প্রধানমন্ত্রীর প্রচেষ্টায় ভারত ও মায়ানমারের ১ লাখ ১৮ হাজার ৮১৩ বর্গকিলোমিটার এলাকা বাংলাদেশের সমুদ্রসীমায় যুক্ত হওয়ায় পরিবেশের ভারসাম্যরক্ষা, জলবায়ূর ক্ষতিকর প্রভাব থেকে উত্তরণ এবং অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি অর্জনের ক্ষেত্রে সামুদ্রিক সম্পদের গুরুত্ব ও অপার সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচিত হয়েছে বলে তিনি মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, উপকূলীয় অঞ্চলের ৫ লক্ষাধিক জেলে প্রায় ৭০ হাজার যান্ত্রিক ও অযান্ত্রিক নৌযানের সহায়তায় জীবিকানির্বাহের সাথে-সাথে মৎস্য উৎপাদনে ব্যাপক ভূমিকা রাখছে।

কর্মশালায় মূলপ্রবন্ধ পাঠ করেন FAO এর প্রতিনিধি Jacqueline alder। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব রইছউল আলম মণ্ডলের সভাপতিত্বে এতে অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা করেন FAO এর বাংলাদেশের প্রতিনিধি Robert Doulas Simpson, পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের মেরিটাইম এফেয়ার্স ইউনিটের সচিব রিয়াল এডমিরাল (অবঃ) খুরশেদ আলম বিএন, নরওয়ের রাষ্ট্রদূত Ms Sidsel Bleken, মৎস্য ও প্রানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের  যুগ্মসচিব (ব্লু-ইকোনমি) তৌফিকুল আরিফ, মৎস্য অধিদফতরের ডিজি আবু সাইদ মো. রাশেদুল হক।

This post has already been read 2186 times!

Check Also

আগামীকাল থেকে ২৩ জুলাই পর্যন্ত সামুদ্রিক জলসীমায় মৎস্য আহরণ নিষিদ্ধ

নিজস্ব প্রতিবেদক: মাছের সুষ্ঠু প্রজনন, উৎপাদন বৃদ্ধি, সামুদ্রিক মৎস্য সম্পদ সংরক্ষণ এবং টেকসই মৎস্য আহরণের …